ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-
(০১)
বিতর নামাযে দুআয়ে কুনুত পড়া ওয়াজিব।
এটি তৃতীয় রাকাতে সূরা ফাতিহা ও সাথে সূরা মিলিয়ে তাকবীর বলে হাত বেঁধে পড়তে হয়।
দুআয়ে কুনুত হল,
اللهُمَّ إِنَّا نَسْتَعِينُكَ وَنَسْتَغْفِرُكَ , وَنُثْنِي عَلَيْكَ الْخَيْرَ كُلَّهُ وَنَشْكُرُكَ وَلَا نَكْفُرُكَ وَنَخْلَعُ وَنَتْرُكُ مَنْ يَفْجُرُكَ اللهُمَّ إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَلَكَ نُصَلِّي , وَنَسْجُدُ وَإِلَيْكَ نَسْعَى وَنَحْفِدُ نَرْجُو رَحْمَتَكَ وَنَخْشَى عَذَابَكَ إِنَّ عَذَابَكَ بِالْكُفَّارِ مُلْحِقٌ
শরহু মাআনিল আছার, হাদীস নং-১৪৭৫।
কুনুতের উদ্দেশ্য হচ্ছে- দোয়া করা।
হাদীসে উল্লেখিত দোয়া পড়বে বা কোনো দোয়া মূলক আয়াত পাঠ করতে হবে।
তাই যেসব আয়াতে দোয়া আছে সেসব আয়াত পড়া ও সেগুলো দিয়ে কুনুত করা জায়েয হবে। যেমন ধরুন আল্লাহ তাআলার বাণী:
رَبَّنَا لَا تُزِغْ قُلُوبَنَا بَعْدَ إِذْ هَدَيْتَنَا وَهَبْ لَنَا مِنْ لَدُنْكَ رَحْمَةً إِنَّكَ أَنْتَ الْوَهَّابُ [آل عمران: 8]
(অনুবাদ:হে আমাদের রব্ব! সরল পথ প্রদর্শনের পর তুমি আমাদের অন্তরকে সত্য লংঘনে প্রবৃত্ত করোনা এবং তোমার নিকট থেকে আমাদিগকে অনুগ্রহ দান কর। তুমিই সব কিছুর দাতা।)[সূরা আলে ইমরান, আয়াত: ৮]
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে দোয়ায়ে কুনুত পুরাটা পাঠ করা হয়নি,কিছু অংশ পাঠ করা হয়েছে,এতে সালাত আদায় হয়ে যাবে।
(০২)
তিনি যদি সাহেবে তারতিব হোন,তাহলে তাহলে তাকে এক্ষেত্রেও আগে সেই কাজা নামাজ আদায় করতে হবে,পরবর্তীতে এই ওয়াক্তের ফরজ নামাজ আদায় করতে হবে।
জামা'আত শেষ হয়ে গেলে একাকী এই ওয়াক্তের ফরজ নামাজ আদায় করবে।
আর যদি সাহেবে তারতিব না হয়,তাহলে সে জামা'আতের নামাজে শরীক হবে।
,
সাহেবে তারতিব কাকে বলে, জানুনঃ
,
(০৩)
এক্ষেত্রে সব ছুরতেই আগে সেই ওয়াক্তের নামাজ আদায় করতে হবে।
পরবর্তীতে আগের কাজা নামাজ আদায় করতে হবে।