আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
270 views
in সালাত(Prayer) by (19 points)
السلام عليكم ورحمة الله
রাতে বিতর নামাজ না পড়ে তাহাজ্জুদের পরে পড়ার জন্য্য রেখে দিলে যদি তাহাজ্জুদ উঠতে না পারে তাহলে বিতর নামাজের কাযা আদায়ের নিয়ম কি?ইউটিউবে একবার দেখছিলাম যারা দুই/চার রাকাত পড়তে হবে। এরকম টাইপের কিছু একটা বলছিল। ওখানে
 নিয়মটা বুঝতেছি না।যদি ৪ রাকাত পড়ে তাহলে দুয়া কুনুত কোন রাকাতে
 পড়বে?

পরের দিন কতক্ষণের মধ্যে নামাজ আদায় করতে হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


বিতির নামাজ ওয়াজিব, ছুটে গেলে সেটির কাজা আদায় করাও ওয়াজিব,তাই প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সেই বিতির নামাজের কাজা আদায় করতে হবে।

এক্ষেত্রে আপনাকে তিন রাকাত আদায় করতে হবে।
স্বাভাবিক ভাবে শেষ রাকাতে রুকুর আগে তাকবির বলে হাত বেধে দোয়ায়ে কুনুত পড়বেন।
জন সম্মুখে বা মসজিদে বিতর এর কাজা আদায় করলে ৩য় রাকাতে দোয়ায়ে কুনুতের আগে হাত উত্তোলন করবেননা।

পরের দিনও আপনি যেকোনো সময় এই বিতরের কাজা আদায় করতে পারবেন।

তবে আপনার জিম্মায় সারা জীবনে যদি ৫ ওয়াক্তের বেশি নামাজ কাজা আবশ্যক না থাকে,সেক্ষেত্রে আপনি ফজরের ফরজ নামাজের আগেই বিতরের কাজা আদায় করবেন।

হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

عَنْ أَنَسِ بْنِ مَالِكٍ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ -صلى الله عليه وسلم- « إِذَا رَقَدَ أَحَدُكُمْ عَنِ الصَّلاَةِ أَوْ غَفَلَ عَنْهَا فَلْيُصَلِّهَا إِذَا ذَكَرَهَا فَإِنَّ اللَّهَ يَقُولُ أَقِمِ الصَّلاَةَ لِذِكْرِى

অনুবাদ-যখন তোমাদের কেউ নামায ছেড়ে ঘুমিয়ে পড়ে, বা নামায থেকে গাফেল হয়ে যায়, তাহলে তার যখন বোধোদয় হবে তখন সে যেন তা আদায় করে নেয়। কেননা আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেছেন-আমাকে স্মরণ হলে নামায আদায় কর।
(সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-১৬০১
মুসনাদে আহমাদ, হাদীস নং-১২৯৩২
সুনানে বায়হাকী কুবরা, হাদীস নং-৪১৮২)

ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়ায় বর্ণিত রয়েছে,

وفي الفتاوى رجل يقضي الفوائت فإنه يقضي الوتر وإن لم يستيقن أنه هل بقي عليه وتر أو لم يبق فإنه يصلي ثلاث ركعات ويقنت ثم يقعد قدر التشهد ثم يصلي ركعة أخرى فإن كان وترا فقد أداه وإن لم يكن فقد صلى التطوع أربعا ولا يضره القنوت في التطوع

ফাতাওয়ার কিতাব সমূহে বর্ণিত রয়েছে,একজন ব্যক্তি সে তার জীবনের ছুটে যাওয়া নামায সমূহের কা'যা করতেছে।তাহলে সে বিতিরেরও কা'যা করবে।যদি নিশ্চিত না থাকে যে,তার উপর কোনো বিতির কা'যা রয়েছে কি না?তাহলে সে তিন রা'কাত কা'যা পড়বে,এবং কুনুত করবে।অতঃপর তাশাহুদ পরিমাণ সময় বৈঠক করবে।অতঃপর আরো এক রাকাত পড়বে।যদি সেটা বিতির হয়ে থাকে, তাহলে সেটা আদায় হয়ে যাবে।আর যদি বিতির না হয়ে থাকে,তাহলে তো সে চার রাকাত পড়েই নিয়েছে যা নফল হিসেবে গণ্য হবে।নফল নামাযে কুনুত করাতে কোনো সমস্যা নেই।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/১২৫)

বিতির নামাজের কাযা সংক্রান্ত আরো জানুন 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (19 points)
আজকে আমার বিতর কাযা হয়েছে সেটা স্মরণে ছিল।কিন্তু ফজরের পূর্বে বিতরেরর কাযা পড়ি নি।কারণ ফজরেরে পূর্বে বিতর না পড়লে ফজর ফাসিদ হয়ে যাবে এইটা জানা ছিল না
এখন কি করণীয়? ফজর কি কাযা পড়ে নিব?

হযরত আয়েশা রাযি থেকে বর্ণিত,
، قالت أمّ المؤمنين عائشة -رضي الله عنها- أنّ النبيّ صلّى الله عليه وسلّم: (كان إذا غلبه نومٌ أو وجَعٌ عن قيامِ الليلِ صلَّى من النهارِ ثِنتي عشرةَ ركعةً)
রাসূলুল্লাহ সাঃ এর যখন বেশ ঘুম চলে আসতো বা শারিরিক ক্লান্তি কারণে কিয়ামুল লাইল করতে পারতেন না তখন দিনে বার রা'কাত নামায পড়ে নিতেন।(সহীহ মুসলিম-৭৪৬)
উস্তাদ -ই হাদিসটি বুঝিনি।১২ রাকাত বলতে কিসের নামাজ বুঝাইছে?
by (678,880 points)
আপনার ফজর নামাজ আদায় হয়ে গিয়েছে। 
কাজা পড়তে হবেনা।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 136 views
0 votes
1 answer 94 views
...