বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
■ আল্লাহ
তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِنَّمَا الْخَمْرُ وَالْمَيْسِرُ
وَالْأَنصَابُ وَالْأَزْلَامُ رِجْسٌ مِّنْ عَمَلِ الشَّيْطَانِ فَاجْتَنِبُوهُ
لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ
হে মুমিনগণ, এই যে মদ, জুয়া, প্রতিমা এবং ভাগ্য-নির্ধারক শরসমূহ এসব শয়তানের অপবিত্র কার্য বৈ তো নয়। অতএব, এগুলো থেকে বেঁচে থাক-যাতে তোমরা
কল্যাণপ্রাপ্ত হও। (সূরা মায়েদা, আয়াত ৯০)
■ আল্লাহ
তায়ালা বলেন-
وَتَعَاوَنُوا عَلَى
الْبِرِّ وَالتَّقْوَىٰ ۖ وَلَا تَعَاوَنُوا عَلَى الْإِثْمِ وَالْعُدْوَانِ ۚ
وَاتَّقُوا اللَّهَ ۖ إِنَّ اللَّهَ شَدِيدُ الْعِقَابِ
সৎকর্ম ও খোদাভীতিতে একে অন্যের সাহায্য কর। পাপ ও সীমালঙ্ঘনের ব্যাপারে একে
অন্যের সহায়তা করো না। আল্লাহকে ভয় কর। নিশ্চয় আল্লাহ তা’আলা কঠোর শাস্তিদাতা।
(সূরা মায়িদা, আয়াত নং-২)
■ অন্যত্রে
তিনি ইরশাদ করেন-
يَسْأَلُونَكَ عَنِ
الْخَمْرِ وَالْمَيْسِرِ ۖ قُلْ فِيهِمَا إِثْمٌ كَبِيرٌ وَمَنَافِعُ لِلنَّاسِ
وَإِثْمُهُمَا أَكْبَرُ مِن نَّفْعِهِمَا ۗ وَيَسْأَلُونَكَ مَاذَا يُنفِقُونَ
قُلِ الْعَفْوَ ۗ كَذَٰلِكَ يُبَيِّنُ اللَّهُ لَكُمُ الْآيَاتِ لَعَلَّكُمْ
تَتَفَكَّرُونَ
তারা তোমাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞেস করে। বলে দাও, এতদুভয়ের মধ্যে রয়েছে মহাপাপ। আর মানুষের
জন্যে উপকারিতাও রয়েছে, তবে এগুলোর
পাপ উপকারিতা অপেক্ষা অনেক বড়। আর তোমার কাছে জিজ্ঞেস করে, কি তারা ব্যয় করবে? বলে দাও, নিজেদের প্রয়োজনীয় ব্যয়ের পর যা বাঁচে তাই খরচ করবে। এভাবেই আল্লাহ তোমাদের জন্যে নির্দেশ
সুস্পষ্টরূপে বর্ণনা করেন, যাতে তোমরা
চিন্তা করতে পার। (সূরা বাকারা, আয়াত ২১৯)
■ ফিকহুল বুয়ূ
কিতাবে উল্লেখ রয়েছে-
والحاصل ان الاجارة في الخدمة
المباحة إنما تصح اذا كانت اجرتها معلومة بانفرادها. ولا تصح فيما اذا لم تكن
اجرتها معلومة. فان كان كذلك في خدمات الفنادق...صارت اجرة المؤظف فيها مركبة
من الحلال والحرام...وحل التعامل معه بقدر الحلال.
মর্মার্থ: হালাল ও
হারাম মিশ্রিত হোটেলে হালাল পরিমাণ লেনদেন করা বৈধ। (ফিকহুল বুয়ূ, ২/১০৫৭)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. প্রথম কোম্পানীতে চাকরী করা আপনার জন্য জায়েজ নেই। কারণ. সেখানে জুয়ার
সহযোগিতা হবে এবং উক্ত রিপোর্টগুলো দিতে হলে তো আপনাকেও খেলা দেখতে হবে। আর
বর্তমান খেলাতে তো জুয়া, নাচগান ইত্যাদি তো রয়েছে। আর এগুলো সব হারাম।
২. আর রেস্টুরেন্টে যদি অন্য হালাল জিনিসের তুলনায় হারাম জিনিস
বিক্রি নিতান্তই কম থাকে,তাহলে ফুকাহায়ে কেরাম, এমন রেস্টুরেন্টে চাকরী করার
রুখসত দিয়ে থাকেন । সর্বোপরি এমন হোটেলে চাকরী না করাই উত্তম হবে এবং তাকওয়ার
নিকটবর্তী হবে।
৩. যদি মদের অর্ডার খুবই কম হয় বা এক দুই হয় আর বাকী সব
হালাল পণ্য তাহলে উক্ত রেস্টুরেন্টে চাকরী করা জায়েজ। তবে না করাই তাকওয়ার
নিকটবর্তী হবে। তবে আরেকটা কথা হলো মদ বা শূকরের মাংস বহন করার দ্বারা কত টাকা মত
মাসিক আসতে পারে সেই পরিমাণ টাকা বেতন থেকে সদকাহ করে দিতে হবে।
৪. কেউ যদি হারাম
টাকা দ্বারা হালাল ব্যবসা করে তাহলে এ সম্পর্কে উলামাদের মতবেদ রয়েছে। কেউ কেউ
সমস্ত মালকে সদকাহ করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। আবার কেউ কেউ শুধুমাত্র আসল তথা মূলধন
যা হারাম ছিল, সেই মালকে মূল মালিকের নিকট ফিরিয়ে দিতে পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কিংবা সদকাহ
করার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। বাকী লভ্যাংশটা গ্রহণ করার অবকাশ রয়েছে।