بسم الله الرحمن الرحيم
জবাব,
https://ifatwa.info/3915/ নং ফাতওয়াতে আমরা উল্লেখ
করেছি যে,আসরের ওয়াক্তের বিষয়ে আমাদের ইমামদের মাঝেই মতভেদ হয়ে
গেছে। তাই ফক্বীহগণ বলেন, উত্তম ও সতর্কতা এটাই যে, বস্তুর ছাড়া দ্বিগুণ হওয়ার আগে আসরের নামায পড়বে না। তবে যদি কেউ পড়ে নেয়,
তাহলে মতভেদ থাকার কারণে নামাযকে বাতিল বলা যাবে না। বরং সহীহ হয়ে গেছে
বলেই ধতব্য হবে। তাই ফিতনার আশংকা না হলে আলাদা পড়া উত্তম। তবে ফিতনার শংকা হলে এক
সাথে পড়া যাবে।
হাদীস শরীফে এসেছে,
قَالَ أَبُو هُرَيْرَةَ: أَنَا أُخْبِرُكَ، صَلِّ
الظُّهْرَ، إِذَا كَانَ ظِلُّكَ مِثْلَكَ.وَالْعَصْرَ، إِذَا كَانَ ظِلُّكَ
مِثْلَيْكَ.
হযরত আবূ হুরায়রা রাঃ বলেন, আমি তোমাদের জানাচ্ছি যে, যখন তোমার ছায়া তোমার সমান হয়, তখন যোহরের নামায পড়,
আর যখন তা দ্বিগুণ হয়, তখন আসরের নামায পড়। {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-১২, ৯,
মুসান্নাফ আব্দুর রাজ্জাক, হাদীস নং-২০৪১,
কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২১৭৩৪}
قال المشائخ: ينبغى أن لا يصلى العصر حتى يبلغ المثلين،
ولا يؤخر الظهر إلى أن يبلغ المثل ليخرج من الخلاف فيها، (الحلبى الكبير، كتاب
الصلاة، بحث فروع فى شرح الطحاوى-227، رد المحتار، كتاب الصلاة-1/359، البحر
الرائق، كتاب الصلاة-1/425-426، حاشية الطحطاوى على الدر المختار، كتاب
الصلاة-1/173)
যার সারমর্ম হলো ২ মিছিল হওয়ার পর আছরের নামাজ পড়বে,এক মিছিল পর্যন্ত জোহরের
নামাজ দেড়ি করবেনা। যাতে ইমামদের ইখতিলাফ থেকে বাঁচা যায়।
বিস্তারিত জানুন :https://www.ifatwa.info/705
**যদি সূর্যাস্তের পূর্বে ঐ দিনের আসরের এক রা'কাত নামায পড়ার পরিমাণ সময় পায়,এবং সে নামাযে দাড়িয়ে
যায় অতঃপর নামাযের মধ্যেই সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে তার নামায
ফাসিদ হবে না।এটা হানাফি মাযহাবের সিদ্ধান্ত।এবং অন্যান্য তিন মাযহাবে ফুকাহায়ে কেরামগণও
এই অভিমত ব্যক্ত করেন।
فإذا غربت الشمس في أثناء الصلاة لم يفسد العصر؛ لأنه
ما بعد الغروب كامل كما دل فيه لأن ما وجب ناقصا يتادى كاملا بطريق الأولى
যদি আছরের নামাযের সময় সূর্যাস্ত হয়ে যায়,তাহলে ঐ আছরের নামায
ফাসিদ হবে না।কেননা সূর্যাস্তর পর সময়টা কামিল(ত্রুটিহীন)।যেহেতু নামায শুরু করার পূর্ব
মূহুর্তটা নামায ফরয হওয়ার সবব বা কারণ।তাই বলা যায় তার উপর নাক্বিসভাবে তথা ত্রুটিপূর্ণ
ওয়াক্তে বা অবস্থায় নামায ফরয হয়েছে।আর যে নামায ত্রুটিপূর্ণ অবস্থায় ফরয হয়েছিলো এবং
শুরুও হয়েছিলো,সে নামায কামিল ওয়াক্ত তথা ত্রুটিহীন অবস্থায় উত্তমভাবে
আদায় হবে।(বেনায়া শরহে হেদায়া-২/২৩-শামেলা) সূর্যাস্তের সময় ঐ দিনের আছরের নামায হবে।
(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম-২/৩৫;)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেনঃ
عن أبي هريرة: أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال:
«من أدرك من الصبح ركعة قبل أن تطلع الشمس، فقد أدرك الصبح، ومن أدرك ركعة من
العصر قبل أن تغرب الشمس، فقد أدرك العصر»
তরজমাঃ- যে ব্যক্তি সূর্যোদয়ের পূর্বে ফজরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে
সে যেন ফজরের নামাযকে পেয়ে গেল।যে ব্যক্তি সূর্যাস্তের পূর্বে আসরের এক রা'কাত নামাযের সময় পাবে সে যেন আসরের নামাযকে পেয়ে গেল।(সহীহ বুখারী-৫৭৯,সহীহ মুসলিম-৬০৮)
উকবা বিন আমের জুহানী
রাযি. বলেন,
ثَلاثُ سَاعَاتٍ كَانَ رَسُولُ اللَّهِ ﷺ يَنْهَانَا
أَنْ نُصَلِّيَ فِيهِنَّ أَوْ أَنْ نَقْبُرَ فِيهِنَّ مَوْتَانَا : حِينَ تَطْلُعُ
الشَّمْسُ بَازِغَةً حَتَّى تَرْتَفِعَ وَحِينَ يَقُومُ قَائِمُ الظَّهِيرَةِ
حَتَّى تَمِيلَ الشَّمْسُ وَحِينَ تَضَيَّفُ الشَّمْسُ لِلْغُرُوبِ حَتَّى
تَغْرُبَ
তিনটি সময়ে রাসুল ﷺ আমাদেরকে নামাজ পড়তে এবং মৃতের দাফন করতে নিষেধ করতেন। সূর্য উদয়ের সময়; যতোক্ষণ না তা পুরোপুরি
উঁচু হয়ে যায়। সূর্য মধ্যাকাশে অবস্থানের সময় থেকে নিয়ে তা পশ্চিমাকাশে ঢলে পড়া পর্যন্ত।
যখন সূর্য অস্ত যায়। (সহীহ মুসলিম ১৩৭৩)
وغروب إلا عصر یومہ فلا یکرہ فعلہ لأدائہ کما وجب
بخلاف الفجر۔
(درمختار مع الشامي ۲؍۳۲،
ہدایۃ ۱؍۱۳۰، الفتاویٰ التاتارخانیۃ ۲؍۱۴رقم:
۱۵۱۷
زکریا)
সারমর্মঃ তবে সেই দিনের আছরের নামাজ,সেই নামাজ আদায় করা
মাকরুহ নয়।
বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন- https://www.ifatwa.info/471
সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১.সুতরাং বিশেষ প্রয়োজনে যদিও ইমাম আবু ইউসুফ ও ইমাম মুহাম্মাদ
এর মতের উপর আমল করলে নামাজ হয়ে যাবে,তবে সতর্কতা মূলক ইমাম আবু হানিফা রহঃ এর মতের
উপর আমল করাই উত্তম।
২.আসরের নামাজ মুস্তাহাব ওয়াক্ত আদায় করার চেষ্টা করবে। তবে
যদি কোন কারণে ঐ দিনের আসরের নামাজ সূর্য হলুদ হওয়া থেকে সূর্যাস্তের পূর্বেই পড়ে নেই
তাহলে তা জায়েয আছে এবং তা মাকরুহও হবে না। তবে সেদিনের আসর ছাড়া অন্য কোন নামাজ উক্ত
সময়ে পড়লে তা মাকরুহে তাহরীমী হবে।