ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
আমরা অনলাইন থেকে জেনেটিক সম্পর্কে জানতে পারি যে,
জীবদেহের ক্ষুদ্রতম একক কোষ। আর এই কোষের মধ্যে থাকে নিউক্লিয়াস, নিউক্লিয়াসের ভিতর ক্রোমোজোম, ক্রোমোজোমের ভিতর থাকে DNA, আর DNA এর নির্দিষ্ট খন্ড হল জিন। আর এই DNA ই হল জীবনের ভাষার সংকেত। অর্থাৎ এই DNA ই হল জীবের মৌলিক ভৌত ও কার্যিক একক এবং বংশ থেকে বংশান্তরে জীবের বৈশিষ্ট্য বহন করে। এইটা হল জেনেটিক্স।
https://www.ifatwa.info/12536 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন-পরিবর্ধন করা হারাম।কোরআন এবং হাদীসে তাকে শয়তানের কাজ বলে সাব্যস্ত করা হয়েছে।
যা দ্বারা শয়তান মানুষদেরকে গোমরাহ করে থাকে।
যেমনঃ- আল্লাহ তা'আলা বলেন,
ﺇِﻥ ﻳَﺪْﻋُﻮﻥَ ﻣِﻦ ﺩُﻭﻧِﻪِ ﺇِﻻَّ ﺇِﻧَﺎﺛًﺎ ﻭَﺇِﻥ ﻳَﺪْﻋُﻮﻥَ ﺇِﻻَّ ﺷَﻴْﻄَﺎﻧًﺎ ﻣَّﺮِﻳﺪًﺍ
তারা আল্লাহকে পরিত্যাগ করে শুধুমাত্র নারীর আরাধনা করে এবং তারা শুধুমাত্র অবাধ্য শয়তানের পূজা করে।
ﻟَّﻌَﻨَﻪُ ﺍﻟﻠّﻪُ ﻭَﻗَﺎﻝَ ﻟَﺄَﺗَّﺨِﺬَﻥَّ ﻣِﻦْ ﻋِﺒَﺎﺩِﻙَ ﻧَﺼِﻴﺒًﺎ ﻣَّﻔْﺮُﻭﺿًﺎ
আল্লাহ তা'আলা তাকে(শয়তানকে) অভিসম্পাত করেছেন।
শয়তান বললঃ আমি অবশ্যই তোমার বান্দাদের মধ্য থেকে নির্দিষ্ট অংশ গ্রহণ করব।
ﻭَﻷُﺿِﻠَّﻨَّﻬُﻢْ ﻭَﻷُﻣَﻨِّﻴَﻨَّﻬُﻢْ ﻭَﻵﻣُﺮَﻧَّﻬُﻢْ ﻓَﻠَﻴُﺒَﺘِّﻜُﻦَّ ﺁﺫَﺍﻥَ ﺍﻷَﻧْﻌَﺎﻡِ ﻭَﻵﻣُﺮَﻧَّﻬُﻢْ ﻓَﻠَﻴُﻐَﻴِّﺮُﻥَّ ﺧَﻠْﻖَ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻭَﻣَﻦ ﻳَﺘَّﺨِﺬِ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥَ ﻭَﻟِﻴًّﺎ ﻣِّﻦ ﺩُﻭﻥِ ﺍﻟﻠّﻪِ ﻓَﻘَﺪْ ﺧَﺴِﺮَ ﺧُﺴْﺮَﺍﻧًﺎ ﻣُّﺒِﻴﻨًﺎ
তাদপশুদেরেরকে পথভ্রষ্ট করব, তাদেরকে আশ্বাস দেব; কর্ণ ছেদন করতে বলব এবং তাদেরকে আল্লাহর সৃষ্ট আকৃতি পরিবর্তন করতে আদেশ দেব।
(আল্লাহ তা'আলা বললেন)যে কেউ আল্লাহ-কে ছেড়ে শয়তানকে বন্ধুরূপে গ্রহণ করবে,সে প্রকাশ্য ক্ষতিতে পতিত হবে।(সূরা নিসাঃ১৭-১৯)
ওহী নাযিলের সময় পৃথিবীতে খচ্ছর ছিল, কিন্তু খচ্ছরকে কুরআন বা হাদীস তাগায়্যুরে খালকিল্লাহ বলেনি। খচ্ছর মূলথ ঘোড়া এবং গাধার মিলনের পরই জন্ম হয়। কাজেই বুঝা গেল, দুটি পশু বা উদ্ভিদকে মিলিয়ে তৃতীয় আরেকটি পশু বা উদ্ভিদের জন্ম দেওয়া আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন-পরিবর্ধন নয়। যা হারাম হবে।
সুতরাং
প্রশ্নের বিবরণ অনুযায় নতুন কিছু সৃষ্টি করা আল্লাহর সৃষ্টিতে পরিবর্তন-পরিবর্ধন হবে না। আল্লাহর সাথে শিরক হবে না। কেননা আল্লাহ কোনো প্রকার আসবাব ব্যতীত-ই সৃষ্টি করেছিলেন। আর মানুষ আসবাব ব্যতীত সৃষ্টি করতে পারবে না।(শেষ)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
যতপ্রকার জ্ঞান বিজ্ঞান মানুষের কল্যাণে হবে, এবং আল্লাহর একত্ববাদের সাথে সংহতি প্রকাশ করবে, সেসব জ্ঞান বিজ্ঞান এবং তার আবিস্কার সবই জায়েয।সুতরাং জেনেটিক পদ্ধতিতে মানুষের কল্যাণে দুই উদ্ভিদ মিলিয়ে তৃতীয় কেনো উদ্বিধের জন্ম নাজায়েয বা হারাম নয়।
(২)
জেনেটিক মডিফাইড উদ্ভিদ বা প্রানী খাওয়া হালাল।
৩)বায়োটেকনলজী ব্যাবহার করে অনেক ঔষধ তৈরি করা হয়,সেগুলাও বৈধ।