আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
225 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
১)ধরুন একজন সবসময় শিরক থেকে বিরত থাকতে চায়,কেননা শিরক করলে সব ভালো কাজ মুছে যায়।

কিন্তু সে অন্য খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে না।

এখন কি বিষয় টি এমন হচ্ছে যে সে আল্লাহ কে ভয় না পেয়ে শিরক কে ভয় পাচ্ছে??

এতে কি শিরক হবে??

২)কেউ যদি পরাশুনা কে নামাজ পরার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তবে কি শিরক হবে??
বা কুফর হবে??

৩)ধরুন,কেউ আগে পদ্মার পাড়ে যেত।আর সেখানকার একটা মাজারে সিজদা দিত,মানে শিরক করত

এরপর সে তাওবা করল আর আল্লাহকে বল্ল, "আমি আর কোন দিন মাজারে সিজদা দিব না।'

এরপর একদিন,সে পদ্মার ধারে ঘুরতে গেল।আবার মাজারে গিয়ে শিরক করল। এরপর আবার তাওবা করল।

আর আল্লাহকে বল্ল যে, " যদি আর কখনও মাজারে সিজদা দেই,তবে সারাজীবন এর মত পদ্মার ধারে ঘুরতে যাওয়া বন্ধ করে দিব।"

এরপর সে যখনই পদ্মার ধারে ঘুরতে যেত,তখন খুব সাবধান থাকত যাতে কোন ভাবেই মাজারে সিজদা না দেয়,কেননা যদি সে আবার মাজারে সিজদা দেয় তবে তাকে পদ্মার ধারে ঘুরা বন্ধ করতে হবে।

এখন তো সে আল্লাহর ভয়ে মাজারে সিজদা থেকে বিরত না থেকে পদ্মার ধারে ঘুরতে যাওয়া যেন বাদ না দেওয়া লাগে সেই উদ্দেশ্যে মাজারে সিজদা দেওয়া থেকে বিরত থাকছে।

এতে কি শিরক হবে??
মানে দুনিয়াবি কারনে শিরক থেকে বিরত থাকা কি শিরক???

৪)ধরুন,আমাকে এলাকায় কেউ খুব একটা পাত্তা দিত না

এরপর আমি বুয়েটে চান্স পাই

তারপর থেকে সবাই বেশ গুরুত্বের সাথে আমাকে দেখদেখে
মানে বকা দেয় না,যথেষ্ট সম্মান করে,আদর করে,

তো আমি যদি মনে করি যে বুয়েটে চান্স পাওয়াই আমাকে এই সম্মান এনে দিছে তাইলে কি শিরক হবে?
কেননা সম্মান দানের মালিক আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (589,200 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
(১) শিরিককে ভয় পাওয়ার অর্থই হল, আল্লাহকে ভয় পাওয়া।আল্লাহকে ভয় পাওয়া ব্যতিত শিরিকে ভয় পাওয়ার কোনো অর্থই হতে পারে না। সুতরাং যে ব্যক্তি শিরিককে ভয় করবে, সে অবশ্যই অবশ্যই আল্লাহকে করবেই। সুতরাং এতে শিরক হবে না।তবে তার উচিৎ যে, সে যেন সকল প্রকার ভাল কাজ করে।

(২)
সে ফাসিক বলে গণ্য হবে।তার সে কাফির হবে না।তবে নামাযকে অবহেলা করলে বা অস্বীকার করলে সে অবশ্যই কাফির হিসেবে গণ্য হবে।

(৩)
আপনার এ সমস্ত প্রশ্নের কারণ হল, আপনি জানেন না যে, মানুষকে কেন এমন এমন করে এবং কেন এমন এমন করে না। প্রত্যেক কাজ করা বা না করার কারণই হল, আল্লাহর বিধানকে মান্য করা।সুতরাং কোনো কাজ করার জন্য কিছু করা হলে ঈমানে কোনো সমস্যা হবে না।হ্যা গোনাহের কাজ করলে অবশ্যই গোনাহ হবে।আর নেকির কাজ করলে অবশ্যই সওয়াব হবে।

(৪)
আল্লাহ বুয়েটে চান্স দিয়েই আপনাকে সম্মান দিছেন।বুয়েটে আপনি এমনি এমনি চান্স পাননি।বরং আল্লাহই আপনাকে চান্স দিয়েছেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,200 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...