আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
226 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (23 points)

Assalamu alaikum,,,ami khub wassossa te thaki,, specially divorce niye,ami ar amar husband er modhhe onek shomoy jhogra hoye amar husband kichu kenaya shobdo bolechilo,pore take jiggesh korle she kosom kore bole  kokhonui talak er niyote kichu boleni,ar jhogra gula 2/1mash ager ba taro ager hobe,tai ami nishchit mone korte  parchina,,kichu kichu kotha mone pore kintu sheta kokhon,kun shomoy,ar ki karone bolse shegula mone nai,,tobe ekbar raag kore ami tar kache talak chaisilam pore kothar katakati hochhilo mone hochhe,pore she hm bole chole gesilo,kintu amar etotuku mone hochhe talak chawar por por e she hm boleni onno ekta kothay hm bolse kintu shei kotha ta mone korte parchina,kintu ekhon ami jokhon wassossa te thaki tai bar bar shudhu wassossa hochhe she ki talak  chawar por hm bolse kina,,jodi kokhonu talak chawar por she hm boleche kintu ami nishchit na shudhu matro wassossa, shondeho,ar onuman er upor dhori tahole ki talak hobe?jhogra obhiman kore koto kothai boltam shegula shob mone korao shombhob na,ami khub manoshik bhabe bhengge porchi pechoner kotha mone kore, please ektu shundor kore bujhiye bolben ami ki korbo ekhon?

by (23 points)
Amader kotha hoto messenger ey,ar hm bole jokhon tar kichui bolar thakena,,tai she hm bole kotha bondho kore disilo,

1 Answer

0 votes
by (61,230 points)
edited by

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাব,

https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,

ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)

রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে।এক বর্ণনায় এসেছে সে যেন আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

প্রশ্নোক্ত বিবরণ অনুযায়ী যেহেতু আপনার স্বামী কসম করে বলেছে যে তিনি তালাকের নিয়তে উক্ত কেনায়া শব্দ বলেনি বিধায় আপনার উপর তালাক পতিত হবে না এবং  আপনার প্রশ্নের উত্তরে আপনার স্বামী আপনাকে স্পষ্ট ভাবে তালাক দেওয়ার কথা না বলাই এ ক্ষেত্রেও তালাক পতিত হবে না । এ নিয়ে আপনাদের মধ্যে ওয়াসওয়াসা এসেছে, যখনি  এমন কথা মনে হবে, তখনই আপনি দ্বিধাদ্বন্দ্ব ও ওয়াসওয়াসা থেকে বেঁচে থাকার জন্য, পুনরায় আমল ও ইবাদতের জীবনে ফিরে যাওয়ার জন্য নিম্নে বর্ণিত ৪টি আমল করবেন,

১.তাউজ তথা আউবিল্লাহি মিনাশ-শায়ত্বানির রাজিম (اَعُوْذُ بِاللهِ مِنَ الشَّيْطَانِ الرَّجِيْم) পড়ার মাধ্যমে শয়তানের ওয়াসওয়াসা থকে হেফাজত থাকা।

২. সুরা ফালাক্ব ও সুরা নাস পাঠ করা।

৩. বেশি বেশি আল্লাহর জিকির করা। বিশেষ করে এ জিকির করা-

اَللَّهُمَّ مُصَرِّفَ الْقُلُوْبِ صَرِّفْ قُلُوْبَنَا عَلَى طَاعَتِكَ

অর্থ : হে (মানুষের) অন্তর পরিবর্তনকারী আল্লাহ! আমাদের অন্তরকে তোমার আনুগত্যের দিকে পরিবর্তন কর।’ (মুসলিম, মিশকাত)

يَا مُقَلِّبَ الْقُلُوْبِ ثَبِّت قَلْبِىْ عَلَى دِيْنِكَ

অর্থ : হে (মানুষের) অন্তর পরিবর্তনকারী! আমার অন্তরকে তোমার দ্বীনের উপর দৃঢ় রাখ।’ (তিরমিজি, মিশকাত)

৪.মনে জাগ্রত হওয়া কুচিন্তার দিকে ধ্যান বা খেয়াল না দিয়ে বেশি বেশি ইসতেগফার পড়া-

رَبِّ اغْفِرْ لِي، وَتُبْ عَلَيّ، إِنّكَ أَنْتَ التّوّابُ الرّحِيمُ

(মুসনাদে আহমদ, আবু দাউদ)

অর্থ : হে আমার রব! আমাকে ক্ষমা করুন। আমার তাওবা কবুল করুন। নিশ্চয় আপনি তাওবা কবুলকারী, দয়াময়।’

উল্লেখিত ৪ কাজ যথাযথভাবে করতে পারলেই মনের মধ্যে দেখা দেয়া দ্বিধাদ্বন্দ্ব বা ওয়াসওয়াসা থেকে মুক্ত থাকা সহজ। আর তাতেই মনের মধ্যে ইবাদত-বন্দেগির প্রবল আগ্রহ তৈরি হবে। ওয়াসওয়াসা বা কুচিন্তা দূর করতেই উল্লেখিত আমল সবচেয়ে বেশি কার্যকরী।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...