বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী, সবার উপরই লা'নত আসবে।
(২)
লা'নত বলতে যেকোনো প্রকার আযাব ঐ ব্যক্তির উপর আসতে পারে।
(৩)
এখন উনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।
(৪)
যেহেতু উনি সই দিয়েই দিয়েছেন, এখন উনি আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।এবং ভবিষ্যতে আর সই করবেন না।
(৫)
যেহেতু উনি সুদ নিয়েই নিয়েছেন, তাই উনি এখন সুদসহ মূল টাকা ব্যাংককে পরিশোধ করবেন।এবং সাথে সাথে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইবেন।এবং ভবিষ্যতে আর সুদ গ্রহণ করবেন না।
(৬)
উনি যদি নিজের ভূল বুঝতে পেরে আল্লাহর কাছে ক্ষমা চেয়ে নেন, তাহলে অবশ্যই আল্লাহ তাকে ক্ষমা করে দেবেন।তখন তার উপর লা'নত পড়বে না।
(৭)
তার দায়িত্ব ও কর্তব্য হচ্ছে, সে আল্লাহর কাছে কায়মনোবাক্যে প্রার্থনা করবে।
(৮)
যদি কোনো মানুষের নিকট সুদ গ্রহণ ব্যতিত বিকল্প কোনো রাস্তা না থাকে,এবং জীবন পরিচালনা অনেক অনেক কষ্টকর হয়ে যায়, তাহলে ইস্তেগফারের সুদ গ্রহণ জায়েয হবে।
বিশিষ্ট হানাফি ফিকহ বিশারদ আল্লামা ইবনে নুজাইম লিখেন
ﻭَﻓِﻲ اﻟْﻘُﻨْﻴَﺔِ ﻭَاﻟْﺒُﻐْﻴَﺔِ: ﻳَﺠُﻮﺯُ ﻟِﻠْﻤُﺤْﺘَﺎﺝِ اﻻِﺳْﺘِﻘْﺮَاﺽُ ﺑِﺎﻟﺮِّﺑْﺢِ (اﻧْﺘَﻬَﻰ)
নিঃস্ব মুখাপেক্ষী মানুষের জন্য সুদের বিনিময়ে ঋণ গ্রহণ জায়েয।
আল-আশবাহ ওয়ান-নাযায়ের-১/৭৯;
বাহরুর রায়েক-৬/১৩৭;