আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
92 views
in পবিত্রতা (Purity) by (129 points)
আসসালামু 'আলাইকুম হযরত,

১,দেহের কোনো অংশে নাপাক তেল লাগবে তা কি একবার পানি ঢালা যথেষ্ট? যদিও বা তৈলক্ততা রয়ে যায়? এক হুজুর বলেছে,সবসময় একবার পানি ঢালা যথেেেষ্ট না,আবার কখনো একবার ঢালা যথেেেষ্ট। আপনাদের কাছে বিস্তারিত জানতে চাই কখন কি রকম
২,ফরজ গোসল করছিলাম, হুট করে পানি শেষ হয় কিন্তু কিছু অংশ পানি দেয়া বাকি,তখন স্ত্রীকে বলি মিনারেল ওয়াটার যেটা খাবার নিয়াতে কেনা সেটা দিতে,সেটা থেকে কিছু নিয়ে বাকি কাজ সারি,এরপরেও কিছু জায়গায় পানি দেয়া বাকি থাকি,পরে পানি আসি, খাবার পানির সাথে সেটা মিক্সড করে রেখে সেই পানি দিয়ে বাকি কাজ করি।এতে কি গোসল শুদ্ধ হবে?

কারণ জানতাম ওয়াকফ করা পানি পবিত্রতার কাজে ব্যবহার করা যাবেনা।আমি পানিটা খাওয়ার নিয়াতে কিনেছিলাম

1 Answer

0 votes
by (671,200 points)
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম।
জবাবঃ-


(০১)
হাদিস শরিফে এসেছে,আসমা রাযি. থেকে বর্ণিত,

 أَنَّ النَّبِيَّ  ﷺ قَالَ -فِي دَمِ الْحَيْضِ يُصِيبُ الثَّوْبَ-: «تَحُتُّهُ، ثُمَّ تَقْرُصُهُ بِالْمَاءِ، ثُمَّ تَنْضَحُهُ، ثُمَّ تُصَلِّي فِيهِ

হায়িযের রক্ত কাপড়ে লেগে যাওয়া প্রসঙ্গে রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ‘পানি দিয়ে ঘষা দিবে তারপর পানি দ্বারা ভালোভাবে ধৌত করবে। অতঃপর সলাত আদায় করবে।’ (বুখারী ২২৭,৩০৭)

প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
যদি নাপাক তেল মাথায় বা শরীরে মালিশ করা হয়, তাহলে শুধু তিনবার ধুলেই মাথা বা শরীর পাক হবে। কোনো কিছু দিয়ে তৈলাক্ততা দূর করার প্রয়োজন নেই।
যদি নাপাক রক্তে শরীর বা চুল রাঙানো হয়, তাহলে এতটুকু ধুয়ে ফেললে যথেষ্ট হবে যাতে পরিষ্কার পানি বের হয়। রঙ তুলে ফেলার দরকার নেই। [তাফসিরে বায়যাবি, দ্বিতীয় খণ্ড, পৃষ্ঠা-৭৯]

ফাতাওয়ার কিতাবে উল্লেখ রয়েছে,    

لمافی البحر الرائق(۴۱۰/۱): والمراد بالأثر اللون والریح فان شق إزالتھما سقطت وتفسیر المشقۃ أن یحتاج فی إزالتہ إلی استعمال غیر الماء کالصابون والأشنان أو الماء المغلی بالنار کذا فی السراج۔
সারমর্মঃ
চিন্হ দ্বারা উদ্দেশ্য হলো রং,ঘ্রাণ। 
যদি সেটি দূর করা অনেক কষ্টকর হয়,তাহলে রহিত হয়ে যাবে।
কষ্টকর হয়ে যাওয়ার ব্যাখ্যা হলো,তাহা দূর করতে পানি ব্যাতিত অন্য কিছুর প্রয়োজন হয়,যেমন সাবান,আগুনে দেওয়া ফুটানো পানি ইত্যাদি।       
 
وفی الدر المختار(۳۱۲/۱): (ویطھر منی) أی محلہ (یابس بفرک) ولا یضر بقاء اثرہ… (والا) یکن یابسا … (فیغسل)
وفی الشامیۃ تحتہ: (قولہ ولا یضربقاء اثرہ) أی کبقائہ بعد الغسل بحر۔
সারমর্মঃ
শুকনো বীর্য খুটিয়ে তোলার দ্বারা পাক হয়ে যাবে,তার চিন্হ অবশিষ্ট থাকা সমস্যাকর নয়।  
 
ফাতাওয়ায়ে আলমগীরীতে আছেঃ-
"و إن کانت شیئًا لایزول أثرہ إلا بمشقة بأن یحتاج في أزالته إلی شيء آخر سوی الماء کالصابون لایکلف بإزالته ... و یشترط العصر في کل مرة ویبالغ في المرة الثالثة."
(الباب السابع في النجاسة وأحکامها، ج:1، ص:96، ط:مكتبه رشيديه)
সারমর্মঃ
যদি বস্তুটি এমন হয়,যে তার চিন্হ কষ্ট ব্যাতিত যাবেনা।
 তাহা দূর করতে পানি ব্যাতিত অন্য কিছুর প্রয়োজন হয়,যেমন সাবান,তাহলে চিন্হ দূর করার কষ্ট করতে হবেনা। 

(০২)
প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই!
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে আপনার গোসল শুদ্ধ হয়ে গিয়েছে।
কোনো সমস্যা নেই।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
নাপাক তেলের প্রশ্নটায়,তিনবার ধৌত কি আবশ্যিক? যদি একবার করি সমস্যা হবে?

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...