আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
314 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (4 points)
closed by
আসসালামু আলাইকুম। আমার দাদা পাকিস্তানি শাসনামলে একজনের থেকে ১০০ টাকা ঋণ নিয়েছিলেন যা পরিশোধের আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি তাঁর ওয়ারিশদের ওয়াসিয়াত করে গিয়েছিলেন পাওনা পরিশোধ করার, যা প্রায় ৫০ বছর পরে আমরা জানতে পেরেছি। খবর নিয়ে জানা গেছে সেই পাওনাদার ব্যক্তিও মারা গেছেন তবে তাঁর সন্তানরা আছেন। সেই ব্যক্তির পরিবার জানিয়েছে আমাদের সামর্থ্য অনুযায়ী অর্থ দিলেই হবে।কতটুকু অর্থ দিলে তা উক্ত টাকা পরিশোধের সমান গন্য হবে  সেই পরিমানের সমমূল্য অর্থ কি ভাবে নির্ধারন করে পরিশোধ করা যেতে পারে?
closed

1 Answer

0 votes
by (60,240 points)
selected by
 
Best answer

 

ওয়া আলাইকুমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

 আল্লাহ তায়ালা বলেন-

يَا أَيُّهَا الَّذِينَ آمَنُوا إِذَا تَدَايَنتُم بِدَيْنٍ إِلَىٰ أَجَلٍ مُّسَمًّى فَاكْتُبُوهُ ۚ وَلْيَكْتُب بَّيْنَكُمْ كَاتِبٌ بِالْعَدْلِ ۚ وَلَا يَأْبَ كَاتِبٌ أَن يَكْتُبَ كَمَا عَلَّمَهُ اللَّهُ ۚ فَلْيَكْتُبْ وَلْيُمْلِلِ الَّذِي عَلَيْهِ الْحَقُّ وَلْيَتَّقِ اللَّهَ رَبَّهُ وَلَا يَبْخَسْ مِنْهُ شَيْئًا ۚ

হে মুমিনগণ! যখন তোমরা কোন নির্দিষ্ট সময়ের জন্যে ঋনের আদান-প্রদান কর, তখন তা লিপিবদ্ধ করে নাও এবং তোমাদের মধ্যে কোন লেখক ন্যায়সঙ্গতভাবে তা লিখে দেবে; লেখক লিখতে অস্বীকার করবে না। আল্লাহ তাকে যেমন শিক্ষা দিয়েছেন, তার উচিত তা লিখে দেয়া। এবং ঋন গ্রহীতা যেন লেখার বিষয় বলে দেয় এবং সে যেন স্বীয় পালনকর্তা আল্লাহকে ভয় করে এবং লেখার মধ্যে বিন্দুমাত্রও বেশ কম না করে। (সূরা বাকারা, আয়াত ২৮২)

 বুহুস কিতাবে রয়েছে-

মর্মার্থ: আর ঋণকে দ্রব্য মূল্যের সাথে সম্পৃক্ত করা। সুতরাং এখানে উদ্দেশ্য হলো ঋণগ্রহীতা শুধু ঋণও পরিশোধ করবে না, বরং তার সাথে আরো কিছু টাকা দ্রব্য মূল্য হিসাবে অতিরিক্ত দিবে। উদাহরণসরূপ, কেউ এক হাজার টাকা ঋণ নিলো। কিছু দিন পর দ্রব্য মূল্যের দাম বেড়ে গেলো। তাহলে এখন ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধের সময় ১১ শত টাকা পরিশোধ করবে।...কিন্তু ইসলামী শরীয়াতে ঋণ গ্রহণ ও পরিশোধ হুবহু হওয়া আবশ্যক। (যেমন কেউ ১০০ টাকা ঋণ নিয়েছে। এই ১০০ টাকা এক দুই বছর পর পরিশোধ করলেও ১০০ টাকাই দিতে হবে। এর থেকে বেশী দিলে সুদ বলে গণ্য হবে। (বুহুস, ১/১৮৩)

১. যেমন কোনো ব্যক্তি এক কেজি গম ঋণ নিয়েছে। ঐ সময় তা মূল্য ছিলো ৩০ টাকা। এখন যদি এই এক কেজি গম দশ বছর পর পরিশোধ করে যখন তার মূল্য ২ টাকা তবু এক কেজি গমই আদায় করতে হবে, ১৫ কেজি নয়।

২. হাদীস শরীফে-

عَنْ أَبِي سَعِيدٍ ـ رضى الله عنه ـ قَالَ كُنَّا نُرْزَقُ تَمْرَ الْجَمْعِ، وَهْوَ الْخِلْطُ مِنَ التَّمْرِ، وَكُنَّا نَبِيعُ صَاعَيْنِ بِصَاعٍ فَقَالَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم " لاَ صَاعَيْنِ بِصَاعٍ، وَلاَ دِرْهَمَيْنِ بِدِرْهَمٍ ".

আবূ সাঈদ খুদরী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমাদের মিশ্রিত খেজুর দেওয়া হতো, আমরা তার দু’সা এক সা’-এর বিনিময়ে বিক্রি করতাম। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, এক সা’ এর পরিবর্তে দু’সা এবং এক দিরহামের পরিবর্তে দু’দিরহাম বিক্রি করবে না। (সহীহ বুখারী, হাদীস নং- ১৯৫০)

উক্ত হাদীসের মধ্যে দুই সা খারাপ খেজুর এক সা ভালো খেজুরের বিনিময়ে বিক্রি করতে নিষেধ করা হয়েছে এখানে মূল্যটা ধরা হয়নি বরং ওজনটা হুবহু ধরা হয়েছেসুতরাং সকলের কাছে জানা বিষয় যে, ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রেও দ্রব্যের মূল্য ধরা হবে না বরং ওজন বা তা কত টাকা সেটা ধরা হবেতাই কেউ যদি একশ টাকা ঋন নেয় এবং তা দশ বিশ বছর পরে পরিশোধ করলেও একশ টাকা দিতে হবে, এর থেকে বেশী দেওয়া যাবে না 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!


বর্তমানের ১০০ টাকা দিলেই ঋণ পরিশোধ হয়ে যাবে। এর থেকে বেশী দেওয়া আবশ্যক নয়। তবে যদি আপনারা নিজের থেকে কিছু জিনিস বা টাকা হাদিয়া দেন তাহলে তা ভিন্ন কথা।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (4 points)
শায়েখ, সম্ভব হলে আমার প্রশ্নটার উত্তরটা একটু জলদি পেলে খুব উপকৃত হতাম৷ আমার পরিবার এ বিষয়ে বেশ চিন্তিত আছে। 
by (60,240 points)
দলিল বের করতে একটু সময় লাগবে৷ তবে চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই৷ বর্তমানের সময়ের 100 টাকা দিলেই হবে৷ বেশী দেওয়া লাগবে না৷
by (4 points)
জাযাকাল্লাহ শায়েখ। আসলে সমস্যাটা এখানেই যে ওনারা(পাওনাদার) বলছেন সে আমলে নাকি ২০০/২৫০ টাকায় সোনার ভরি পাওয়া যেত। সে হিসেবে নাকি আধা ভরির কাছাকাছিও হতে পারে টাকার মূল্য।  অত না নিয়ে সেজন্যই তারা সামর্থ্যমত দিতে বলেছে। দলিলসহ হিসেবটা ওনাদের বোঝানো সহজ হবে। আমি দলিলের জন্য সবর করছি ইনশাআল্লাহ।  

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...