জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
حَدَّثَنَا مُوسَى بْنُ إِسْمَاعِيلَ، حَدَّثَنَا حَمَّادٌ، ح وَحَدَّثَنَا أَبُو كَامِلٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الْوَاحِدِ، وَخَالِدٌ الطَّحَّانُ، - الْمَعْنَى - كُلُّهُمْ عَنْ خَالِدٍ، عَنْ أَبِي تَمِيمَةَ الْهُجَيْمِيِّ، أَنَّ رَجُلاً، قَالَ لاِمْرَأَتِهِ يَا أُخَيَّةُ . فَقَالَ رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم " أُخْتُكَ هِيَ " . فَكَرِهَ ذَلِكَ وَنَهَى عَنْهُ .
মূসা ইবন ইসমাঈল .......... আবূ তামীমা আল্ হুজায়মী (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে হে আমার ভগ্নি বলে সন্বোধন করে। রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে জিজ্ঞাসা করেন, সে কি তোমার (সত্যই) ভগ্নি? তিনি তা অপছন্দ করেন এবং তাকে এরূপ বলতে নিষেধ করেন।
(আবু দাউদ ২২০৭)
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
শরীয়তের বিধান হলো ইচ্ছেকৃত ভাবে নিজের স্ত্রীকে মেয়ে বলা,বা এইভাবে ইচ্ছাকৃতভাবে তাকে অন্যের সামনে মেয়ে বলে পরিচয় করে দেওয়া মাকরুহ।
কিন্তু এতে করে স্ত্রী তালাক হবে না।
ويكره قوله: أنت امى ويا ابنتى ويا اختى (الدر المختار، كتاب الطلاق، باب الظهار-5/131
সারমর্মঃ
স্বামীর জন্য স্ত্রীকে লক্ষ্য করে এ ধরনের শব্দ বলে ডাকা মাকরুহঃ
হে আমার মা,হে আমার মেয়ে,হে আমার বোন!
★একই ভাবে স্বামীকে বাবা বলে ডাকা যাবেনা,কাহারো সামনে এইভাবে পরিচয় করিয়ে দেওয়া যাবেনা।
স্বামী কিছুতেই বাবা হতে পারেন না। তাই তাকে বাবা বলে ডাকা যাবে না।
তবে এতে কোনো তালাক হবেনা, বিবাহ নষ্ট হয়ে যাবে না।
(রদ্দুল মুহতার ৩/৪৭০)
(০২)
এক্ষেত্রে উক্ত নামাজের ওয়াক্তের পাশাপাশি কোন দিনের নামাজ,সেটিও নির্দিষ্ট করতে হবে।
পূর্বের কাযা নামায আদায় করার সহজ নিয়মঃ-
এভাবে নিয়ত করবে যে, আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা রয়েছে, সে অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম ফজরের নামাযকে এখন কাযা আদায় করছি” এমন নিয়তে নামায আদায় করবে।এভাবে হিসেবে করে পড়তে থাকবে।
প্রতিবার অনাদায়কৃত প্রথম ফজরের নামায বলার দ্বারা তার যিম্মায় যতগুলো নামায বাকি ছিলো, সেগুলোর প্রথম নামাযের নিয়ত হচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে নিয়তটি নির্দিষ্ট নামাযেরই হচ্ছে।
ঠিক উল্টোভাবেও করা যায়। অর্থাৎ যত নামায কাযা আছে তার সর্বশেষ অনাদায়কৃত কাযার নিয়ত করছি। এভাবেও পূর্বোক্ত পদ্ধতিতে বাকি নামাযের কাযা আদায় করা যাবে।
বিস্তারিত জানুনঃ