আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
421 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (22 points)
স্বামী স্ত্রী দূরে থাকি, আলাদা । স্বামী যদি স্ত্রীকে দেখতে চায় আর  স্রী যদি রাজি না হয়, তাহলে তার গুনাহ হবে কি..?

সহবাসের আগের নামাজ সম্পর্কে জানতে চাই। এইটা কি সুন্নত নাকি নফল..?

ফরজ গোসল করার নিয়ম জানতে চাই।


নামাজ ভঙের কারণ গুলো কি কি..?জানতে চাই

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
সহবাসের পূর্বে দু রাকাত নামায পড়া সুন্নতে যায়েদা যাকে নফল নামেও অভিহিত করা হয়ে থাকে।

https://www.ifatwa.info/229 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
গোসলের ফরয ১১টি।
(১)মুখ ধৌত করা।
(২)নাক ধৌত করা।
(৩)সমস্ত শরীর একবার ধৌত করা।
গোসলের ফরয সাধারনত এ তিনটিই। কেননা সমস্ত শরীরের মধ্যে পরবর্তী সবগুলাই ঢুকে গেছে।কিন্ত বিশেষ গুরুত্বের ধরুণ কোনো কোনো কিতাবে পৃথক পৃথক করে গননা করা হয়।
(৪)খতনাবিহীন ব্যক্তির পুরুষাঙ্গের অগ্রভাগের চামড়া যদি খুলতে কষ্ট হয়,তবে তার ভেতরাংশ ধৌত করা।
(৫)নাভি ধৌত করা।
(৬)শরীরের এরূপ ছিদ্রে পানি পৌঁছানো, যা বুঁজে যায়নি।
(৭)পুরুষের চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো, এতে চুলের গোড়ায় পানি পৌঁছা বা না পৌঁছার কোন শর্ত নেই।তবে মহিলার চুলের গোড়ায় যদি পানি পৌঁছে, তাহলে মহিলার চুলের বেণীর ভেতরে পানি পৌঁছানো ফরয নয়।
(৮)দাড়ির ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(৯)গোঁফের ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১০)ভ্রুর ভেতরস্থ চামড়া ধৌত করা।
(১১)যোনি মুখবরনের বহিরাংশ ধৌত করা। (শেষ)

নামায ভঙ্গের কারণ ১৯টি
১)  নামাজে অশুদ্ধ পড়া। নামাজে কুরআন তেলাওয়াতে যদি এমন কিছু ভুল হয় যার কারনে কুরআনে অর্থ পরিবর্তন হয়ে যায় । তাহলে নামাজ হবে না।
২)  নামাজের ভিতর কথা বলা। নামাজের ভিতর কারো সাথে কথা বল্লে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
৩)  কোনো লোককে সালাম দেওয়া। নামাজে থাকা অবস্থায় কাউকে সালাম দিলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
৪)  সালামের উত্তর দেওয়া। নামাজে থাকা অবস্থায় কারো  সালামের উত্তর  দিলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
৫)  উঃ – আহ শব্দ করা। বেথা-কষ্ট পেয়ে বা অন্য কোন কারনে উঃ – আহ অথবা এ ধরনের  কোন শব্দ করলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
৬)  বিনা কারণে কাশিঁ দেওয়া।  কারন ছাড়া কাশি দিলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
৭)  আমলে কাছির করা। ( নামাজ বিষয়ের কাজ ছাড়া অন্য কাজ কার ) আমলে কাছির নিয়ে বিভিন্ন মতবেদ আছে। তবে নির্ভরযোগ্য মত হল দুর থেকে কেউ দেখে যদি ভাবে আপনি নামাজ পড়ছেন না তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
৮)  বিপদে বা ব্যাথায় শব্দ করে কাদাঁ। দুনিয়াবি কোন বিষয়ের জন্য নামাজে যদি শব্দ করে কাদেন তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। যেমন, অসুস্থ হওয়া, কারো মৃত্যুর সংবাদে, বা কোন খারাপ সংবাদের কারনে কাদাঁ।
৯)  তিন তাছবিহ পরিমাণ সময় ছতর খুলে থাকা। পুরুশ বা মহিলারে প্রত্তেকের নিদ্দিষ্ট পরিমান সতরের কোন অংশ তিন তাছবি পরিমান সময় ছতর খোলা থাকলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে। ( তাসবিহ বলতে এখানে নামাজে আমরা ছোট যে দোয়া পড়ে থাকি সেগুলোকে বুঝানো হয়েছে। যেমন, সুবহানা রাব্বিয়াল আযিম / সুবহানা রাব্বিয়াল আ‘লা ইত্যাদি। )
১০)  মুকতাদি ছাড়া অন্য কোন লোক লোকমা ( ভুল ধারা )  দেয়া। (  জামাতের নামাজে  ইমামের পেছনে যারা  নামায পড়েন তাদের মুকতাদি বলে ) নামাজে ইমাম সহেব যখন ভুল করেন তখন মুকতাদি ছাড়া অন্য কেউ ভুল ধরা।
১১) সুসংবাদ ও দুঃখ সংবাদের উত্তর দেওয়া।
১২) নাপাক জায়গায় সিজদা দেওয়া। যেখোনে সিজদা করা হয় ঐ জায়গা পাক হতে হবে । নাপাক হলে নামাজ হবে না।
১৩) কিবলার দিক হইতে ছিনা ( বুক )  ফিরিয়ে নেওয়া।  তবে যানবাহনে নামাজের ক্ষেত্রে মাসআলা ভিন্ন।
১৪)  নামাজে কোরআন দেখিয়া পড়া। হানাফি মাজহাবে কুরআন দেখে পড়লে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
১৫) নামাজে কোনো কিছু  খাওয়া ও পান করা। নামাজ পড়া অবস্থা যদি কেউ খাবার খায় বা পান করে তাহলে নামাজ ভেঙ্গে যাবে।
১৬) নামাজে শব্দ করে হাসা। নামাজে শব্দ করে হাসলে অজুও ভেঙ্গে যাবে।
১৭) নামাজে হাচির উত্তর দওয়া।
১৮) নামাজে দুনিয়াবি কোনো কিছু প্রার্থনা করা। নামাজে এমন কিছু প্রর্থনা করা যেটা দুনিয়বি, যেমন, হে আল্লাহ আমাতে বাড়ি, গাড়ি দাউ ,সম্পদ ইত্যাদি প্রার্থনা করলেনামাজ ভেঙ্গে যাবে।
১৯) ইমামের আগে মুকতাদি দাড়ানো। ইমাম সাহেবের আগে মুক্তাদি নামাজে দাড়ানো।
এই ১৯টি বিষয় ছাড়াও নামাজ ভঙ্গার আরো কারণ আছে। যেমন—ইমামের আগে কোনো রোকন আদায় করে ফেলা, পাগল, মাতাল কিংবা অচেতন হয়ে যাওয়া। কোনো প্রাপ্তবয়স্ক গয়রে মাহরাম নারী পাশে এসে নামাজে দাঁড়িয়ে যাওয়া,  ইত্যাদি নামাজ ভঙ্গের কারণ। আমরা নামাজ পড়ার সময় এই সকল বিষয়ের প্রতি অবশ্যই খেয়াল রাখবো।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (597,330 points)
–1
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...