আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
350 views
in পবিত্রতা (Purity) by (26 points)
আমার বয়স এখন ষোলো বছর। আমার গত এক বছর আগেও পাক নাপাকের বিষয়ে খুব একটা জ্ঞান ছিল না। আমি মনে করতাম কোনো জায়গায় নাপাক লেগে শুকিয়ে গেলে পরবর্তীতে আবার ঐ স্থান ভিজে গেলেও তা নাপাক হয় না। আবার ভেজা নাপাকী যে ছড়াতে পারে এই ধারণাও ছিল না। গত বছর নভেম্বর মাসে আমার পায়জামার নিচের দিকে প্রস্রাব লাগলে আমি পায়জামার ঐ ভেজা  স্থান হাত দিয়ে স্পর্শ করি। ঐ ভেজা পায়জামা পরে বিভিন্ন স্থানে বসি। আবার ভেজা হাতে অনেক কিছু স্পর্শ করি। সব মিলিয়ে সেই সময়ে আমার শরীর, কাপড়, বই, খাতা ব্যবহারের সব জিনিসই নাপাক থাকতো।

এ বছর মার্চ মাসে যখন আমি নাপাকী সম্পর্কে জানলাম তখন থেকে সবসময় পাক পবিত্র থাকার চেষ্টা করি ।  আগের সবকিছু ধৌত করে ফেলেছি। কিছু জিনিস ধুই নি। যেগুলো সচরাচর খুব একটা ব্যবহার করি না। তো এখন সবকিছুই পাক পবিত্র ।

কিন্তু হুজুর সমস্যাটা অন্য জায়গায় । সমস্যাটা হলো আমার আগের খাতা, এসাইনমেন্টের কাগজ যেগুলো এখনও ব্যবহার করি, সেগুলো তো আর ধোয়া হয় নি। কারন সেগুলো ধোয়া সম্ভব না। খাতা ও কাগজে সরাসরি কোনো নাপাকী লাগেনি। প্রস্রাবের নাপাকী ছিল আমার হাতে আর সেই হাত নিজের জামায় মুছেছিলাম। পরবর্তীতে হাত ধুয়ে ভেজা হাত আবার জামার ঐ জায়গাতেই মুছি। হাত কোনোমতো মুছি। বিধায় হাতে পানি ছিল যা দ্বারা কাগজ ভিজতে পারে।  এখন যদিও সেই কাগজ শুকিয়ে গেছে। কাগজে কোনো গন্ধ নেই । কিন্তু অনেক সময় ভেজা হাতে ধরার দরুন কাগজ ভিজে যায় । আবার লেখার সময়ও কাগজ ভিজে হাতে লাগে জামায় লাগে। কিন্তু এক্ষেত্রে তো আর কিছু করার নেই ।
আমার শুচিবায়ু রোগ আছে। কিন্তু আমি যতদূর জানি ইসলামে এমন কোনো নিয়ম নেই যা পালন করা কষ্টকর । কাগজ তো নানা কারনে ভিজেই। এটা প্রতিরোধ করা দুঃসাধ্য ।
তাই এখানে শুকিয়ে যাওয়ার পর কী কাগজকে পাক ধরা যাবে? এই কাগজ পরবর্তীতে ভিজে গেলেও কী তাতে কোনো সমস্যা হবে না?

আপনার এক ফতোয়াতে আপনি বলেছেন কাগজ যেহেতু ধোয়া যায় না। তাই তা শুকিয়ে গেলেই পাক হয়ে যায় । পরবর্তীতে পানি পড়ে ভিজে গেলেও সমস্যা হবে না।

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/19995 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ লিখেন,
অপবিত্রতা তিন প্রকারের হতে পারে।যথা-
(১)পবিত্র জিনিষ হয়তো নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে না যেমন পাথর বা তামার পাত্র কিংবা চিনির পাত্র।
(২) অথবা নাজাসতের অংশকে সামান্য আকারে চুষে নিবে, যেমন, শরীর ইত্যাদি।
(৩) অথবা বেশী পরিমাণে নাজাসতের অংশকে চুষে নিবে।

(প্রথম প্রকারের হুকুম) প্রথম অবস্থায় দৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে শুধুমাত্র নাজাসতকে দূর করে নিলেই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর অদৃশ্যমান নাজাসতের ক্ষেত্রে তিনবার ধৌত করে নিলেই তা পবিত্র হবে।
(দ্বিতীয় প্রকারের হুকুম)  দ্বিতীয় প্রকারের হুকুমও প্রথম প্রকারের মত।
(তৃতীয় প্রকারের হুকুম) যদি নিংড়ানো সম্ভব হয়, তাহলে নিংড়াতে হবে।যেমন কাপড়কে নিংড়িয়ে ধৌত করা হয়ে থাকে। সুতরাং এ প্রকারের নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই কাপড় পবিত্র হয়ে যাবে, অথবা তিনবার ধৌত করার দ্বারা তা পবিত্র হবে। আর যদি নিংড়ানো সম্ভব না হয়, যেমন চাটাই ইত্যাদি, যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নেয়নি, তাহলে বাহ্যিকভাবে নাজাসতকে দূর করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। অথবা নিংড়ানো ব্যতিত তিন বার ধৌত করার দ্বারাই তা পবিত্র হয়ে যাবে। আর যদি জানা যায় যে, উক্ত জিনিষ নাজাসতকে চুষে নিয়েছে, তাহলে ইমাম মুহাম্মদ রাহ এর মতে উক্ত জিনিষ কখনো পবিত্র হবে না। এবং ইমাম আবু-ইউসুফ রাহ এর মতে তিনবার পানি দ্বারা ধৌত করতে হবে, এবং প্রত্যেকবার শুকাতে হবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যেহেতু কাগজে চুষে নেওয়ার ক্ষমতা বিদ্যমান রয়েছে, তাই কাগজে কোনো নাপাকি লেগে শুকিয়ে গেলে সেই কাগজ নাপাক থাকবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংশোধন ও সংযোজন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 206 views
0 votes
1 answer 201 views
...