আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
146 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (42 points)
আসসালামু আলাইকুম,

আমার পরিবার পুরোপুরি প্রেক্টিসিং না। নামাজ রোজা পালন করে ঠিকই কিন্তু ইসলামের অনেক কিছুই মেনে চলেনা।সেক্ষেত্রে আমি যদি সংশোধন করার চেষ্টা করি তখন বেশিরভাগ সময়ই আমার কথা মানা হয় না বরং আমাকে অনেক ধরনের কথা শুনতে হয় এবং আমার কথার বিরুদ্ধে বিভিন্ন যুক্তি দাড় করানো হয়। আমি ঝগড়ার ভয়ে আর কথা বাড়াই না। পরবর্তীতে আবার কোনো ভুল কিছু করতে দেখলেও বলিনা কারন আমার মনে হয় বললেও কোনো লাভ হবেনা আমার কথা শুনবেনা।নিজের পরিবারের মধ্যে আল্লাহ্‌র অবাধ্যতা দেখলে আমার খুব অশান্তি লাগে।
আমার প্রশ্ন হচ্ছে আমার পরিবারের অবাধ্যতার কারনে আল্লাহ্‌ সুবহানাহু ওয়া তা'য়ালা কি আমাকে পাকরাও করবেন? এর জন্য কি আল্লাহ্‌র কাছে আমি জিজ্ঞাসিত হব?

1 Answer

0 votes
by (589,140 points)


ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/4711 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
আল্লাহ তা'আলা বলেন,
وَلَقَدْ عَلِمْتُمُ الَّذِينَ اعْتَدَواْ مِنكُمْ فِي السَّبْتِ فَقُلْنَا لَهُمْ كُونُواْ قِرَدَةً خَاسِئِينَ
তোমরা তাদেরকে ভালরূপে জেনেছ, যারা শনিবারের ব্যাপারে সীমা লঙ্ঘণ করেছিল। আমি বলেছিলামঃ তোমরা লাঞ্ছিত বানর হয়ে যাও।
فَجَعَلْنَاهَا نَكَالاً لِّمَا بَيْنَ يَدَيْهَا وَمَا خَلْفَهَا وَمَوْعِظَةً لِّلْمُتَّقِينَ
অতঃপর আমি এ ঘটনাকে তাদের সমসাময়িক ও পরবর্তীদের জন্য দৃষ্টান্ত এবং আল্লাহভীরুদের জন্য উপদেশ গ্রহণের উপাদান করে দিয়েছি।(সূরা বাকারা-৬৫)

বনি ইসরাঈলের মধ্যে শনিবারের মাছ শিকার নিয়ে কয়েকটা গ্রুপ ছিল,একটা গ্রুপ ছিল,যারা মাছ শিকার করেছে,একটা গ্রুপ ছিল,মাছ শিকার করেনি তবে তারা বাধা দানও করেনি।আরেকটা গ্রুপ ছিল,যারা দুয়েকবার বাধা দান করে শেষ পর্যন্ত আর বাধা দান করেনি।আরেকটা গ্রুপ ছিল,যারা শেষ পর্যন্ত বাধা দান করেছে।প্রথমোক্ত তিন গ্রুপকেই আল্লাহ বানর এবং শুকুর বানিয়েছিলেন।আর চতুর্থ গ্রুপকে অাল্লাহ ক্ষমা করে দিয়েছিলেন।যেহেতু তারা সৎ কাজের আদেশ এবং অসৎ কাজের নিষেধ প্রদানের উপর অটল ছিলো।

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
আপনি আপনার পরিবারবর্গকে নিজ সাধ্যমত দাওয়াত দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করবেন। দাওয়াত প্রদানে অটল ও অবিচল থাকবেন।দাওয়াত ছেড়ে দিলে আশংকা করা যায় যে, আপনি জিজ্ঞাসিত হবেন।সুতরাং দাওয়াত প্রদানের জন্য চেষ্টাকে অব্যাহত রাখবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হোক।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...