আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

+1 vote
2,296 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (44 points)
edited by
কারো নাম যদি "মুহাম্মদ" রাখা হয়।আর যদি ঐ ব্যক্তিকে জোড়ে ধমক দেওয়া হয় এবং শাষানো হয় তাহলে কি এতে গুণাহ হবে??

কারণ অনেকেই বলে আমাদের নবি(সা.) এর নাম।তাই এই নামের কাউকে ধমক দেওয়া যাবে না, জোরে কথা বলা যাবে না ইত্যাদি।

1 Answer

0 votes
by (684,760 points)
উত্তর
بسم الله الرحمن الرحيم 

শরীয়তের বিধান হলো মুহাম্মাদ  নামের ব্যাক্তিকে ধমক দেওয়া যাবে,তার সাথে জোড়ে কথা বলা যাবে,তবে তাকে গালি দেওয়া যাবেনা।  

হাদীস শরীফে এসেছেঃ  
★রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, তোমরা তোমাদের সন্তানদের নাম 'মুহাম্মদ' রেখে তাকে গালি দিও না। (হাকেম, হা. ৭৭৯৫)
★হজরত আবদুর রহমান ইবনে আবী লায়লা (রহ.) বর্ণনা করেন, আমিরুল মু'মিনীন হজরত উমর (রা.) আবু আবদুল হামীদের দিকে তাকালেন, যার নাম মুহাম্মদ ছিল। এমতাবস্থায় অন্য এক ব্যক্তি মুহাম্মদকে গালাগাল করছিল। তখন আমিরুল মুমিনীন বললেন, হে ইবনে যায়েদ, এদিকে আসো! এবং বললেন, আমি দেখছি যে, তোমার নাম মুহাম্মদ হওয়ায় আমাদের সরদার হজরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে গালি দেওয়া হচ্ছে। আল্লাহ তায়ালার কসম! যতদিন আমি জীবিত আছি, আজ থেকে যেন তোমাকে আর মুহাম্মদ নামে না ডাকা হয়। অতঃপর তার নাম আব্দুর রহমান রাখলেন। এরপর তালহার সন্তানদের ডেকে পাঠালেন, তাদের সংখ্যা তখন সাতজন ছিল। যাদের বড়জনের নাম মুহাম্মদ ছিল- এ উদ্দেশ্যে যে তারা যেন তাদের মুহাম্মদ নাম পরিবর্তন করে নেয়। মুহাম্মদ ইবনে তালহা তখন বললেন, আল্লাহর শপথ! আপনি এ কী করছেন? স্বয়ং নবী করিম (সা.) আমার নাম মুহাম্মদ রেখেছেন। এতে হজরত উমর (রা.) বললেন, যখন রাসুল (সা.) নিজেই এ নাম রেখেছেন, তাহলে তো আমার কোনো পথ নেই। (মুসনাদে আহমাদ ৪/২১৬)
আলোচ্য ঘটনায় এ কথাই প্রমাণিত হয় যে, মুহাম্মদ নামের কাউকে গালি দেওয়া সাহাবায়ে কেরামও অত্যন্ত অপছন্দ করতেন, এই নামের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া রাসুলে কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের শ্রদ্ধা করার অন্তর্ভুক্ত। আল্লাহ তায়ালা এই নামকে তাঁর পবিত্র নামের সঙ্গে মিলিয়ে রেখেছেন, যেমন আমরা আজান, কালেমায়ে তাইয়েবা ইত্যাদিতে দেখতে পাই। 

আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন, 'আমি আপনার আলোচনাকে সমুন্নত করেছি"। (সুরা ইনশিরাহ, আয়াত ৪)
,
★★সুতরাং মুহাম্মাদ নামের ব্যাক্তিকে ধমক দেওয়া যাবে,তার সাথে জোড়ে কথা বলা যাবে,তবে তাকে গালি দেওয়া যাবেনা।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...