আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
174 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (101 points)
আসসালামুআলাইকুম,

১)যে টেবিলে কুরআন রেখে পড়া হয় সে টেবিলের প্রতি কেমন আচরণ করতে হবে?তা কি অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে? আর সেই টেবিলে পা লাগলে বা ধাক্কা লাগলে গোনাহ হবে কি?

২) যে টেবিলে আগে কুরআন পড়া হত কিন্তু এখন কুরআন পড়া হয় না ,সে টেবিলের সাথে আচরণ কীরূপ হবে?

৩)কিবলার দিকে এমনিতেই পা দিয়ে রাখা কি নাজায়েজ?

৪)মহিলাদের জন্য ছোট স্কুল ব্যাগ ধরনের "swag pack" বলে যেগুলোকে,তা ব্যবহার করা কি জায়েজ?

জাযাকাল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-

(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ

وَعَنْ عُمَرَ بْنِ الْخَطَّابِ قَالَ: قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ: إِنَّ اللهَ يَرْفَعُ بِهٰذَا الْكِتَابِ أَقْوَامًا وَيَضَعُ بِه اٰخَرِينَ

উমার ইবনুল খাত্ত্বাব (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা‘আলা এ কিতাব কুরআনের মাধ্যমে কোন কোন জাতিকে উন্নতি দান করেন। আবার অন্যদেরকে করেন অবনত।
(মুসলিম ৮১৭, ইবনু মাজাহ ২১৮, আহমাদ ২৩২, দারিমী ৩৪০৮, সুনানুল কুবরা লিল বায়হাক্বী ৫১২৫, শু‘আবূল ঈমান ২৪২৮, সহীহাহ্ ২২৩৯।)

 ★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,  
আদবের সম্পৃক্ততা হলো সমাজের সাথে।
যেই কাজকে সমাজ আদবের খেলাফ মনে করে,সে কাজ করা বেয়াদবি।
পক্ষান্তরে যেই কাজকে সমাজ আদবের খেলাফ মনে করেনা,সেটি করা বেয়াদবি নয়।

কুরআন শরিফ অনেক কিছুর উপরেই রেখে পড়া হয়।
যেমন রেহাল,সমাজে এই রেহালে পা লাগলে বা এই রেহালকে অন্য কাজে ব্যবহার করাকে বেয়াদবি মনে করা হয়,তাই রেহালের সাথে এহেন কিছু হলে বেয়াদবি হবে।

পক্ষান্তরে যেই টেবিলে কুরআন রেখে পড়া হয়,সেই টেবিলকে সাধারণত আমাদের সমাজে এতোটা আদব করা হয়না যে সেটাকে অন্য কোনো কাজে ব্যবহার করেইনা।
তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে উক্ত টেবিল অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে।
সেই টেবিলে পা লাগলে বা ধাক্কা লাগলে গুনাহ হবেনা।
,
তবে সেই টেবিলের উপর উঠে কোনো কাজ এটি ঠিক হবেনা।
এটি বেয়াদবি হবে।
এহেন কিছু হলে পরবর্তীতে সেই টেবিলে কুরআন রেখে পড়া হলে তার (টেবিলের) উপর কাপড় বিছিয়ে নিয়ে পড়বেন।
,
(০২)
অন্যান্য স্বাভাবিক টেবিলের ন্যায় সেটির সাথে আচরণ করা যাবে।
কোনো সমস্যা নেই।
,
(০৩)
হাদিসে রাসূল (সা.) কেবলার দিকে মুখ করে বা পিঠ দিয়ে ইস্তেঞ্জায় বসতে নিষেধ করেছেন।
হাদিস শরিফে এসেছে,

فَإِذَا أَتَى أَحَدُكُمُ الْغَائِطَ فَلَا يَسْتَقْبِلِ الْقِبْلَةَ، وَلَا يَسْتَدْبِرْهَا
‘রাসূল (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমাদের কেউ পায়খানায় গেলে কেবলামুখী হয়ে বসবে না এবং কেবলার দিকে পিঠ দিয়েও বসবে না।’ [সুনানে আবুদাউদ, হাদিস: ৮]
,
এই হাদিস থেকে বুঝা যায়, এমন কোনো কাজ করা যাবে না, যা কেবলার অসম্মান হয়। তাই কেবলার দিকে পা দিলেও যেহেতু তার অসম্মান বুঝায়, তাই কেবলা তথা পশ্চিম দিকে পা দিয়ে শোয়া মাকরূহ হবে। 

তবে অনিচ্ছায় হলে কোন সমস্যা নেই।
,   
বিস্তারিত জানুনঃ 

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ইচ্ছাকৃতভাবে ভাবে এমনিতেই কিবলার দিকে পা দেওয়া মাকরুহ হবে।
তবে অনিচ্ছায় হলে কোন সমস্যা নেই।
,
(০৪)
এতে কোনো সমস্যা নেই। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 169 views
...