বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
■ সহীহ বুখারীতে এসেছে-
عَنْ سَهْلِ بْنِ سَعْدٍ، قَالَ
إِنْ كَانَتْ أَحَبَّ أَسْمَاءِ عَلِيٍّ ـ رضى الله عنه ـ إِلَيْهِ لأَبُو
تُرَابٍ، وَإِنْ كَانَ لَيَفْرَحُ أَنْ يُدْعَى بِهَا، وَمَا سَمَّاهُ أَبُو تُرَابٍ
إِلاَّ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم غَاضَبَ يَوْمًا فَاطِمَةَ فَخَرَجَ
فَاضْطَجَعَ إِلَى الْجِدَارِ إِلَى الْمَسْجِدِ، فَجَاءَهُ النَّبِيُّ صلى الله
عليه وسلم يَتْبَعُهُ، فَقَالَ هُوَ ذَا مُضْطَجِعٌ فِي الْجِدَارِ فَجَاءَهُ
النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم وَامْتَلأَ ظَهْرُهُ تُرَابًا، فَجَعَلَ النَّبِيُّ
صلى الله عليه وسلم يَمْسَحُ التُّرَابَ عَنْ ظَهْرِهِ يَقُولُ " اجْلِسْ
يَا أَبَا تُرَابٍ ".
সাহল ইবনু সা'দ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন আলী (রাঃ) এর
নিকট তার নামগুলোর মধ্যে 'আবূ তুরাব' কুনিয়াত
ছিলো সবচেয়ে বেশী প্রিয় এবং এ নামে ডাকলে তিনি খুব খুশী হতেন। নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়াসাল্লাম-ই তাকে 'আবূ তুরাব' কুনিয়াতে
ডেকেছিলেন। একদিন তিনি ফাতিমা (রাঃ) এর সঙ্গে রাগ করে বেরিয়ে এসে মসজিদের দেয়াল
ঘেসে ঘুমিয়ে পড়লেন। এসময় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে তালাশ করছিলেন।
এক ব্যাক্তি বললঃ তিনি তো ওখানে দেয়াল ঘেসে শুয়ে আছেন। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তাঁর কাছে গিয়ে তাকে এমন অবস্থায় পেলেন যে তার পিঠে ধূলাবালি লেগে আছে।
তিনি তার পিঠ থেকে ধূলা ঝাড়তে লাগলেন এবং বলতে শুরু করলেনঃ হে আবূ তুরাব! উঠে
বসো। (বুখারী, হাদীস নং-৫৭৭১)
■ স্বামী-স্ত্রী একজন আরেক জনের পোষাক সরূপ।
তাই তারা একে অপরে পোষাকের মত মিলে মিশে থাকবে।
আল্লাহ তায়ালা বলেন -
أُحِلَّ لَكُمْ
لَيْلَةَ الصِّيَامِ الرَّفَثُ إِلَىٰ نِسَائِكُمْ ۚ هُنَّ لِبَاسٌ لَّكُمْ
وَأَنتُمْ لِبَاسٌ لَّهُنَّ ۗ عَلِمَ اللَّهُ أَنَّكُمْ كُنتُمْ تَخْتَانُونَ
أَنفُسَكُمْ فَتَابَ عَلَيْكُمْ وَعَفَا عَنكُمْ ۖ فَالْآنَ بَاشِرُوهُنَّ
وَابْتَغُوا مَا كَتَبَ اللَّهُ لَكُمْ ۚ
রোযার রাতে তোমাদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস করা তোমাদের জন্য হালাল করা
হয়েছে। তারা তোমাদের পরিচ্ছদ এবং তোমরা তাদের পরিচ্ছদ। আল্লাহ অবগত রয়েছেন যে, তোমরা আত্নপ্রতারণা করছিলে, সুতরাং তিনি তোমাদেরকে ক্ষমা করেছেন এবং
তোমাদের অব্যাহতি দিয়েছেন। অতঃপর তোমরা নিজেদের স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর এবং যা
কিছু তোমাদের জন্য আল্লাহ দান করেছেন, তা আহরন কর। (সুরা বাকারা, আয়াত ১৮৭)
■ সর্বদা পিতা মাতার সাথে সদ্ব্যবহার করা ও
তাদের কথা মান্য করা সন্তানের দায়িত্ব৷ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
وَقَضَىٰ رَبُّكَ
أَلَّا تَعْبُدُوا إِلَّا إِيَّاهُ وَبِالْوَالِدَيْنِ إِحْسَانًا ۚ إِمَّا
يَبْلُغَنَّ عِندَكَ الْكِبَرَ أَحَدُهُمَا أَوْ كِلَاهُمَا فَلَا تَقُل لَّهُمَا
أُفٍّ وَلَا تَنْهَرْهُمَا وَقُل لَّهُمَا قَوْلًا كَرِيمًا
তোমার পালনকর্তা আদেশ করেছেন যে, তাঁকে ছাড়া
অন্য কারও এবাদত করো না এবং পিতা-মাতার সাথে সদ্ব-ব্যবহার কর। তাদের মধ্যে কেউ
অথবা উভয়েই যদি তোমার জীবদ্দশায় বার্ধক্যে উপনীত হয়; তবে তাদেরকে ‘উহ’ শব্দটিও বলো না এবং
তাদেরকে ধমক দিও না এবং বল তাদেরকে শিষ্ঠাচারপূর্ণ কথা। (সূরা বনী ইসরাঈল, ২৩)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১. স্বামী স্ত্রীর মান অভিমান নিয়েই সংসার । তবে স্বামীকে বুঝিয়ে
ইসলামের শিক্ষা গ্রহণের প্রতি উদ্বুদ্ধ
করা যেতে পারে। আবার তাবলীগেও পাঠানো যেতে পারে। তাহলে দেখা যাবে কিছু হলেও পরিবর্তন আসবে।
২. পিতা মাতার সাথে খারাপ ব্যবহার করা যাবে না। আবার পিতা মাতা যদি কোনো
সন্তানের সাথে অন্যায় ভাবে খারাপ ব্যবহার করে তাহলে তাদের গুনাহ হবে।
৩. কুরআন হাদীন পড়ুন এবং সেভাবে চলার চেষ্টা করুন।
৪. শয়তানের ওয়াসওয়াসা এড়িয়ে চলবেন।
৫. হ্যাঁ, স্বামী -স্ত্রী পরিবারের জন্য দুআ করা
উচিত । পরিবারের কল্যাণের দোয়া করা উচিৎ।
৬. কুরআন হাদীস পড়ুন ।
৭. সাধারণত অফিসের জিনিস ব্যক্তিগত ব্যবহারের অনুমতি থাকে না। তাই সে ক্ষেত্রে
অফিসের জিনিস নিজের ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহার করা জায়েজ হবে না। তবে অনুমতি থাকলে
যাবে।
৮. ফিতনার আশংকা না থাকলে যাবে।