উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم
শরীয়তের বিধান হলো মুহাম্মাদ নামের ব্যাক্তিকে ধমক দেওয়া যাবে,তার সাথে জোড়ে কথা বলা যাবে,তবে তাকে গালি দেওয়া যাবেনা।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
★রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা তোমাদের সন্তানদের নাম 'মুহাম্মদ' রেখে তাকে গালি দিও না। (হাকেম, হা. ৭৭৯৫)
★হজরত আবদুর রহমান ইবনে আবী লায়লা (রহ.) বর্ণনা করেন, আমিরুল মু'মিনীন হজরত উমর (রা.) আবু আবদুল হামীদের দিকে তাকালেন, যার নাম মুহাম্মদ ছিল। এমতাবস্থায় অন্য এক ব্যক্তি মুহাম্মদকে গালাগাল করছিল। তখন আমিরুল মুমিনীন বললেন, হে ইবনে যায়েদ, এদিকে আসো! এবং বললেন, আমি দেখছি যে, তোমার নাম মুহাম্মদ হওয়ায় আমাদের সরদার হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গালি দেওয়া হচ্ছে। আল্লাহ তায়ালার কসম! যতদিন আমি জীবিত আছি, আজ থেকে যেন তোমাকে আর মুহাম্মদ নামে না ডাকা হয়। অতঃপর তার নাম আব্দুর রহমান রাখলেন। এরপর তালহার সন্তানদের ডেকে পাঠালেন, তাদের সংখ্যা তখন সাতজন ছিল। যাদের বড়জনের নাম মুহাম্মদ ছিল- এ উদ্দেশ্যে যে তারা যেন তাদের মুহাম্মদ নাম পরিবর্তন করে নেয়। মুহাম্মদ ইবনে তালহা তখন বললেন, আল্লাহর শপথ! আপনি এ কী করছেন? স্বয়ং নবী করিম (সা.) আমার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন। এতে হজরত উমর (রা.) বললেন, যখন রাসুল (সা.) নিজেই এ নাম রেখেছেন, তাহলে তো আমার কোনো পথ নেই। (মুসনাদে আহমাদ ৪/২১৬)
আলোচ্য ঘটনায় এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, মুহাম্মদ নামের কাউকে গালি দেওয়া সাহাবায়ে কেরামও অত্যন্ত অপছন্দ করতেন, এই নামের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শ্রদ্ধা করার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তায়ালা এই নামকে তাঁর পবিত্র নামের সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছেন, যেমন আমরা আজান, কালেমায়ে তাইয়েবা ইত্যাদিতে দেখতে পাই।
আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, 'আমি আপনার আলোচনাকে সমুন্নত করেছি"। (সুরা ইনশিরাহ, আয়াত ৪)
,
★★সুতরাং মুহাম্মাদ নামের ব্যাক্তিকে ধমক দেওয়া যাবে,তার সাথে জোড়ে কথা বলা যাবে,তবে তাকে গালি দেওয়া যাবেনা।