আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
574 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (16 points)
আসসালামুয়ালাইকুম, আমার কাছে একটি বিড়াল আছে।বিড়াল টি  আমাদের পাশের ফ্ল্যাটটিতে থাকে, পাশের ফ্ল্যাটটি খালি থাকায় ও জন্ম থেকেই থাকছে, ও আমাদের বাসায় আসে,তখন আমরা একটু খাবার দি, রাতে থাকতে দি না, ও পাশের ফ্ল্যাটটিতে থাকে, কিন্তু ওকে নিয়ে অনেক ঝামেলা হচ্ছে ফ্ল্যাটে,কারণ বিড়াল যেখানে সেখানে টয়লেট করে,একজন তো বলেছেন বিড়াল কে বিষ খাওয়াবে, এমতাবস্থায় আমি বিড়াল টাকে সারাদিন বাসায় রাখি অনেক রাতে বের করে দি,যেন ও আমাদের বাসায় টয়লেট করে, কিন্তু আমার পক্ষে বিড়াল পোষা সম্ভব না, পরিবারের সমর্থন নেই, আরও অনেক বিষয় আছে। তাই, আমি বিড়াল ভবিষ্যৎ এর কথা ভেবে, বিড়াল টাকে একজনের কাছে দিতে চাইছি, সে বিড়ালকে অনেক ভালোবাসে, ওর যথেষ্ট যত্ন নিবে, ওর  খাওয়া দাওয়া চিকিৎসা,এর অভাব হবেনা, কিন্তু যাকে বিড়াল টিকে দিবো, তার বাসায় অন্য একটা ছেলে বিড়ালকে নিউটর ( খাসি বানানো) করানো,তাকে কথা দেওয়ার আগে আমি নিউটর/ স্প্রে সম্পর্কে কিছুই জানতাম না, পরে জেনেছি, এখন আমি দ্বিধাগ্রস্ত হয়ে পড়েছি কি করবো, আমি যতটুকু জেনেছি অনেকেই বাড়িতে স্প্রে/নিউটর করিয়ে বিড়াল পোষে, এটা না করলে বিড়াল এর হিট আসলে তার আচারণ আক্রমণাত্মক হয়ে যায়, বাসায় থাকতে চায় না, তখন আরেকটা মেয়ে বিড়াল আনতে হয়, যেন মেটিং করতে পারে, সেক্ষেত্রে আবার তাদের বাচ্চা হবে, অনেকের কাছে এসব বাচ্চা পোষা ঝামেলার,তারা শুধু বিড়াল টাকে পালতে চায়, সেক্ষেত্রে তারা বিড়াল কে নিউটর করিয়ে বাসায় আজীবন পালতে চায়, শুনেছি ,নিউটর করাতে  বিড়াল এর জীবন ঝুঁকি থাকে না, আর আমার পক্ষে বিড়াল কে সবসময় এভাবে রাখা সম্ভব হবে না,আমি শুধু কয়েকদিনের জন্য ওকে আশ্রয় দিয়েছি,আর ফ্ল্যাটে তো বিড়াল নিয়ে সমস্যা আছেই,এখন আমি কি করবো, বুঝতে পারছি না, আমি জানি,যাকে বিড়ালটিকে দিবো,সে বিড়াল এর অনেক যত্ন নিবে, চিকিৎসা,ভ্যাকসিন সব দিবে, কিন্তু যেহেতু বিড়াল কে বাসায় রেখে পালবে,সেহেতু নিউটর করিয়ে বাসায় পালবে,এমন সম্ভবনা ই বেশি, অলরেডি তার একটা বিড়াল নিউটর করানো। আমার কি বিড়াল   ভবিষ্যৎ ( খাওয়া দাওয়া, চিকিৎসা ) এসব এর কথা ভেবে তার কাছে দি দেওয়া কি ইসলাম সম্মত হবে??আর পাশের ফ্ল্যাটটিতে তো লোক উঠবে,আর ও তো কোথাও যায় না।

1 Answer

0 votes
by (589,260 points)
edited by

ওয়া আলাইমুস সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহ।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত যে,
নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সবচেয়ে অধিক সদাচারী ছিলেন। আমার এক ভাই ছিল; ‘তাকে আবূ ‘উমায়র’ বলে ডাকা হতো। আমার ধারণা যে, সে তখন মায়ের দুধ খেতো না। যখনই সে তাঁর নিকট আসতো, তিনি বলতেনঃ হে আবূ ‘উমায়র! কী করছে তোমার নুগায়র? সে নুগায়র পাখিটা নিয়ে খেলতো।(সহীহ বোখারী-৬২০৩,সহীহ মুসলিম-২১৫০)

প্রাণী লালন-পালন কয়েকটি শর্তে ভিত্তিতে জায়েয।
(১)প্রাণীকে নিয়মিত খাবার দাবার প্রদান করতে হবে।
হযরত ইবনে উমর থেকে বর্ণিত,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, এক নারী একটি বিড়ালের কারণে জাহান্নামে গিয়েছিল, সে তাকে বেঁধে রেখেছিল। সে তাকে খাবারও দেয়নি, ছেড়েও দেয়নি, যাতে সে যমীনের পোকা মাকড় খেতে পারত। আবূ হুরাইরাহ্ (রাঃ) সূত্রেও নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম হতে অনুরূপ হাদীস বর্ণিত আছে।(সহীহ বোখারী-৩৩১৮,সহীহ মুসলিম-২২৪২)

(২)প্রাণীকে কোনো প্রকার কষ্ট দেয়া যাবে না।
রাসূলুল্লাহ সাঃ মুখে প্রহার করা  এবং মুখে ট্যাটু অঙ্কন করা যাবে না।(সহীহ মুসলিম-২১১৬) এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে ভিজিট করুন-https://www.ifatwa.info/10998

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
বিড়ালকে খাসি বানানো যাবে না।জায়েয হবে না।বিড়ালটি যেখান থেকে এসেছে, সেখানেই থাকতে দিন।তাকে তার উপর ছেড়ে দিন।তার রিযিকের ব্যবস্থা আল্লাহ করবেন।জেনে বুঝে আপনি এমন কাউকে দিবেন না, যে বিড়ালটির সাথে অন্যায় করবে।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (589,260 points)
সংযোজন ও সংশোধন করা হয়েছে।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...