আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
291 views
in পবিত্রতা (Purity) by (4 points)
edited by
আসসালামু  আলাইকুম।

নিম্নে যেই ছেলে- মেয়ের কথা বলা হয়েছে, তাদের অনেক  মাস আগেই সহবাসের পূর্বেই  এক তালাক  বায়েন  হয়ে  গিয়েছিলো।

সেই মেয়ে  তালাকের  বিভিন্ন  মাসআলা পড়তেছিলো দীর্ঘদিন ধরে। মেয়েটা জানতে পারে এক তালাক বায়েন অবস্থায় কোন শর্তযুক্ত তালাক দিলে ও সেটা কার্যকর হয় না।

কিন্তু  যদি
"পুনরায়  বিয়ের পর " এমন ইঙ্গিত  দিয়ে  শর্তযুক্ত করা হয়,তাহলে পুনরায়  বিয়ের পর সেই  কাজ করলে  তালাক  হয়।
অর্থাৎ,পুনরায়  বিয়ের দিকে  ইঙ্গিত করে শর্তযুক্ত তালাক দিলে তালাক  হয়।
তাই,ঐ মেয়ে  ঠিক  করে তার  আগের স্বামী যাকে সে পুনরায় বিয়ে করবে,তাকে এই ব্যাপারে জিজ্ঞেস  করবে।

এরজন্য  দুজন  দিনে দেখা করে এবং  মেয়েটা কমপক্ষে  ৭/৮ বার ঐ ছেলেটাকে  "পুনরায় বিয়ের পর" এই শব্দটা উল্লেখ  করে সে কখনো এই পর্যন্ত কোন শর্তযুক্ত তালাক দিয়েছে  কি না জিজ্ঞেস  করে।পুনরায়  বিয়ের দিকে ইঙ্গিত  করে শর্তযুক্ত তালাক  কখনো দিয়েছে কি না জিজ্ঞেস  করে।
যেই মেয়েকে বিয়ে করবো, সেই মেয়ে  তালাক, এমন বলেছে কি না,জিজ্ঞেস  করে।

৭/৮ বারই ছেলেটা  উত্তর  দেয় সে কখনোই  এমন বলে নাই।

 পরে রাতে  মোবাইলের মাধ্যমে আবার ও তাদের কথা হয়,এখন ও সেই মেয়ে ২/৩ বার  উপরের ঐ একই প্রশ্নগুলো আবার  করে,ছেলেটা  খুব  বিরক্ত  হয়ে যায় এবং মেজাজ  গরম  করে এবং  ফোনে একবার  ঐ মেয়েটার
 প্রশ্ন না বুঝেই (আবার ও বলি প্রশ্ন  না বুঝেই) একবার  নেগেটিভ  উত্তর  দিয়ে  ফেলে।

মেয়েটা  স্পষ্ট বুঝতে  পারে  যে, সেই ছেলেটা  প্রশ্নটা বুঝতে  পারে নাই।

তাই মেয়েটা  সাথেসাথেই শেষবার আবার  তাকে জিজ্ঞেস  করে "পুনরায় বিয়ের পর" এই শব্দটা উল্লেখ  করে সে কখনো এই পর্যন্ত কোন শর্তযুক্ত তালাক দিয়েছে  কি না ।পুনরায়  বিয়ের দিকে ইঙ্গিত  করে শর্তযুক্ত তালাক  কখনো দিয়েছে কি না জিজ্ঞেস  করে।
যেই মেয়েকে বিয়ে করবো, সেই মেয়ে  তালাক, এমন বলেছে কি না,জিজ্ঞেস  করে।

ছেলেটা উত্তর দেয়,
"না,এমন কখনোও বলি নাই।"

এখন  প্রশ্ন  হলো,ছেলেটা   প্রশ্ন  না বুঝে/ প্রশ্নটা ভালো  করে  না  শুনেই,  মোবাইলে একবার  মেয়েটাকে নেগেটিভ উত্তর  দেওয়াতে কি  পুনরায় বিয়ের পর কোন  তালাক  পতিত  হবে?

 আসলে মেয়েটা,এই প্রশ্ন  অনেকবার  করতে করতে  খুব  বিরক্ত  বানাইয়া  ফেলছিলো ছেলেটাকে।

★★★নোটঃ  ছেলেটা  প্রশ্ন  না বুঝে/ প্রশ্নটা না শুনেই যে, মোবাইলে একবার  নেগেটিভ  উত্তর  দিয়েছে,ছেলেটা জানেও না,এই ব্যাপারটা।১০০% সত্যি  ছেলেটা  জানে ও না,বুঝেও নাই যে এমন হয়েছে ।শুধু  মেয়েটা জানে।

★★★নেগেটিভ  উত্তর  কিন্তু  কোন পূর্ণ  বাক্যে ছেলেটা কিছু বলে নাই।

আসলে ব্যাপারটা হলো,মেয়েটা যেভাবে প্রশ্নটা  করেছিলো,ছেলেটা হয়তো ঘোরের মধ্যে  বলে ফেলছে "না এমন বলি নাই অথবা   না এমন হয় নাই অথবা  না এমন হবে না"।( এখন সঠিক  মনে করতে  পারতেছি  না, আসলে  কি  বলেছিল।)

কিন্তু
মেয়েটা   যেভাবে প্রশ্ন করেছিল,সেই প্রশ্নের প্রেক্ষিতে  ছেলেটার এই উত্তরটাই নেগেটিভ  হয়ে গেছে।

আমি কি আপনাকে  বুঝাতে পারছি,এমন হয় না অনেক সময়,
হয়তো  ছেলেটা  ঘোরের মধ্যে  প্রশ্নটা না বুঝেই বলে ফেলছে,ছেলেটা কিছুই জানে না, আসলে সে কিসের  উত্তর  কি দিয়ে  দিলো। মেয়েটা তাই  সাথেসাথেই আবার  শেষবারের মতো ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করেছিল, তখন কিন্তু  মেয়েটা পজেটিভ উত্তরই পেয়েছে।

ঐ ছেলে এবং  মেয়ে কি  নির্ভয়ে পুনরায় বিয়ে  করে ফেলতে পারবে? পুনরায়  বিয়ের পর কোন   সমস্যা হবে?

একটা  দোয়া জানতে চাওয়ার আবেদনঃ

[ মেয়েটার মনের  ভিতর  খালি  সন্দেহের পর সন্দেহ। একটার পর একটা সন্দেহ  আসতেই থাকে। এক তালাক  বায়েন  হওয়ার  পর  কত বিষয় নিয়ে  কত রকম সন্দেহ যে মেয়েটা করেছে,চিন্তার বাহিরে। অন্য কিছু নিয়ে  সন্দেহ নাই,শুধু  তালাক বিষয়ক বিভিন্ন বিষয় নিয়েই  সন্দেহ।   সন্দেহ   থেকে মেয়েটার মুক্তি  নাই।যেই বিষয় নিয়ে  সন্দেহ দূর হয়, সেই বিষয় নিয়েই আবার  কিছুদিন পর সন্দেহ প্রবলভাবে  আসে এবং এমনভাাবে  আসে যে কোনটা সন্দেহ, কোনটা সত্যি,আমি  সেটাই ধরতে পারি  না।  পূর্বের একটার পর একটা ঘটনা মনে আসতে থাকে এমন ঘটছিলো কি না;মনে হইতে থাকে হয়তো এমন ঘটছিলো,আমি মনে করতে পারতেছি না।

 পূর্বের বিভিন্ন  কথা মনে আসতে থাকে এমন বলছিলো কি না;আমার ভিতর ধারনা আসে হয়তো এমন বলছিলো,আমি মনে করতে পারতেছি  না;  আবার মনে হয়; না এমন বলে নাই,আবার মনে হয়  না হয়তো বলছিলো।
মেয়েটা এত সন্দেহ  নিয়ে  আর বেঁচে  থাকতে পারতেছে না। মেয়েটা আর কখনোও স্বাভাবিক জীবনযাপন  করতে পারবে না।মেয়েটার নামাযে মন নাই,কোন কিছুতেই মন নাই।

তাড়াতাড়ি   মৃত্যুর জন্য কি কোন  দোয়া  আছে?নিশ্চয়ই কোন দোয়া  আছে। প্লিজ আমাকে   বইলা দেন। ]

আরেকটা  প্রশ্নঃ

যা মানুষের  স্পষ্ট  মনে  আসে না,তার জন্য  ও কি আল্লাহ  শাস্তি  দিবে???ধরেন,আমাদের  মাঝে যদি  এমন কোন  ঘটনা  স্মৃতির আড়ালে  থেকে  থাকে যা হয়তো পুনরায়  বিয়ে  বৈধ  হওয়ায়  অন্তরায়; সম্ভবত এমন ঘটনা নাই,তাও মনে হয়  যদি থাকে,হয়তো আমার মনে নাই,হয়তো আমি জানি না,হয়তো আমি ভুলে গেছি,তাইলে কি হবে???? আমি তো আগের সব ঘটনা,সব কথা স্পষ্ট  এক/ দেড় বছর  পরে  এসে  আর মনে করতে  পারতেছি না।এখন যদি  পুনরায় তাকে বিয়ে  করে ফেলি তাহলে মৃত্যুর পর কি আমি এরজন্য  শাস্তি  পাবো? কিন্তু  আমি তো একটা মানুষ,আমি এত আগের এত ঘটনা,এত কথা,এত স্মৃতি  স্পষ্ট  না মনে করতে পারলে কি করবো????

এসব ভাবতে গেলে  কোনটা সত্যি - কোনটা সন্দেহ,

 আমার  ধাঁধা  লাইগা যায়,পরে মরে যাইতে  মন চায়।

আরেকটা কথা,আমার  স্মৃতিতে যত ঘটনা  ছিলো,তা খালওয়াতে  সহীহা হয়েছে কি না,তাও বিভিন্ন  সময়  আমি  আপনার  কাছ থেকে জেনে নিছি, আপনি  বলেছেন একটা ও খালওয়াত হয় নাই।এর বাহিরে আমি  আর কিছুই মনে করতে পারি  না।

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


শরীয়তের বিধান হলো স্বামী যদি তালাকের স্বীকারোক্তি প্রদান করে, আর সেই স্বীকারোক্তি যদি মিথ্যা হয়,তবুও তালাক পতিত হবে। 

বিস্তারিত জানুনঃ  

★প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে স্বামী নেগেটিভ উত্তর কোন বাক্যে দিয়েছিলো?
উক্ত নেগেটিভ উত্তর প্রদানের সময় আপনি কোন প্রশ্ন করেছিলেন?
দুটি বিষয় স্পষ্ট আকারে কমেন্ট বক্সে উল্লেখ করলে সমাধান জানাতে সুবিধা হবে।
,
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন, 
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার সেই পুরুষের সাথে বিবাহ হওয়ার পরে আরো এক তালাক পতিত হলেও তো পুনরায় তাকে বিবাহ করতে পারবেন।
সুতরাং এটি নিয়ে আর চিন্তিত হবেননা।
,
নতুবা অন্য কোনো পুরুষকে বিবাহ করতে পারেন।

★আপনি তালাকের বিষয় নিয়মিত বেশি ওয়াসওয়াসায় ভুগার কারনে বিষয়টি মারাত্মক হয়ে যাচ্ছে।
সহজ বিষয় কঠিন হয়ে যাচ্ছে,এর থেকে পতিত্রান পেতে হবে।
তালাক সংক্রান্ত সকল মাসয়ালা পড়া থেকে বিরত থাকুন।
বিষয়টি মাথায় আসতেই দিবেননা।
,
★আপনি কোনো ভাবেই মৃত্যু কামনা করবেননা।
আল্লাহর কাছে দোয়া করুন,সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে যাবে,ইনশাআল্লাহ।    

হাদীস শরীফে এসেছেঃ 
عَنْ جَابِرٍ قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللّهِ ﷺ: لَا تَمَنَّوُا الْمَوْتَ فَإِنَّ هَوْلَ الْمُطَّلَعِ شَدِيدٌ وَإِنَّ مِنَ السَّعَادَةِ أَنْ يَطُولَ عُمْرُ الْعَبْدِ وَيَرْزُقَهُ اللّهُ عَزَّ وَجَلَّ الْإِنَابَةَ .

জাবির (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা মৃত্যু কামনা করো না। কেননা মৃত্যু যন্ত্রণা খুবই কঠিন জিনিস। মানুষের জীবন দীর্ঘ হওয়া নিশ্চয় সৌভাগ্যেরই ব্যাপার। আল্লাহ তা‘আলা তাকে তাঁর আনুগত্যের দিকে ফিরিয়ে নেন।
(আহমাদ ১৪৫৬৪, শু‘আবুল ঈমান ১০১০৫,মিশকাত ১৬১৩)

عَن حَارِثَةَ بْنِ مُضَرَّبٍ قَالَ: دَخَلْتُ عَلى خَبَّابٍ وَقَدِ اكْتَوى سَبْعًا فَقَالَ: لَوْلَا أَنِّي سَمِعْتُ رَسُولَ اللّهِ ﷺ يَقُول: لَا يَتَمَنَّ أَحَدُكُمُ الْمَوْتَ لَتَمَنَّيْتُه. وَلَقَدْ رَأَيْتُنِىْ مَعَ رَسُولِ اللّهِ ﷺ مَا أَمْلِكُ دِرْهَمًا وَإِنَّ فِي جَانِبِ بَيْتِيَ الْانَ لَأَرْبَعِينَ أَلْفَ دِرْهَمٍ قَالَ ثُمَّ أُتِيَ بِكَفَنِه فَلَمَّا رَاهُ بَكى وَقَالَ لَكِنَّ حَمْزَةَ لَمْ يُوجَدْ لَه كَفَنٌ إِلَّا بُرْدَةٌ مَلْحَاءُ إِذَا جُعِلَتْ عَلى رَأْسِه قَلَصَتْ عَنْ قَدَمَيْهِ وَإِذَا جُعِلَتْ عَلى قَدَمَيْهِ قَلَصَتْ عَنْ رَأْسِه حَتّى مُدَّتْ عَلى رَأْسِه وَجُعِلَ عَلى قَدَمَيْهِ الْإِذْخِرُ.
হারিসাহ্ ইবনু মুযাররাব (রহঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি একবার খাব্বাব-এর নিকট গেলাম (সে সময় তিনি অসুস্থ ছিলেন)। তিনি তার শরীরের সাত জায়গায় দাগ লাগিয়েছিলেন। তিনি আমাকে বললেন, আমি যদি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর কাছে ‘তোমরা মৃত্যু কামনা করো না’ কথাটি না শুনতাম, তাহলে অবশ্যই মৃত্যু কামনা করতাম। আমি রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর সাথে আমার নিজেকে এরূপ পেয়েছি যে, আমি একটি দিরহামেরও মালিক ছিলাম না। আর এখন আমার ঘরের কোণেই চল্লিশ হাজার দিরহাম পড়ে আছে। হারিসাহ্ বলেন, তারপর খাব্বাবের কাছে তার কাফনের কাপড় আনা হলো (যা খুবই উত্তম দামী কাপড় ছিল) তিনি তা দেখে কাঁদতে লাগলেন এবং বলতে লাগলেন, যদিও এ কাপড় জায়িয কিন্তু হামযাহ্ (রাঃ)-এর জন্য পুরো কাফনের কাপড় পাওয়া যায়নি। শুধু একটি কালো ও সাদা পুরাতন চাদর ছিল। তা দিয়ে মাথা ঢাকলে পা খালি হয়ে যেত। আবার পা ঢাকলে মাথা খালি হয়ে যেত। অবশেষে এ চাদর দিয়েই মাথা ঢেকে দেয়া হয়েছিল। আর পা ঢেকে দেয়া হয়েছিল ইযখার ঘাস দিয়ে। 
(আত্ তিরমিযী ৯৭০, আহমাদ ২১০৭২,মিশকাত ১৬১৫)

عَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ: كَانَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ يَقُولُ: اَللّٰهُمَّ أَصْلِحْ لِىْ دِينِى الَّذِىْ هُوَ عِصْمَةُ أَمْرِىْ وَأَصْلِحْ لِىْ دُنْيَاىَ الَّتِىْ فِيهَا مَعَاشِىْ وَأَصْلِحْ لِىْ اٰخِرَتِى الَّتِىْ فِيهَا مَعَادِىْ وَاجْعَلِ الْحَيَاةَ زِيَادَةً لِىْ فِىْ كُلِّ خَيْرٍ وَاجْعَلِ الْمَوْتَ رَاحَةً لِىْ مِنْ كُلِّ شَرٍّ.
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম (দু‘আ) বলতেন,

‘‘আল্ল-হুম্মা আস্লিহ লী দীনিল্লাযী হুওয়া ‘ইস্মাতু আম্রী ওয়া আস্লিহ লী দুন্ইয়া- ইয়াল্লাতী ফীহা- মা‘আ-শী ওয়া আস্লিহ লী আ-খিরাতিল্লাতী ফীহা- মা‘আ-দী ওয়াজ্‘আলিল হায়া-তা যিয়া-দাতান লী ফী কুল্লি খয়রিন ওয়াজ্‘আলিল মাওতা রা-হাতান লী মিন কুল্লি শাররিন’’

(অর্থাৎ- হে আল্লাহ! তুমি আমার জন্য আমার দীন [ধর্ম]-কে ঠিক করে দাও, যা ঠিক করে দেবে আমার কার্যাবলী। তুমি ঠিক করে দাও আমার দুনিয়া [ইহকাল], যাতে রয়েছে আমার জীবন। তুমি ঠিক করে দাও আমার আখিরাত [পরকাল], যেখানে আমি [অবশ্যই] ফিরে যাবো। আমার হায়াত [আয়ুষ্কাল] প্রত্যেক কল্যাণকর কাজের জন্য বাড়িয়ে দাও, আর আমার মৃত্যুকে আমার জন্য প্রত্যেক অকল্যাণ হতে শান্তিস্বরূপ কর।)।
(মুসলিম ২৭২০, আদ্ দা‘ওয়াতুল কাবীর ২৪৫, সহীহ আদাবুল মুফরাদ ৫১৯/৬৬৮, সহীহ আল জামি‘ ১২৬৩,মিশকাত ২৪৮৩)

রাসূল (ছাঃ) বলেন, ‘তোমাদের কেউ যেন তার নিকটে বিপদ পৌঁছার কারণে মৃত্যু কামনা না করে। তবে সে যদি মৃত্যু কামনা করতেই চায়, তবে যেন বলে, হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রেখ যে পর্যন্ত আমার জীবন কল্যাণকর হয় এবং আমাকে মৃত্যু দান কর, যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয়’ (মুত্তাফাক্ব ‘আলাইহ, মিশকাত হা/১৬০০)।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
যদি আপনার পক্ষে দুনিয়াবী জীবন অনেক অসহনীয় হয়,সেক্ষেত্রে আপনি এই দোয়া করতে পারেনঃ-
হে আল্লাহ! আমাকে জীবিত রেখো যে পর্যন্ত আমার জীবন কল্যাণকর হয় এবং আমাকে মৃত্যু দান করো, যখন মৃত্যু আমার জন্য কল্যাণকর হয়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। 

সম্মানিত মুফতি  সাহেব, 
আমি বারবার  তাকে এই প্রশ্নটাই করতেছিলামঃ

[  "পুনরায় বিয়ের পর" এই শব্দটা উল্লেখ  করে এই পর্যন্ত কখনো কোন শর্তযুক্ত তালাক দিছো?পুনরায়  বিয়ের পর কি কোন  কারনে তালাক  পতিত  হবে? 
যেই মেয়েকে বিয়ে করবো, সেই মেয়ে  তালাক, এমন কখনোও বলছো? ]

 ও প্রত্যেকবারই উত্তর  দিতেছিলোঃ না এমন বলি নাই । না, এমন হবে না।

 সেদিনই  রাতে  মোবাইলে  কথা বলার সময় শুধু  একবার  আমার করা উপরের প্রশ্নটাই সম্ভবত আমি একটু অন্যভাবে করি;সত্যি আমার  মনে  আসতেছে  না, আমি ঠিক  কিভাবে  প্রশ্নটা করেছিলাম। অনেক  চেষ্টা  করছি,আমি  ঠিক  কিভাবে  প্রশ্নটা করছি  মনে আনতে পারতেছি না।

সে আগের  মতই সম্ভবত  উত্তর দিছিলোঃ " না এমন বলি  নাই। না এমন হবে না।" [ সে ঠিক  কি উত্তর  দিছিলো,সেইটাও আমার  এখন স্পষ্ট  মনে  নাই। সত্যি  আমি মনে করতে পারতেছি না,১৫ দিন  আগের ঘটনা এটা।  কিন্তু  সে যে তার দিক থেকে ঠিক  মনে করেই উত্তর  দিছিলো  সেটা আমি বুঝতে পারছিলাম।সে যেভাবেই  উত্তর  দেক না কেন,সে যে আমাদের  জন্য  যা পজেটিভ হবে তাই  ভেবে উত্তর  দিতেছিলো,সেটা আমি বুঝতে  পারতেছিলাম। কিন্তু  তাও আমার  প্রশ্ন  করার স্টাইলে উত্তরটা নেগেটিভ  হয়ে গেছে এমন খটকা লাগছিলো  আমার কাছে।]

★ শুধু  এতটুকুই   মনে আছে,আমি কিভাবে জানি  প্রশ্নটা করেছিলাম, সে  তার মতে সঠিকভাবেই উত্তর  দিছিলো কিন্তু  আমি সবসময়  যেভাবে  প্রশ্ন  করতেছিলাম, সেভাবে  না করে একটু অন্যভাবে প্রশ্নটা করায়,তার দেওয়া উত্তরটা নেগেটিভ হয়ে গেছে আমার এমন খটকা লাগছিলো।

তাই আমি  সাথে-সাথেই  তাকে আবার  উপরে উল্লেখিত  প্রশ্নগুলো করলাম, সে বললোঃ" না এমন বলি নাই।"

[  সত্যি, সে  এই ব্যাপারে কিছুই জানে না।সে প্রশ্নটা ঠিকমতো না  বুঝে অথবা  না শুনেই  উত্তর দিয়েছিল, দেখে এমন হইছে। আমি যে তাকে এখন  জিজ্ঞেস  করবো, সেই উপায়  ও নাই,কারণ  সত্যি  সে কিছুই জানে না,এমন কিছু  যে হইছে। ]

সে তো কিছু  জানেই না,যে এমন কিছু  হইছিলো,তাও সমস্যা  হবে???

মুহতারাম  কেউ না বুঝে,ঠিকমতো না শুনে  ভুল কোন উত্তর  দিয়ে  ফেললে কি আল্লাহ  তা ক্ষমা করবেন  না??? কেউ  তালাক বিষয়ক পূর্বের কোন  কথা নিয়ে  আলোচনা  করতে গিয়ে  হঠাৎ  করে  কোন  ভুল বাক্য বলে ফেললে কি আল্লাহ ক্ষমা করবেন না???
মানুষ  কথা বলতে গেলে কি হঠাৎ  করে  কোন  ভুল  বাক্য বলে ফেলতে পারে না???  এটা তো তার ইচ্ছাধীন না। সে তো ইচ্ছে করে এমন বলে নাই।মানুষের  কি ভুল হয়ে যায় না???উদাহরণস্বরূপঃ একটা মানুষ  হয়তো বলতে চাইছে, আমি ভাত খাই নাই।কিন্তু  এমন হয় না, সে মুখে উচ্চারণ  করে  ফেললো আমি  ভাত খাইছি।

১)মুহতারাম  তালাক  বিষয়ক হোক কিন্তু  

 না বুঝে/ ঠিকমতো না শুনে, নেগেটিভ টাইপ উত্তর  দিয়ে  দিলে 

অথবা 

মনে যেই কথা আছে,সেই কথা  মুখে বলতে গিয়ে  ভুল বলে ফেললে  কি আল্লাহ  মাফ করবেন  না???

সে তো ইচ্ছা করে  কোন স্বীকারোক্তি প্রদান করে নাই।  এমন তো না যে, সে ইচ্ছা করে সত্য অথবা মিথ্যা  স্বীকারোক্তি প্রদান করেছে।

না বুঝে,ঠিকমতো না শুনে,ভুলে। 

তার নিয়তে তো পুনরায়  বিয়ের পর যাতে তার স্ত্রী  তালাক  হয়ে যায় এমন কোন উদ্দেশ্য  ছিলো না এবং  সে তো স্পষ্ট বাক্যে উপরে বর্নিত  এইসব বাক্য এইপর্যন্ত উচ্চারণও  করে নাই।  না বুঝে,ঠিকমতো না শুনে,  একটা বলতে গিয়ে, আরেকটা  হয়ে গেলে তার  তো কোন দোষ  নাই।


২)মুহতারাম, সে যে পারিবারিকভাবে আমাকে আবার  পুনরায়  বিয়ের প্রস্তাব  দিচ্ছে  আমি কি তা নির্ভয়ে,সানন্দে   গ্রহণ  করতে  পারি  না???আমাদের  পুনরায়  বিয়ে  হলে কোন তালাক  হবে?

by (565,890 points)
★স্ত্রীর প্রশ্নটি যদি এটি হয়ে থাকেঃ-   পুনরায় বিয়ের পর অমুক কাজ করলে তুমি তালাক,এমন বাক্য 
বলেছো কিনা??
আর স্বামী না বুঝে বা ভুলক্রমে নেগেটিভ উত্তর দেয় তথা স্বামী বলে যে  হ্যাঁ আমি  এই কথা বলেছি।

তাহলে বিবাহের পর এহেন কাজ করলে তালাক হবে।

★স্ত্রীর প্রশ্নটি যদি এটি হয়ে থাকেঃ- 
যেই মেয়েকে বিয়ে করবো, সেই মেয়ে  তালাক, এমন কখনোও বলছো?  
স্বামী তার জবাবে না বুঝে বা ভুলক্রমে নেগেটিভ উত্তর দেয় তথা হ্যাঁ বলে।    
তাহলে সেই মহিলাকে বিবাহ করলে তালাক পতিত হবে। 
,

তবে উভয় ছুরতেই  এক্ষেত্রে স্বামী পুনরায় সেই মুহুর্তেই তাকে আবার বিবাহ করতে পারবে।
ঠিকঠাক ভাবে ঘর সংসার করতে পারবে।
ভবিষ্যতে তালাক না দিলে  আর কোনো সমস্যাই হবেনা। 
by (565,890 points)
(০১)
না বুঝে/ ঠিকমতো না শুনে, নেগেটিভ টাইপ উত্তর  দিয়ে  দিলেও তালাক হবে।


(০২)
পুনরায় তার প্রস্তাব গ্রহন করতে পারবেন।
তবে না জেনে /ভুলক্রমে দেওয়া প্রশ্নে উল্লেখিত   শর্ত অনুযায়ী তালাক পতিত হওয়ার পর আবারও ২ জন প্রাপ্ত বয়স্ক সাক্ষি সামনে রেখে আপনারা বিবাহ পড়িয়ে নিবেন।    
by (4 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। 

মুহতারাম , আমি 
১০০  এ ১০০% শিউর,আমাদের  সম্পূর্ণ  কথোপকথনে সে;

 হ্যাঁ বলেছি অথবা হ্যাঁ, এই দুইটা শব্দ ইনশাআল্লাহ  কখনোই  উচ্চারণ  করে  নাই। 

সবসময়  সে এই বাক্যে উত্তর  দিছেঃ
 না, এমন বলি নাই। না, এমন হবে না। 
না, এমন হয় নাই।


★★★মুহতারাম, আমি কেমন করে প্রশ্ন করছিলাম মনে পড়ছে।

আমি সম্ভবত  এভাবে  প্রশ্নটা করেছিলামঃ


তুমি কখনো " পুনরায়  বিয়ের পর" এই শব্দটা উল্লেখ  করে কোন শর্তযুক্ত তালাক 
 দেও নাই,তাই না???  পুনরায়  বিয়ের পর কোন তালাক  হবে  না,তাই না???
যেই মেয়েকে বিয়ে  করবো, সেই মেয়ে  তালাক  এমন বলো নাই,তাই না/ আমার  নাম উল্লেখ  করে এমন বলো নাই,তাই না????


[* এই  প্রশ্নগুলোর কোনটার শেষে  আমি           (ঠিক  বলেছি?) এই শব্দটা যুক্ত  করতে পারি। কিন্তু  এটা আমি শিউর  না,শুধুই সন্দেহ  থেকে আপনাকে বললাম। প্রশ্নগুলোর শেষে 
( ঠিক  বলেছি?) এই শব্দটা আমি বলতেও পারি,না ও বলতে পারি।এই শব্দটা আমার শুধুই সন্দেহ।,
শুধুই সন্দেহ।  শুধুই সন্দেহ থেকে  বলেছি,এটা বলতেও পারি আবার নাও বলতে পারি। আমি  এইটা একটুও স্পষ্ট   মনে করতে পারতেছি না।  ]


আমার  সবগুলো প্রশ্নের প্রেক্ষিতে,সে  এরূপ উত্তর  দিয়েছিলঃ 

" নাএমন বলি  নাই। না এমন হবে না।" অথবা  " না এমন হয় নাই।"


 অথবা 

সে বলেছে "না।"  [ সে only "না "  এই শব্দে কোন উত্তর  দিয়েছিলো কি না,এটা ও আমি  শিউর না।শুধুই সন্দেহ  থেকে আপনাকে বললাম। শুধুই সন্দেহ  থেকে বললাম।

★কারন স্মৃতিতে যতটুক আসে, তাতে মনে হয়, সে সবসময়  এরূপ বলতেছিলোঃ

" না, এমন বলি নাই। 
না, এমন হবে না।"  ]



মুহতারাম, আমি অনেকটা নিশ্চিত  কথোপকথনটা এইটাই ছিল,এইটাই ছিল।


আমি সারারাত  শতভাগ চেষ্টা  করে এটাই স্মৃতি  হাতড়ে  মনে করতে পারছি। এটার বাহিরে অন্য  কিছু  আমার  মনে আসেতেছে না।আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা  করেছি,আমার  এইটাই  মনে আসছে। মনে এই ধারনাটা প্রবল হচ্ছে, এমনই হইছিলো।
আমি সম্পূর্ণ  ঘটনা, কোথায়- কোথায় সন্দেহ  সেগুলোসহ সব খুলে বলেছি।এর বাহিরে আর কিছু  মনে করার আমার  আর ক্ষমতা  নাই।


মুহতারাম, এখন বইলা দেন প্লিজ 
 পুনরায়  বিয়ের পর কোন সমস্যা  হবে???

সব ঠিকই আছে  ,ইনশাআল্লাহ? 
পুনরায়  বিয়ে  করে নিলেই  সব ঠিক  হয়ে যাবে ?
 পুনরায় বিয়ের পর আর কোন  তালাক  হবে না, ইনশাআল্লাহ। তাই না?
পুনরায়  বিয়ে  হওয়ার সাথে সাথেই   আমাদের  সম্পর্ক বৈধ ইনশাআল্লাহ? 

by (565,890 points)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন!
উল্লেখিত সকল তথ্য মোতাবেক বুঝা যায় যে সে আপনাকে কোনো নেগেটিভ উত্তরই দেয়নি।
,
★যদি আসলেই তিনি নেগেটিভ উত্তর না দিয়ে থাকেন,  তাহলে আপনাদের পুনরায় বিয়ের পর আর কোন  তালাক  হবে না।
,
★তিনি নেগেটিভ উত্তর দিয়েছিলেন কি দেননি?
বিষয়টি সম্পর্কে আপনাদের সন্দেহ হলে আপনাদের পুনরায় বিয়ের পর আর কোন  তালাক  হবে না।

by (4 points)
edited by
জাযাকাল্লাহ  খাইরান। 
আমি আপনাকে  সব খুলে বলেছি।
সত্যি  এর বাহিরে  আমি কিছুই মনে করতে পারি না।
আমাদের  পুনরায়  বিয়েতে তাহলে আর কোন  সমস্যা  নাই  ইনশাআল্লাহ। 
পুনরায়  বিয়ের সাথে- সাথেই  ইনশাআল্লাহ  বৈধ। 
 আমাদের পুনরায়  বিয়ে  হলে আর তালাক  পতিত  হবে  না, তাই না????

আমার ভবিষ্যতে   পূর্বের এই তালাক  বিষয়ক যত ধরনের  যত রকমেরই সন্দেহ  আসুক,আমি আর কোন  পাত্তাই দিবো না,তাই না????

পূর্বের স্বামীকে কোন  বিষয়  নিয়ে  সন্দেহ  আসলে আর কিচ্ছু  জিজ্ঞেস ও করবো না।

সন্দেহ  মানেই মিথ্যা। 

★★★যখনই  কোন  সন্দেহ  আসবে কুচিন্তাটা বাদ দিয়ে , সুচিন্তা টাকে সত্যি  ধরেই জীবন  পরিচালনা  করবো,তাই না?????

সন্দেহ আসলে  অনেক আল্লাহকে ডাকবো।

কোন  সন্দেহকে আসলে আমি সেটা নিয়ে  এক মূহুর্তও ভাববো না।

শ্রদ্ধেয়,সম্মানিত  মুফতি  সাহেব  আমাদের  জন্য  দোয়া  কইরেন, আমাদের  পুনরায়  বৈবাহিক জীবন  যাতে অনেক সুন্দর  হয়।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...