১)ধরুন একজন সবসময় শিরক থেকে বিরত থাকতে চায়,কেননা শিরক করলে সব ভালো কাজ মুছে যায়।
কিন্তু সে অন্য খারাপ কাজ থেকে বিরত থাকে না।
এখন কি বিষয় টি এমন হচ্ছে যে সে আল্লাহ কে ভয় না পেয়ে শিরক কে ভয় পাচ্ছে??
এতে কি শিরক হবে??
২)কেউ যদি পরাশুনা কে নামাজ পরার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ মনে করে তবে কি শিরক হবে??
বা কুফর হবে??
৩)ধরুন,কেউ আগে পদ্মার পাড়ে যেত।আর সেখানকার একটা মাজারে সিজদা দিত,মানে শিরক করত
এরপর সে তাওবা করল আর আল্লাহকে বল্ল, "আমি আর কোন দিন মাজারে সিজদা দিব না।'
এরপর একদিন,সে পদ্মার ধারে ঘুরতে গেল।আবার মাজারে গিয়ে শিরক করল। এরপর আবার তাওবা করল।
আর আল্লাহকে বল্ল যে, " যদি আর কখনও মাজারে সিজদা দেই,তবে সারাজীবন এর মত পদ্মার ধারে ঘুরতে যাওয়া বন্ধ করে দিব।"
এরপর সে যখনই পদ্মার ধারে ঘুরতে যেত,তখন খুব সাবধান থাকত যাতে কোন ভাবেই মাজারে সিজদা না দেয়,কেননা যদি সে আবার মাজারে সিজদা দেয় তবে তাকে পদ্মার ধারে ঘুরা বন্ধ করতে হবে।
এখন তো সে আল্লাহর ভয়ে মাজারে সিজদা থেকে বিরত না থেকে পদ্মার ধারে ঘুরতে যাওয়া যেন বাদ না দেওয়া লাগে সেই উদ্দেশ্যে মাজারে সিজদা দেওয়া থেকে বিরত থাকছে।
এতে কি শিরক হবে??
মানে দুনিয়াবি কারনে শিরক থেকে বিরত থাকা কি শিরক???
৪)ধরুন,আমাকে এলাকায় কেউ খুব একটা পাত্তা দিত না
এরপর আমি বুয়েটে চান্স পাই
তারপর থেকে সবাই বেশ গুরুত্বের সাথে আমাকে দেখদেখে
মানে বকা দেয় না,যথেষ্ট সম্মান করে,আদর করে,
তো আমি যদি মনে করি যে বুয়েটে চান্স পাওয়াই আমাকে এই সম্মান এনে দিছে তাইলে কি শিরক হবে?
কেননা সম্মান দানের মালিক আল্লাহ