আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
73 views
in পবিত্রতা (Purity) by (48 points)
গতকাল রাতে আমার বীর্যপাত ঘটে৷ দেখা যায়, যেদিন আমার এই সমস্যা হয় পরদিন এক-দুইবার প্রসাব করবার আগে মযি চলে আসে৷ এজন্য বেশ দুঃশ্চিন্তায় থাকি৷ গতকাল এই কাজ ঘটায় দিনে টয়লেট করে ফর‍য গোসল করি। আজ অনেক কাজ ছিল, এজন্য সম্ভাব্য নাপাক যাতে কাপড়ে না লাগে সেটা থেকে বাঁচতে গোপনাংগের মাথায় রাবার যাতীয় বেলুন মত একটা জিনিস দিয়ে রাখি৷ এরপর প্রচন্ড গরম পড়ায় আর কাজে থাকায় প্রসাব দিনে আসেনি৷ ওই রাবারের মত প্রলেপ পরে থাকায় শরীরে নাপাক লাগেনি৷ তবে রাতে যখন প্রসাব করতে গেছি তখন ওই রাবারের মত প্রলেপটা ওঠানোর সময় গোপনাংগ আমার বাম পাশের দাপনায় (হাটুর উপরের মাংসপেশীতে) লাগে৷ এরপর খেয়াল করি, গোপনাংগের মাথায় সাদা মযি জমে আছে, তরল নয় কিছুটা জেলীভাব৷ আমি এটা দেখে দাপনায় চেক করে দেখি, দাপনায় কোন নাপাক দেখা যাচ্ছে না৷ হয়ত মযি শুকনো ভাবের কারণে৷ তবে এক সেকেন্ডেরও কম সময় দাপনায় ছোয়া লেগেছিল৷ তাই আমার মনে বিশ্বাস, এটা এক দিরহাম থেকে কমই হবে৷ আবার যেহেতু চোখে নাপাকের অস্তিত্ব দেখা যাচ্ছে না বা কোথায় লেগেছে বা কতটুকু৷ এজন্য আমি সম্ভাব্য জায়গা মনে করে অনেকগুলো টিস্যু দিয়ে যতটা পারা যায় দাপনা মুছে ফেলি৷
আবার আমাদের ট্যাংকিতে রাতে পানি কম থাকে, এতো রাতে পানি নষ্ট করলে বাসা থেকে অন্যরা পানি পাবে না৷ আবার তীব্র ওয়াসওয়াসার কারণে অনেক পানি নষ্ট হত৷ এজন্য আমি টিস্যু দিয়ে মুছেই নাপাক দূর করেছি বলে মনে করছি৷ এটা কি সমর্থনযোগ্য? না এটার কারণে শরীর, কাপড় নাপাক হবে?

1 Answer

0 votes
by (63,440 points)
edited by

 

 

بسم الله الرحمن الرحيم

জবাবঃ-

https://www.ifatwa.info/7947 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,

 وَكَذَا لَوْ لَفَّ الثَّوْبَ النَّجَسَ فِي ثَوْبٍ طَاهِرٍ وَالنَّجَسُ رَطْبٌ مُبْتَلٌّ وَظَهَرَتْ نَدْوَتُهُ فِي الثَّوْبِ الطَّاهِرِ لَكِنْ لَمْ يَصِرْ بِحَالٍ لَوْ عُصِرَ يَسِيلُ مِنْهُ شَيْءٌ مُتَقَاطِرٌ لَا يَصِيرُ نَجَسًا. اهـ

যদি ভিজা নাজাসত সম্ভলিত কাপড়কে পবিত্র কাপড়ের সাথে লেপ্টিয়ে দেয়া হয় বা ভাজ করা হয়,এবং শুকনা কাপড়ে নাজাসতের চিহ্ন পরিলক্ষিত হয়,যদি শুকনো কাপড় এমন পর্যায়ে পৌছে না যে,তাকে চিপানো হলে, তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে এমতাবস্থায় উক্ত কাপড় নাপাক হবে না।(আল-বাহরুর রায়েক-১/২৪৪)

 

আল্লামা হাসক্বাফী রাহ লিখেন,

لُفَّ طَاهِرٌ فِي نَجِسٍ مُبْتَلٍّ بِمَاءٍ إنْ بِحَيْثُ لَوْ عُصِرَ قَطَرَ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا. وَلَوْ لُفَّ فِي مُبْتَلٍّ بِنَحْوِ بَوْلٍ، إنْ ظَهَرَ نَدَاوَتُهُ أَوْ أَثَرُهُ تَنَجَّسَ وَإِلَّا لَا.

যদি পবিত্র কাপড়কে -অপবিত্র এমন কাপড় যা পানি দ্বারা ভিজা থাকে- এর সাথে ভাজ করা হয়ে থাকে,যদি পবিত্র শুকনো কাপড় এমনভাবে ভিজে যে,তা তাকে চিপানো হলে তা থেকে কিছু বের হবে,তাহলে সেই শুকনো পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হয়ে যাবে।নতুবা অপবিত্র হবে না।আর যদি শুকনো কাপড়কে প্রস্রাব ইত্যাদি দ্বারা ভিজা কাপড়ের সাথে ভাজ করা হয় বা লেপ্টানো হয়,যদি পবিত্র কাপড়ে নাজাসতের কোনে চিহ্ন পরিলক্ষণ করা যায়,তাহলে উক্ত পবিত্র কাপড়ও অপবিত্র হবে, নতুবা অপবিত্র হবে না।(রদ্দুল মুহতার-১/৩৪৭)

ইমাম নববী রাহ উক্ত হাদীসের ব্যখ্যায় লিখেন,

ﻣﻌﻨﺎﻩ ﺃﻥ ﺍﻟﺸﻴﻄﺎﻥ ﺇﻧﻤﺎ ﻳﻮﺳﻮﺱ ﻟﻤﻦ ﺃﻳﺲ ﻣﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻓﻴﻨﻜﺪ ﻋﻠﻴﻪ ﺑﺎﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ؛ ﻟﻌﺠﺰﻩ ﻋﻦ ﺇﻏﻮﺍﺋﻪ ، ﻭﺃﻣﺎ ﺍﻟﻜﺎﻓﺮ : ﻓﺈﻧﻪ ﻳﺄﺗﻴﻪ ﻣﻦ ﺣﻴﺚ ﺷﺎﺀ ، ﻭﻻ ﻳﻘﺘﺼﺮ ﻓﻲ ﺣﻘﻪ ﻋﻠﻰ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ، ﺑﻞ ﻳﺘﻼﻋﺐ ﺑﻪ ﻛﻴﻒ ﺃﺭﺍﺩ ، ﻓﻌﻠﻰ ﻫﺬﺍ ﻣﻌﻨﻰ ﺍﻟﺤﺪﻳﺚ : ﺳﺒﺐ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ : ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﺃﻭ ﺍﻟﻮﺳﻮﺳﺔ ﻋﻼﻣﺔ ﻣﺤﺾ ﺍﻹﻳﻤﺎﻥ ، ﻭﻫﺬﺍ ﺍﻟﻘﻮﻝ ﺍﺧﺘﻴﺎﺭ ﺍﻟﻘﺎﺿﻲ ﻋﻴﺎﺽ ...

অর্থাৎ শয়তান সে ব্যক্তিকেই প্ররোচনা দেয়,যাকে গোমরাহ করতে সে নিরাশ হয়ে যায়।সে কাউকে গোমরাহ করতে নিরাশ হয়ে গেলে সর্বশেষে সে মনে সন্দেহ ঢুকিয়ে দিতে চায়।

আর কাফিরের নিকট শয়তান যেকোনো থেকে যেহেতু আসতে পারে,তাই কাফিরকে প্ররোচনা দেয়ার কোনো প্রয়োজন তার থাকে না।কেননা সে যেকোনো সময় তার ইচ্ছামত কাফিরকে ব্যবহার করতে পারে।সুতরাং হাদীসের অর্থ হলো এই যে,ঈন্তরে ঈমানের দানা থাকার দরুণই শয়তান ঈমানদারদেরকে প্ররোচনা দিয়ে থাকে। এ বিষয়ে এটাই কাযী ঈয়ায রাহ এর পছন্দনীয় ব্যাখ্যা।(আল-মিনহাজ্ব-২/১৫৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

আপনার শরীরের উক্ত অঙ্গে নাপাকী লাগার ব্যাপারে যদি আপনি নিশ্চিত হন তাহলে তা নাপাক হবে অন্যথায় ওয়াসওয়াসা বা সন্দেহের বশবর্তী হয়ে উক্ত স্থানকে নাপাক মনে করা যাবে না। সুতরাং আপনার বর্ণানুপাতে যেহেতু নাপাকীর আদ্রতা ও চিন্হ আপনার দৃষ্টিতে পড়েনি বিধায় তা নাপাক হবে না বলে আশা করা যায়।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী মুজিবুর রহমান
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 112 views
0 votes
1 answer 225 views
...