আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
69 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (26 points)
edited by
১. আমার বিকাশ একাউন্টে আমি ১৫০০ টাকা রিচার্জ করেছি,এর মধ্যে ১০০০ সম্পুর্ণ হালাল,বাকি ৫০০ টাকায় সুদ মিশ্রিত আছে কি না তা নিশ্চিত না তাই তা বিনা সাওয়াবের আশায় দান করে দিবো ইনশা'আল্লাহ,এখন আমি এই ৫০০ টাকা ব্যক্তিগত কোনো কাজে ব্যবহার করছি না,একাউন্টেই জমা আছে,বাকি ১০০০ টাকা হতে আমি নিজের খরচ করেছি,কোথাও কোথাও সদকাহ ও করেছি,এখন যেহেতু সেই ৫০০ আমি স্পর্শ করছি না,শুরু থেকেই একই পরিমাণ আছে,১০০০ থেকে শুধু দান সদকাহ করেছি,আমার সদকাহ গুলো কি হবে? এমন ও হয়েছে যে ওই ৫০০ টাকার চেয়ে হালাল ১০০০ থেকে খরচ করতে করতে মোট হিসাব করলে হালাল টাকার পরিমাণ কমে গেছে,আমার সদকাহ গুলো কি হবে?

২. আমার কোনো এক কাপড় অপবিত্র বলে আমার সন্দেহ তাই অন্যান্য কাপড়ের সাথে তা ধুতে দেইনি,কিন্তু আজকে কেউ সেই কাপড়টা ধুতে দিয়েছে,বুয়া সকল কাপড় আবার একত্রে ধৌত করেন,আমি বাহির থেকে এসে দেখি কাপড় ধুয়ে শুকানোও প্রায় শেষ,এখন যেহেতু অপবিত্র কাপড়ের পানিও অপবিত্র তাহলে কি বাকি কাপড় গুলোও আবার পবিত্র করার নিয়মে ধুতে হবে নাকি যে একবার ধোয়া হয়েছে তাতেই হবে?

৩. কাজের বুয়া ঘর সাফ করতে আসলেই আমার সকল জিনিষ পত্র ওলট পালট করে রেখে যান,প্রতিবার ই আমার তা আবার গুছাতে হয়,আমার একটি জিনিষের ও প্রায় ক্ষতি হয়ে যাচ্ছিলো তার বেখেয়ালির কারণে,এখন গীবত হয়ে যাবে এই কারণে পরিবারকে তার ভুলের কথা তার পিঠ পিছে বলতে চিন্তা হচ্ছে,আবার তিনি কষ্ট পেতে পারেন বলে তাকেও মুখের উপর বলছি না,কিভাবে পরিবারের কাছে আমার এ সমস্যার কথা বললে গীবত হবেনা,পরিবার থেকে কারণ জানতে চাইলে যদি তার দোষের কথা তার পিছনে বলি এতে কি গোনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (708,800 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
জ্বী,  আপনার সদকাহ হবে।আপনার সদকাহ গ্রহণযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।

(২)
যদি সকর কাপড়কে একত্রে কোনো বালতিতে রেখে ধৌত করা হয়ে থাকে, তাহলে সকল কাপড়কে আবার ধৌত করতে হবে।

(৩)
https://www.ifatwa.info/1715 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
الرابع: تحذير المسلمين من الشر، وذلك من وجوه خمسة كما ذكر النووي.
أولا: جرح المجروحين من الرواة والشهود، وذلك جائز بالإجماع، بل واجب صونا للشريعة.
ثانيا. الإخبار بغيبة عند المشاورة في مصاهرة ونحوها.
ثالثا: إذا رأيت من يشتري شيئا معيبا أو نحو ذلك، تذكر للمشتري إذا لم يعلمه نصيحة له، لا لقصد الإيذاء والإفساد.
رابعا: إذا رأيت متفقها يتردد إلى فاسق أو مبتدع يأخذ عنه علما. وخفت عليه ضرره، فعليك نصيحته ببيان حاله قاصدا النصيحة.
خامسا: أن يكون له ولاية لا يقوم لها على وجهها لعدم أهليته أو لفسقه، فيذكره لمن له عليه ولاية ليستبدل به غيره أو يعرف. فلا يغتر به ويلزمه الاستقامة.
(চার) মুসলমানকে কারো মন্দ থেকে বাঁচাতে গিবত করা। এটা পাঁচ ভাবে হতে পারে।যথাঃ-
(১)হাদীসের রাবীদের দোষত্রুটি নিয়ে আলোচনা করা।এটা সর্বসম্মতিক্রমে জায়েয।এমনকি শরীয়তকে বাঁচানোর জন্য এটা ওয়াজিব পর্যায়ের।
(২)বিয়ে-শাদীতে কোনো এক পক্ষের খোঁজ নিতে গিয়ে মাশওয়ারার সময় কারো সম্পর্কে সঠিক সংবাদ দেয়া।
(৩)ক্রেতাকে অজ্ঞাতবশত কোনো দোষণীয় জিনিষ ক্রয় করতে দেখলে, তখন তাকে সে সম্পর্কে সতর্ক করে দেয়া।বিক্রেতাকে কষ্ট দেয়া বা ফাসাদ সৃষ্টি করার মনোভাব থাকলে তখন জায়েয হবে না।
(৪)যদি কেউ দেখে যে একজন ফকিহ কোনো এক ফাসিক বা বিদাতি লোকের নিকট থেকে দ্বীন গ্রহণ করছে,তাহলে নসিহতের উদ্দেশ্যে ঐ ফকিহকে বাস্তব হাল সম্পর্কে জ্ঞাত করা উচিত।
(৫)যদি কোনো ব্যক্তির উপর কারো অভিভাবকত্ব থাকে,কিন্তু সে কোনো কারণে ঐ ব্যক্তির উপর কর্তৃত্ব বাস্তবায়ন করে ওকে শাসন করতে পারে না,এমতাবস্থায় সে তার অভিভাবক(অর্থাৎ ঐ অভিভাবকের অভিভাবক)এর নিকট প্রকৃত অবস্থা বর্ণনা করতে পারবে।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
জ্বী, আপনি আপনার পরিবারের নিকট উক্ত বুয়া সম্পর্কে বলতে পারবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 132 views
...