ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا
تَدَايَنتُم بِدَيْنٍ إِلَىٰ أَجَلٍ مُّسَمًّى فَاكْتُبُوهُ ۚ وَلْيَكْتُب
بَّيْنَكُمْ كَاتِبٌ بِالْعَدْلِ ۚ وَلَا يَأْبَ كَاتِبٌ أَن يَكْتُبَ كَمَا
عَلَّمَهُ اللَّهُ ۚ فَلْيَكْتُبْ وَلْيُمْلِلِ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ
وَلْيَتَّقِ اللَّهَ رَبَّهُ وَلَا يَبْخَسْ مِنْهُ شَيْئًا ۚ
হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের
মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না। আল্লাহ তাকে যেমন শিক্ষা
দিয়েছেন, তার উচিত তা লিখে দেয়া। এবং ঋন গ্রহীতা
যেন লেখার বিষয় বলে দেয় এবং সে যেন স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করে এবং লেখার
মধ্যে বিন্দুমাত্রও বেশ কম না করে। (সূরা বাকারা, আয়াত ২৮২)
■ বুহুস কিতাবে রয়েছে-
মর্মার্থ: আর ঋণকে দ্রব্য মূল্যের সাথে সম্পৃক্ত করা। সুতরাং এখানে উদ্দেশ্য
হলো ঋণগ্রহীতা শুধু ঋণও পরিশোধ করবে না, বরং তার সাথে আরো কিছু টাকা দ্রব্য মূল্য হিসাবে অতিরিক্ত
দিবে। উদাহরণসরূপ, কেউ এক হাজার টাকা ঋণ নিলো। কিছু দিন পর
দ্রব্য মূল্যের দাম বেড়ে গেলো। তাহলে এখন ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধের সময় ১১ শত টাকা
পরিশোধ করবে।...কিন্তু ইসলামী শরীয়াতে ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ হুবহু হওয়া আবশ্যক। (যেমন
কেউ ১০০ টাকা ঋণ নিয়েছে। এই ১০০ টাকা এক দুই বছর পর পরিশোধ করলেও ১০০ টাকাই দিতে
হবে। এর থেকে বেশী দিলে সুদ বলে গণ্য হবে। (বুহুস, ১/১৮৩)
১. যেমন কোনো ব্যক্তি এক কেজি গম ঋণ নিয়েছে। ঐ সময় তা মূল্য ছিলো ৩০ টাকা। এখন
যদি এই এক কেজি গম দশ বছর পর পরিশোধ করে যখন তার মূল্য ২ টাকা তবু এক কেজি গমই
আদায় করতে হবে, ১৫ কেজি নয়।
২. হাদীস শরীফে-
عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ـ رضى الله عنه ـ
قَالَ كُنَّا نُرْزَقُ تَمْرَ الْجَمْعِ، وَهْوَ الْخِلْطُ مِنَ التَّمْرِ،
وَكُنَّا نَبِيعُ صَاعَيْنِ بِصَاعٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم
" لاَ صَاعَيْنِ بِصَاعٍ، وَلاَ دِرْهَمَيْنِ بِدِرْهَمٍ ".
আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের মিশ্রিত খেজুর দেওয়া হতো, আমরা তার দু’সা এক সা’-এর বিনিময়ে বিক্রি করতাম।
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এক সা’ এর পরিবর্তে দু’সা এবং এক দিরহামের
পরিবর্তে দু’দিরহাম বিক্রি করবে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ১৯৫০)
উক্ত হাদীসের মধ্যে দুই সা খারাপ খেজুর এক সা ভালো খেজুরের
বিনিময়ে বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে। এখানে মূল্যটা ধরা হয়নি বরং ওজনটা হুবহু
ধরা হয়েছে। সুতরাং সকলের কাছে জানা বিষয় যে, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রেও দ্রব্যের মূল্য ধরা হবে না বরং ওজন বা তা কত টাকা সেটা
ধরা হবে। তাই কেউ যদি একশ টাকা ঋন নেয় এবং তা দশ
বিশ বছর পরে পরিশোধ করলেও একশ টাকা দিতে হবে, এর থেকে বেশী দেওয়া যাবে না।
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বর্তমানের ১০০ টাকা দিলেই ঋণ পরিশোধ হয়ে যাবে। এর থেকে বেশী
দেওয়া আবশ্যক নয়। তবে যদি আপনারা নিজের থেকে কিছু জিনিস বা টাকা হাদিয়া দেন তাহলে
তা ভিন্ন কথা।