আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
208 views
in সালাত(Prayer) by (8 points)
তীব্র অসুস্থতার কারণে কোনো ব্যক্তির ৭ ও ৮ তারিখ মোট ৯ ওয়াক্ত নামাজ কাযা হয়ে গেছে। পরবর্তীতে ৯ ও ১০ তারিখ কেবল ওই দিনের সালাত আদায় করেছে, কাযা আদায় করেনি। আবার ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ সে সালাত কাযা করে ফেলে। এখন— ১) কাযা নামায আদায়ের সময় যদি আগে ১১ থেকে ১৩ তারিখের কাযা সালাত আদায়ের নিয়ত করে, তারপরে পূর্বের ৭, ৮ তারিখের কাযা নামাযগুলো আদায় করে সেটা কি সঠিক? যদি ভুল হয়ে থাকে তবে কি ৭,৮ রারিখের কাযা সালাত আদায়ের পর আবার ১১-১৩ তারিখের কাযা সালাত আদায় করে নিতে হবে? ২) এর মাঝে ৭ তারিখে সে মুসাফির ছিল, তাই এ দিনের জন্য আলাদা কোনো কথা আছে কিনা। মানে এ দিনের সালাতই আগে আদায় করতে হবে— এমন কিছু? ৩) মাঝখানে ৯, ১০ তারিখ সে ঠিক কয় ওয়াক্ত সালাত আদায় করেছে এবং কাযা তা এখন আর তার স্মরণ নেই। একবার ধারণা হচ্ছে কয়েক ওয়াক্ত সালাত হয়ত পড়েছে— কোন কোন ওয়াক্ত মনে নেই। একদিনের মাগরিব ও এশার সালাত সে আদায়ের দৃঢ় মনোস্থির করেছিল, কিন্তু শেষপর্যন্ত আদায় করতে পেরেছিল কিনা মনে নেই। এক্ষেত্রে কি করণীয়। এক ওয়াক্ত সালতও আদায় করেনি ধরে নিয়ে এ দুইদিনের সব ওয়াক্ত সালাত কাযা করে নিবে কিনা?

1 Answer

+1 vote
by (590,550 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/5822 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইবনে আবেদীন শামী রাহ কাযা নামায পড়ার নিয়ম এভাবে দিয়েছেন যে,উমুরী কাযা নামায আদায় করতে হলে প্রথমে কোন ওয়াক্তের কতটা নামায কাযা হয়েছে তা নির্ণয় করবে।যদি সেটা নির্ণয় করা সম্ভব না হয়। তাহলে অনুমান করে নিবে। অনুমান করে কোন ওয়াক্তের কতটি নামায কাযা হয়েছে সেটা নির্ধারণ করে নিবে। তারপর ধারাবাহিকভাবে একে একে সবগুলোকে  আদায় করে নিবে।

যেমন-
ফজরের নামায সর্বমোট ১০০ ওয়াক্তের কাযা হয়েছে। তখন কাযা নামায আদায় করার সময় এভাবে নিয়ত করবে যে, আমার জিম্মায় যত ফজরের নামায কাযা রয়েছে, সে অনাদায়কৃত নামায সমূহের মধ্য থেকে প্রথম ফজরের নামাযকে এখন কাযা আদায় করছি” এমন নিয়তে নামায আদায় করবে।এভাবে হিসেবে করে পড়তে থাকবে। প্রতিবার অনাদায়কৃত প্রথম ফজরের নামায বলার দ্বারা তার যিম্মায় যতগুলো নামায বাকি ছিলো, সেগুলোর প্রথম নামাযের নিয়ত হচ্ছে, তাই এক্ষেত্রে নিয়তটি নির্দিষ্ট নামাযেরই হচ্ছে।ঠিক উল্টোভাবেও করা যায়। অর্থাৎ যত নামায কাযা আছে তার সর্বশেষ অনাদায়কৃত কাযার নিয়ত করছি। এভাবেও পূর্বোক্ত পদ্ধতিতে বাকি নামাযের কাযা আদায় করা যাবে।(রদ্দুল মুহতার-২/৫৩৮)
এ ধারাবাহিকতায় বাকি নামায সমূহের ক্বাযা আদায় করবে।
যোহর, আছর, মাগরিব, ইশা এবং সাথে বিতিরের নামাযকে ও এভাবেই আদায় করে নিবে।বিতিরের নামাযের ক্বাযা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/629
উমরী কাযা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/968

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
(১)
কাযা আদায়ের ক্ষেত্রে সর্বপ্রথম বা সর্বশেষ কাযা নামায কে নির্দিষ্ট করে পড়তে হয়।সুতরাং আপনার নামায বিশুদ্ধ হয়েছে।আবার দোহড়ানোর কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।

(২)
না, এমন কোনো কথা নেই।তবে কসরের কাযা কসর করেই করতে হবে।

(৩)
শতচেষ্টার পরও যদি স্বরণে না আসে, তাহলে তখন সে কোনো নামাযই আদায় হয়নি ধরে নিয়ে সে উক্ত দিনগুলির সম্পূর্ণ নামায আদায় করে নেবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (590,550 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

...