আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
129 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (18 points)
১) ধরুন একজন মুসলিম শিরক করর মুশরিক হয়ে গেল, এরপর আবার ইমান আনল

এক্ষেত্রে কি আমরা বলব আল্লাহ তাকে হিদায়াত দিয়েছেন নাকি সে নিজে চেষ্টা করেছে বলে আল্লাহ হিদায়াত দিয়েছে??


২)ধরুন, আমার গার্লফ্রেন্ড কে ব্লক করার সময় বললাম যে


"নামাযের মধ্যে তোমার কথা মনে হচ্ছে,সমস্যা হচ্ছে

ওয়াসওয়াসাও হচ্ছে

তাই সিদ্ধান্ত নিছি ব্লক করে দিব

আর তুমি আমার নাম্বার ডিলিট
করে দিও


আল্লাহ যদি আমাদের উপর সন্তুষ্ট থেকে চান যে আমাদের বিয়ে হবে,তাইলে এম্নেই হবে"


এতে কি গুনাহ বা শিরক হবে??


৩) ব্লক করার সময় খুব নরম ভাবে আর আদরের সাথে কথা বলেছি,যাতে সে মনে কষ্ট না পায়


এতে কি শিরক হবে??
যদি গুনাহ বা শিরক হয়েই যায় তবে এখন করনিয় কি??

আনব্লক করে কঠোর ব্যাবহার করে আবার ব্লক মারব??


৪) ধরুন, ব্লক করার আগে সে বলেছিল


"ভালোভাবে পড়াশোনা করবেন।আর কোথায় চান্স পেলেন সেটা জানাবেন।অবশ্য আপনি না জানালেও জানতে পারবো কেননা আমার খালাত বোন আপ্নাদের ফ্ল্যাটেই থাকে,আপনার আম্মুর কাছ থেকে জেনে নিয়ে আমাকে জানাবে"


আমি তার এ কথার জবাব দেয় নি।

এতে কি গুনাহ হবে? /

আনব্লক করে নিষেধ করতে হবে????
নিষেধ না করলে কি গুনাহ হবে?


৫)আল্লাহর কাছে দুয়া করার সময় আখিরাত আগে না চেয়ে দুনিয়া চাইলে কি গুনাহ হবে বা শিরক হবে??


৬)দুনিয়াবি জিনিস চাওয়ার সময়


"রব্বানা আতিনা ফিদ দুনিয়া হাসানাহ,ওয়া ফিল আখিরতি হাসানাহ"
এটা আগে না বলে নিজের মনমত দুয়া করলে কি শিরক হবে??


৭)ধরুন,আমি মাগরিবের ওয়াক্তে দুয়া করা শুরু করছি,

দুয়া শেষ করে দেখি মাগরিবের সময় শেষ
এতে কি শুধু কবিরা গুনাহ হবে নাকি শিরক??


৮)ধরুন পরিক্ষার আগের রাতে বন্ধুকে ফোন করে বললাম,"ভালো মতে পরে আসিস।তোর দেখে লিখব।"
আর নিজে কিছু পরলাম না এই আশায় যে ওর দেখে লিখব


এটা কি শিরক হবে??


৯)সব কিছু তে শিরক খোজা কি ওয়াসওয়াসা হইতে পারে

??

শয়তান তো চায় খারাপ কাজ করাইতে,শিরক নিয়ে অতি সন্দেহ সৃষ্টি করার চেষ্টা করে শয়তান এর কি লাভ??


১০)  ধরুন, আমার রুমে একটা ছবি আছে আল্লাহ লিখা।

ওটার প্রতি সম্মান দেখানো কি শিরক??
ওই ছবির প্রতি আচরণ কেমন হবে??

1 Answer

0 votes
by (63,240 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব ,

আল্লাহ তাআলা কুরআনুল কারিমের অনেক জায়গায় বারবার শিরক করা থেকে বিরত থাকতে বলেছেন। শিরকে বড় জুলুম বলে আখ্যায়িত করেছেন। আল্লাহ তাআলার সঙ্গে কোনো ব্যক্তি বা বস্তুকে অংশীদার সাব্যস্ত করার ব্যাপারে নিষেধ করেছেন। আল্লাহ বলেন-

وَإِذْ قَالَ لُقْمَانُ لِابْنِهِ وَهُوَ يَعِظُهُ يَا بُنَيَّ لَا تُشْرِكْ بِاللَّهِ ۖ إِنَّ الشِّرْكَ لَظُلْمٌ عَظِيمٌ

যখন লোকমান উপদেশস্বরূপ তার ছেলেকে বলল- হে ছেলে! আল্লাহর সাথে শরিক করো না। নিশ্চয় আল্লাহর সাথে শরিক করা মহা অন্যায়।’ (সুরা লোকমান : আয়াত ১৩)

আল্লাহর অধিকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সব গোনাহ মাফ করলেও তার সঙ্গে শিরক তথা অংশীদার স্থাপন করার গোনাহ কখনো মাফ করবেন না। আর যারা আল্লাহর সঙ্গে অন্যকে অংশীদার স্থাপন করবে তাদের শাস্তিও মারাত্মক। কুরআনে শিরকের যে গোনাহ ও শাস্তির কথা বলা হয়েছে, তাহলো-

إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَن يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَٰلِكَ لِمَن يَشَاءُ ۚ وَمَن يُشْرِكْ بِاللَّهِ فَقَدِ افْتَرَىٰ إِثْمًا عَظِيمًا

 নিঃসন্দেহে আল্লাহ তাকে ক্ষমা করেন না, যে লোক তাঁর সাথে শরিক তথা অংশীদার সাব্যস্ত করে। তিনি ক্ষমা করেন এর নিম্ন পর্যায়ের পাপ, যার জন্য তিনি ইচ্ছা করেন। আর যে লোক অংশীদার সাব্যস্ত করল আল্লাহর সাথে, সে যেন আল্লাহকে অপবাদ দিলো।’ (সুরা নিসা : আয়াত ৪৮)

হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু বলেন, একদিন হজরত আবু বকর রাদিয়াল্লাহু আনহু বললেন, ‘হে আল্লাহর রাসুল! আমাকে এমন একটি দোয়া কথা বলুন, যা আমি সকাল-সন্ধ্যায় পাঠ করব। তখন রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বললেন, তুমি বল-

اَللَّهُمَّ عَالِمَ الْغَيْبِ وَالشَّهَادَةِ فَطِرَ السَّمَوَاتِ وَ الْاَرْضِ رَبَّ كُلِّ شَيئٍ وَ مَلِيْكِهِ أَشْهَدُ أنْ لَّا اِلَهَ اِلَّا اَنْتَ أَعُوْذُبِكَ مِنْ شَرِّ نَفْسِىْ وَ مِنْ سَرِّ الشَيْطَانِ وَ شِرْكِهِ

অর্থ : হে আল্লাহ! (আপনি) দৃশ্য-অদৃশ্য সব বিষয় অবগত; আসমান-জমিনের সৃষ্টিকর্তা; প্রত্যেক বস্তুর প্রতিপালক ও মালিক। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আপনি ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই। আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাই- আমার মনের (নফসের) অনিষ্টতা থেকে, শয়তানের অনিষ্টতা থেকে এবং শিরক থেকে।’- এ দোয়াটি সকাল-সন্ধ্যায় এবং শয্যায় (ঘুমাতে) যাওয়ার সময়ও বলবে।’ (আবু দাউদ, ইবনে মাজাহ, মিশকাত)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

১. আল্লাহ তায়ালা তাকে তওবা করার তাওফিক দিয়েছেন , বিধায় তিনি শির্ক থেকে তওবা করার সুযোগ পেয়েছেন। তবে তাকে আল্লাহ বিবেক ও আকল দিয়েছেন যা দিয়ে তাকে হক ও বাতিলের মধ্যে পার্থক্য করতে হবে। যদি শির্ক থেকে ফিরে না আসে তাহলে তার জন্য রয়েছে ভয়ানক শাস্তি।

২.জ্বী না এটি শির্ক হবে না । বরং হারাম রিলেশন ছেড়ে দেওয়ার জন্য আল্লাহ তায়ালা আপনাকে উত্তম বিনিময় দান করবেন ইনশাআল্লাহ । কেননা, বিবাহ বহির্ভূত প্রেম ভালোবাসা সম্পূর্ণ  নাজায়েয ও হারাম ।

৩.না শির্ক হবে না। গুনাহ থেকে বাচার জন্য রিলেশন ছেড়ে দেওয়া আবশ্যক । এতে যদি সে মনে কষ্টও পায় এতেও কোন গুনাহ হবে না। আরো বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন:     https://ifatwa.info/30521/?show=30521#q30521

৪.না গুনাহ হবে না । বরং তার সাতে পুনরায় কথা বললে শয়তান ধোকা দেওয়ার আশংকা আছে । বিধায় তার সাথে কথা বলা ঠিক হবে না।

৫.না । তবে আখেরাত নিয়েই বেশী বেশী দুয়া করা উচিত ।

৬. না শির্ক হবে না ।

৭. যদি মাগরিবের নামাজ আদায় করার পর দোয়া করে তাহলে এতে কোন সমস্যা হবে না । তবে নামাজ আদায় করার পূর্বে এত লম্বা দোয়া করা জায়েয হবে না। বরং নামাজ আগে আদায় করার পর দোয়া করবে

৮. কিছু গোনাহ ছগিরা , কিছু গোনাহ কবীরা , কিছু বেদআত , কিছু হারাম ইত্যাদী  হয়ে থাকে । তবে সব ক্ষেত্রে শির্কের সন্দেহ রাখা মোটেও উচিত না । বরং এটি ওয়াসওয়াসারই অন্তর্ভূক্ত ।

৯. ওয়াসওয়াসার নেপথ্যে থাকে শয়তান। তার উদ্দেশ্য হচ্ছে ঈমানদারদেরকে কষ্ট দেয়া এর সর্বোত্তম প্রতিকার হচ্ছে বেশি বেশি আল্লাহর যিকির করা, لَا حَوْلَ وَلَا قُوَّةَ اِلَّا بِاللهِ পড়া, আউযুবিল্লাহ্ পড়া তথা বিতাড়িত শয়তান থেকে আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করা।

আল্লাহ তায়ালা  বলেন,

وَإِمَّا يَنزَغَنَّكَ مِنَ الشَّيْطَانِ نَزْغٌ فَاسْتَعِذْ بِاللَّهِ ۖ إِنَّهُ هُوَ السَّمِيعُ الْعَلِيمُ

যদি শয়তানের পক্ষ থেকে তুমি কিছু কুমন্ত্রণা অনুভব কর, তবে আল্লাহর শরণাপন্ন হও। নিশ্চয় তিনি সর্বশ্রোতা, সর্বজ্ঞ। (সূরা হা-মীম-সিজদাহ ৩৬)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে অন্য এক বর্ণনায় এসেছে,

ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﻗَﺎﻝَ ( ﺟَﺎﺀَ ﻧَﺎﺱٌ ﻣِﻦْ ﺃَﺻْﺤَﺎﺏِ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲِّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢَ ﻓَﺴَﺄَﻟُﻮﻩُ ﺇِﻧَّﺎ ﻧَﺠِﺪُ ﻓِﻲ ﺃَﻧْﻔُﺴِﻨَﺎ ﻣَﺎ ﻳَﺘَﻌَﺎﻇَﻢُ ﺃَﺣَﺪُﻧَﺎ ﺃَﻥْ ﻳَﺘَﻜَﻠَّﻢَ ﺑِﻪِ ، ﻗَﺎﻝَ : ﻭَﻗَﺪْ ﻭَﺟَﺪْﺗُﻤُﻮﻩُ ؟ ﻗَﺎﻟُﻮﺍ : ﻧَﻌَﻢْ ، ﻗَﺎﻝَ : ﺫَﺍﻙَ ﺻَﺮِﻳﺢُ ﺍﻟْﺈِﻳﻤَﺎﻥِ )

কিছু সংখ্যক সাহাবায়ে কেরাম রাসূলুল্লাহ সাঃ এর নিকট এসে জিজ্ঞেস করলেন,আমাদের অন্তরে অনেক সময় মন্দ চিন্তাভাবনা চলে আসে।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন,এটা কি সম্ভব?তারা বলল, জ্বী হ্যা।রাসূলুল্লাহ সাঃ বললেন, মাঝেমধ্যে এমন সন্দেহ মনে উঁকি দেয়াই হল, কামিল ঈমানের পরিচায়ক।(সহীহ মুসলিম-১৩২)

ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,

ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...

অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়। আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

 

 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...