আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
295 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (75 points)

১।একাকী নামায পড়লে ফরজ নামাযগুলো জোরে বা আস্তে তিলওয়াত করা কি ওয়াজিব ?

জামাতে যে ওয়াক্তগুলোতে আস্তে পড়া হয় সেগুলো জোড়ে পড়লে এর যেগুলো জোড়ে পড়া হয় সেগুলো আস্তে পড়লে কি সাহু সিজদাহ দেওয়া লাগবে?

 

২।কোন এক ওয়াক্তের নামাযে প্রথম রাকাত জোড়ে পড়লাম কিন্তু দ্বিতীয় রাকাত আস্তে পড়লাম তাতে কি সাহু সিজদাহ দেওয়া লাগবে?

 

৩।কোন এক রাকাতে সূরা ফাতিহা জোরে পড়লাম এবং অন্য সূরা আস্তে পড়লাম ,এক্ষেত্রে কি সাহু সিজদাহ দিতে হবে?

 

৪।নামাযে তাকবির কিভাবে উচ্চারণ করবো?তা কি নিজ কানে শোনা যাবে এমন আওয়াজ করতেই হবে? নাকি শুধু মুখ নাড়ালেই হবে?আওয়াজ না শুনা গেলেও ।

৫।আমি নাপাক কাপড়ের সাথে একটা সেন্টু গেঞ্জি বালতিতে ভিজাই,নাপাক কাপড় খোলিয়ে চিপড়িয়ে রেখে,সেন্টু গেঞ্জি এক হাত দিয়ে কয়েকবার পানিতে খোলান দিয়ে চিপড়িয়ে পানি ফেলে দেই।কিন্তু দুই হাত দিয়ে গেঞ্জি ছড়াইয়া দিয়া খোলাই নাই।

আবার ঐ কাপড় আর গেঞ্জি বালতিতে দ্বিতীয়বার পানি নিয়ে প্রথমবারের মত একইভাবে ধুয়ে চিপড়িয়ে পানি ফেলে দেই।একইভাবে তৃতীয়বার বালতিতে নতুন পানি নিয়ে ধুয়ে চিপড়িয়ে পানি ফেলে দেই।

 

আমার গেঞ্জি কি পাক হয়েছে?

যেহেতু দুই হাত দিয়ে গেঞ্জি ছড়াইয়া দিয়া খোলাই নাই।কিন্তু বালতিতে ডুবানো ছিল এবং তিনবার ধুয়ে চিপড়িয়েছি

1 Answer

0 votes
by (714,280 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)https://www.ifatwa.info/1725 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে, 
আল্লামা ইবনে আবেদীন শামী রাহ উক্ত ইবারতের ব্যাখায় লিখেন,
مطلب في الكلام على الجهر والمخافتة 
(قوله ويخافت المنفرد إلخ) أما الإمام فقد مر أنه يجهر أداء وقضاء (قوله في وقت المخافتة) قيد به لأنه إن قضى في وقت الجهر خير كما لا يخفى ح (قوله بعد طلوع الشمس) لأن ما قبلها وقت جهر فيخير فيه، لكن في بعض نسخ الهداية بعد طلوع الفجر (قوله كما في الهداية) قال فيها لأن الجهر مختص، إما بالجماعة حتما أو بالوقت في حق المنفرد على وجه التخيير ولم يوجد أحدهما 
ভাবার্থ- জাহরি কা'যা নামাযকে সির্রি সময়ে জামাতের সাথে আদায় করলে ইমাম সাহেব তখন উচ্ছস্বরে ক্বেরাত পড়বেন।তবে মুনফারিদ সির্রি সময়ে জাহরি নামাযকে কা'যা করার ইচ্ছাপোষণ করলে অত্যাবশ্যকীয় ভাবে তখন ক্বেরাতকে নিম্নস্বরে পড়বেন।কেননা উচ্ছস্বরে কুরআন তেলাওয়াত হয়তো জামাতের সাথে সীমাবদ্ধ নতুবা জাহরি সময়ের সাথে সীমাবদ্ধ। অবশ্য জাহরি সময়ে মুনফারিদকে এখতিয়ার দেয়া হবে।সে চাইলে উচ্ছস্বরে তেলাওয়াত করতে পারবে অথবা নিম্নস্বরেও তেলাওয়াত করতে পারবে। (শেষ)

সুতরাং 
বাসায় জামাতে নামায পড়লে উচ্ছস্বরের নামায তথা মাগরিব, ইশা ও ফজরে উচ্ছস্বরে পড়তে হবে। আর একাকি পড়লে মুসাল্লির এখতিয়ার থাকবে, সে চাইলে উচ্ছস্বরে পড়তে পারবে, আবার চাইলে নিম্নস্বরেও পড়তে পারবে। 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন
একাকি নামায পড়লে নিম্নস্বরের নামায যেমন, জোহর,আসর এই দুই নামাযে নিম্ন স্বরে পড়া ওয়াজিব। আর উচ্ছস্বরের  নামায যেমন, ফজর,মাগরিব, এশা, এই তিন নামাযকে একাকি কেউ পড়লে তার এখতিয়ার থাকবে, সে চাইলে উচ্ছস্বরেও পড়তে পারবে, আবার ইচ্ছা করলে সে নিম্নস্বরেও পড়তে পারবে। 

(২) জামাতে পড়লে যেকোনো নামাযেই পড়া হোক না কেন, সাহু সিজদা দিতে হবে। আর একাকি পড়লে নিম্নস্বরের নামায যেমন জোহর ও আসরের নামায, এই নামাযদ্বয়ে এরকম পড়লে অবশ্যই সাহু সিজদা দিতে হবে। 

(৩) এটার বিধানও পূর্ববর্তী বিধানের মত। 

(৪) নিজ কানে শোনা যায়, এমন আওয়াজ করে তাকবীর দিতে হবে। তাকবীরে তাহরিমার সময়ে মুখ দ্বারা উচ্ছারণ না করলে নামাযই হবে না। কেননা তাকবীরে তাহরিমা ফরয। সুতরাং মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করে তাকবীর দিতে হবে। আর তাকবীরে তাহরিমা ব্যতিত অন্যান্য তাকবীর সমূহ যেহেতু সুন্নত, তাই তাকবীর সমূহে মুখ দ্বারা উচ্ছারণ করা সুন্নত। 

(৫) যেহেতু তিনবারই নতুন পানি দ্বারা ধৌত করে নিংড়িয়েছেন, তাই আপনার গেঞ্জিটা পবিত্র হয়ে গিয়েছে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...