আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
111 views
in কুরবানী (Slaughtering) by (73 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ।

হুজুর,

০১.ইদের নামাজের পূর্বের বক্তৃতায় বক্তা বয়ানের ফাঁকে ফাকে তাকবিরে তাশরীক পড়েন । এরকম পড়ার হুকুম কী? এটা কী জরুরি?না পড়লে অসুবিধা আছে?

০২. কুরবানি কি ব্যক্তি কেন্দ্রিক ওয়াজিব , না পরিবার কেন্দ্রিক? যদি পরিবার কেন্দ্রিক হয় তাহলে তো পরিবারের পক্ষ থেকে একটি  দিলেই হবে? আর  পরিবার কেন্দ্রিক না হলে পরিবারের প্রতিটি সদস্য যাদের উপর ওয়াজিব হয়েছে প্রত্যেকেই দিতে হবে।

০৩.সাত বছরের কম বয়সী শিশুকে জামাতে নেয়ার হুকুম কী? কিতাবে পাওয়া যায় - না বালেগের জন্য আলাদা কাতারের কথা। আমাদের দেশে তো সেটা দেখা যায় না।আসলে বিষয়টা কেমন?

০৪. কারো একটি মেশিন আছে।সেটার আয় তিনি ভোগ করেন। যাকাতের ক্ষেত্রে মেশিনটির মূল্য নেসাব হিসাবের সময় ধরা হবে না।কারণ তিনি মেশিনের ব্যবসার করেন না। কুরবানির ক্ষেত্রেও কি নেসাব হিসাব করা ক্ষেত্রে এটা আসবে না?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাবঃ-
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم


(০১)
হাদীস শরীফে এসেছেঃ- 

حَدَّثَنَا هِشَامُ بْنُ عَمَّارٍ، حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَعْدِ بْنِ عَمَّارِ بْنِ سَعْدٍ الْمُؤَذِّنِ، حَدَّثَنِي أَبِي، عَنْ أَبِيهِ، عَنْ جَدِّهِ، قَالَ كَانَ النَّبِيُّ ـ صلى الله عليه وسلم ـ يُكَبِّرُ بَيْنَ أَضْعَافِ الْخُطْبَةِ يُكْثِرُ التَّكْبِيرَ فِي خُطْبَةِ الْعِيدَيْنِ .

রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর মুয়াযযিন সা’দ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অধিকাংশ খুতবাহ্য় বেশি বেশি তাকবীর বলতেন এবং তিনি দু ঈদের খুতবাহ্য় আরো অধিক সংখ্যায় তাকবীর বলতেন।
সুনানে ইবনে মাজাহ ১২৮৭)

ঈদের নামাযের প্রথম খুতবার শুরুতে নয়বার ও দ্বিতীয় খুতবার শুরুতে সাতবার ধারাবাহিকভাবে ‘আল্লাহু আকবার’ বলা মুস্তাহাব। 

ফিকহের কোনো কোনো কিতাবে খুতবাহ শেষে   ১৪বার তাকবীর বলার কথা উল্লেখ আছে। তবে উভয় ঈদের খুতবায়ই ব্যাপকভাবে বেশি বেশি তাকবীর বলা সাহাবী ও তাবেয়ীদের আছার দ্বারা প্রমাণিত।

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত পদ্ধতিতে তাকবিরে তাশরিখ বলা আবশ্যক নয়।
তবে কেহ বললে তাতে সমস্যা নেই,অনুমতি আছে।

সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে সমস্যা নেই।

(০২)
কুরবানী পরিবার কেন্দ্রিক ওয়াজিব।
সুতরাং পরিবারের প্রতিটি সদস্য যাদের উপর কুরবানী ওয়াজিব হয়েছে,তাদের প্রত্যেকেই কুরবানী দিতে হবে।

(০৩)
নাবালেগদের জন্য প্রাপ্ত বয়স্ক দের পিছনে আলাদা কাতার করা ভালো,তবে বর্তমান সময়ের ন্যায় জামাতের কাতারের মাঝে নেয়াতে সমস্যা নেই।

তবে শিশুটি যদি অবুঝ হয়,আর মুছল্লিদের নামাজে সমস্যা করে,সেক্ষেত্রে তাকে মসজিদে না নিয়ে আসা উচিত।

আরো জানুনঃ- 

(০৪)
যেহেতু সেটির আয় তিনি ভোগ করেন,সেক্ষেত্রে এটি তার প্রয়োজনীয় সামানার অন্তর্ভুক্ত ,বিধায় কুরবানির নেসাব হিসাব করা ক্ষেত্রে এটা গণনায় আসবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...