উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
রাসুল সাঃ আশুরা উপলক্ষে মুসলমানদেরকে মুহাররমের ১০ তারিখ এবং এর আগের বা পরের দিন মোট ২ টি রোযা রাখতে নির্দেশ করেছেন।
আশুরার রোযা, ৯ ও ১০ ই মুহররম যেমন রাখা যায়, তেমনি ১০ ও ১১ তারিখও রাখা যায়। উভয় অবস্থার যেকোনো এক অবস্থায় রোযা রাখতে হবে।
আশুরার রোযা রাখা মুস্তাহাব।
হাদীসে এসেছে,
قَالَ رَسُولُ اللهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: ” صُومُوا يَوْمَ عَاشُورَاءَ، وَخَالِفُوا فِيهِ الْيَهُودَ، صُومُوا قَبْلَهُ يَوْمًا، أَوْ بَعْدَهُ يَوْمًا
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন, তোমরা আশুরার রোযা রাখ ইহুদীদের সাদৃশ্য পরিত্যাগ করে; আশুরার আগে বা পরে আরো একদিন রোযা রাখ। [মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-২১৫৪, ১/২৪১]
,
বাংলাদেশে আশুরা (মুহাররমের ১০ তারীখ) আগামী রবিবার হবে।
সেই সুবাদে আমরা শনিবার এবং রবিবার বা রবিবার এবং সোমবার রোযা রাখবো।
.
এই রোযার ফজিলত সম্পর্কে হাদীস শরীফে এসেছে
حَدَّثَنَا قُتَيْبَةُ، وَأَحْمَدُ بْنُ عَبْدَةَ الضَّبِّيُّ، قَالاَ حَدَّثَنَا حَمَّادُ بْنُ زَيْدٍ، عَنْ غَيْلاَنَ بْنِ جَرِيرٍ، عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ مَعْبَدٍ الزِّمَّانِيِّ، عَنْ أَبِي قَتَادَةَ، أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ " صِيَامُ يَوْمِ عَاشُورَاءَ إِنِّي أَحْتَسِبُ عَلَى اللَّهِ أَنْ يُكَفِّرَ السَّنَةَ الَّتِي قَبْلَهُ "
আবু কাতাদা (রাঃ) হতে বর্ণিত আছে, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আল্লাহ তা'আলার নিকট আমি আশাপোষণ করি যে, তিনি আশূরার রোযার মাধ্যমে পূর্ববর্তী এক বছরের (গুনাহ) ক্ষমা করে দিবেন।
(তিরমিজি শরীফ ৭৫২ নং হাদীস)