বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ--
(১)
কাউকে ইচ্ছাকৃত বিরক্ত করা গোনাহ।
(২)
টুপি নিচে পড়ে গেলে যে, তাকে সম্মান করতে হবে,বিষয়টা এমন নয়।হ্যা, নবিজী র সুন্নত হিসেবে টুপিকে সম্মানের সাথে ব্যবহার করতে হবে।
(৩)
দাওয়াত ও তাবলীগের কাজ সমস্ত মুসলমানদের উপর ফরযে কেফায়া। তথা কিছুসংখ্যক মুসলমান আদায় করে নিলে সবার উপর থেকে আদায় হয়ে যায়।তবে ব্যক্তিগত ভাবে সবাইকে নিজ নিজ অন্তর পবিত্র রাখা ও শয়তানের কুমন্ত্রণা থেকে নিজ অন্তরকে হেফাজতে রাখা ফরযে আইন। (আহকামুল কুরাআন-জাসসাস;২/৩১৫,ফাতাওয়ায়ে হাক্কানিয়া-২/৪৩৮)
পরিবারের সদস্য ব্যতিত অন্য কাউকে দ্বীনের দাওয়াত না দিলে আখেরাতে জবাব দিতে হবে?
শরীয়ত যাকে পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের অভিভাবক নিযুক্ত করেছ, তার উপর ওয়াজিব অধীনস্থ সবাইকে দ্বীনের দিকে নিয়ে আসা।এর জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা।নিজ অধীনস্থ ব্যতীত অন্য সবাইকে দাওয়াত দেয়া ফরযে কেফায়া।মুসলমানদের যে কোনো একজনকে আদায় করতে হবে।কেউ একজন আদায় করে নিলে সমস্ত মুসলমানের উপর থেকে দায়িত্ব আদায় হয়ে যাবে। নতুবা সবাইকে এর দায়-দায়িত্ব নিতে হবে।তথা সবাই গোনাহগার হবে।যে বা যারা এই মহান দায়িত্ব আদায় করবে তাদের জন্য রয়েছে অফুরন্ত রহমত আর অশেষ বিনিমেয়ের ভান্ডার।
মহিলা এবং পুরুষদের দাওয়াত দেয়ার বিধান কেমন হবে?
পুরুষকে পুরুষ আর মহিলাকে মহিলা দাওয়াত দিবেন।এটাই সাধারণ নিয়ম।যদি কোথাও মহিলাদের দ্বারা দাওয়াতী কাজ করা সম্ভব না হয় তাহলে পর্দাপুশিদা র সাথে পুরুষরা দাওয়াতী কাজের ব্যবস্থা করতে পারবেন।পর্দার আড়াল থেকে মহিলারা কুরআন-হাদীসের বাণী শুনবে।
দাওয়াতি কাজের অনেক কিতাবাদি রয়েছে, বাজারে খুজ নিলে জানতে পারবেন।