আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
380 views
in পবিত্রতা (Purity) by (75 points)
edited by
১/ কাগজে বা বইয়ে যদি তেল জাতীয় নাপাকি লাগে তবে সেটা শুকিয়ে ফললে কী পবিত্র হবে

২/ বস্তু জাতীয় তেল লাগলে বস্তুটাকে যতটুকু সমভব সরিয়ে শুকালেই কী পবিত্র হবে।নাকি ধুতে হবে

৩/ কোচিংংয়ে পড়তে গেলে যেই ডেস্কে ( টেবিলে) বসে পড়ি সেটায় যদি নাপাক লাগে  তা শুকিয়ে গেলেই কী পবিত্র।মানে কাঠের তৈরি টেবিল।মানে সব কোচিংং,স্কুল,মাদ্রাসায় যেই
টেবিল থাকে।

৪/  বইয়ে বা খাতার বা যেই কাগজে যেই কলম দিয়েই লেখা হোক (যেমনঃ কলম,পেনসিল,রং পেনসিল,সাইন পেন,হাইলাইটার,মার্কার,colour পেন) সব ক্ষেত্েই কী শুকালেই পবিত্র হবে।
৫/ যেকোন কালির দাগ সেটা যেকোন ভাবে পরুক তা কী শুধু শুকালেই যথেষ্ট।

৬/কাগজ নাপাক,কলম নাপাক সেটায় লিখলাম। তা কী শুধু শুকালেই পবিত্র হবে

৭/ তরকারির ঝোল লাগলেও কী শুধু শুকালই পবিত্র হবে

৮/ তেলওয়ালা কোনো নাপাক বস্তু কাগজে বা বইয়েট পাতায় পরল সেটা মানে বস্তুটা সরিয়ে ময়লা টা দুর করে শুধু শুকালেই কী পবিত্র।কোনো দাগ লেগে থাকলে কী সমস্যা হবে পরবর্তীতে ভিজলে।

৯/ উপরে র সবগুলো কী শুকানোর পর আর পানি পরবর্তীতে পরলে কোনো সমস্যা নেই বা ভিজলেও।মানে ধোয়া লাগবেনা

আমি আব্দুল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
কাগজে বা বইয়ে যদি তেল জাতীয় নাপাকি লাগে তবে সেটা শুকিয়ে ফললে পবিত্র হয়ে যাবে।
(২)
বস্তু জাতীয় তেল লাগলে বস্তুটাকে যতটুকু সমভব সরিয়ে শুকালেই পবিত্র হবে।তবে যদি ধৌত করা সম্ভব হয়,তাহলে ধৌত করতে হবে।

(৩)
 ডেস্ক বা টেবিলে যদি নাপাক লাগে, তাহলে তা শুকিয়ে গেলেই পবিত্র হয়ে যাবে।

(৪)
জ্বী, শুকালেই পবিত্র হবে।

(৫)
জ্বী, শুকানোই যথেষ্ট।
(৬)
জ্বী, শুকালেই পবিত্র হবে।

(৭)
তরকারির ঝোল পবিত্র।
(৮)
জ্বী, শুকালেই পবিত্র হবে।
(৯)
না হবে না।

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,
ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...
অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।
আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।
(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

এরকম শয়তানি প্ররোচনা থেকে বাচতে হলে, রাসূলুল্লাহ সাঃ এর বিধিনিষেধকে আন্তরিকতার সাথে গ্রহণ করতে হবে।সাথে সাথে ঐ চিন্তা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিতে হবে।এবং আল্লাহর কাছে ক্ষমা ভিক্ষা চাওয়া সহ আল্লাহর যিকিরে নিজেকে ব্যস্ত করে রাখতে পারলেই তবে এরকম শয়তানী ওয়াসওয়াসা থেকে নিজেবে বাঁচিয়ে রাখা সম্ভব।(আল-মিনহাজ-২/১৫৫-১৫৬)


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,140 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...