আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
63 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (48 points)
১৷ বর্তমান সময়ে আমরা জীবানুমুক্ত থাকতে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করি৷ যাতে এলকোহল থাকে অনেক৷ এখন প্রশ্ন হল, শুধু হাত জীবানুমুক্ত করার উদ্দেশ্যে যেহেতু এটা ব্যবহার করা হয়, স্যানিটাইজার ব্যবহার করা কি ধর্মে জায়েজ? আমি শুনেছি, এটা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা নেই, কারণ এটাতে নেশা হচ্ছে না, আবার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই শুকিয়ে যায়৷
২৷ হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের পর কি আবার হাত ধোবার প্রয়োজন আছে? মানে এতে যেহেতু এলকোহল থাকে৷ তবে আমার মতে, তাড়াতাড়ি এটা বাতাসে মিলিয়ে যায়৷ আবার বাসার বাইরেই সাধারণত এটি ব্যবহার করা হয়, যখন পানি পাওয়া যায় না৷
আবার খাবার খাওয়ার আগেও স্যানিটাইজার লাগালে শুকিয়ে গেলে কি হাত ধোয়ার কি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে?

৩৷ বাইরে মোবাইল ব্যবহার করা হলে  বা কারো হাতে দেয়া হলে পরে জীবানুমুক্ত করতে এলকোহল প্যাড ব্যবহার করা হয়৷ কিংবা ময়লা লাগলে জীবানু দূর করতে এটা ব্যবহার হয়। এতেও এলকোহল থাকে৷ এটা ব্যবহারের পর ও হাত ধোয়া কিংবা মোবাইল আবার অন্যকিছু দিয়ে মোছার দরকার আছে?

1 Answer

0 votes
by (721,400 points)


বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/13824 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
ইথানল এক প্রকার এ্যলকোহল।
বর্তমান সময়ে বাজারে পাওয়া যাওয়া এলকোহল কি হালাল না হারাম? এ সম্পর্কে বিশিষ্ট ফকিহ শাইখুল ইসলাম তাক্বী উসমানী (দাঃবা) লিখেন,
وان معظم الكحول التي تستعمل اليوم في الادوية والعطور وغيرها لا تتخذ من العنب او التمر انما تتخذ من الحبوب او القشور او البترول وغيره
ভাবার্থঃ এলকোহল যা আজ বিভিন্ন ঔষধ বা আতর/সেন্টে ব্যবহৃত হয়ে আসছে তার অধিকাংশই আঙ্গুর বা খেজুর থেকে তৈরী হচ্ছে না।
বরং তা বিভিন্ন প্রকার শস্যদানা,খোসা,এবং খনিজ পদার্থ ইত্যাদি থেকেই তৈরী করা হচ্ছে।(বিধায় সেগুলো হারাম হবে না যতক্ষণ না মদ হওয়ার পূর্ণবিশ্বাস হচ্ছে)(তাকমিলাতু ফাতহুল মুসলিম 3/608)
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন-https://www.ifatwa.info/165

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ ও প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
সুতরাং বাজারে বিদ্যমান এ সমস্ত দৈনন্দিন ব্যবহার্য জিনিষে যতক্ষণ না হারাম এ্যলকোহল সম্পর্কে নিশ্চিত ধারণা হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেটার ব্যবহারের রুখসত থাকবে।
সুতরাং আমরা বলবো যে,
(১)
স্যানিটাইজার ব্যবহার করা জায়েয।

(২)
স্যানিটাইজার ব্যবহারের পর হাত ধৌত করার কোনো প্রয়োজনিয়তা নাই।তবে সম্ভব হলে ধৌত করে নেয়া উত্তম।

(৩)
এই প্যাড ব্যবহার করাও জায়েয।এটা ব্যবহার করার পর নতুনকরে আবার হাতকে ধৌত করতে হবে না।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...