বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
(১)
https://www.ifatwa.info/9207নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
মসজিদে দ্বিতীয় জামাত।
ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻗﺎﻝ : " ﺇﻥ ﺍﻟﻠﻪ ﻳﺤﺐ ﺃﻥ ﺗﻜﻮﻥ ﺻﻼﺓ ﺍﻟﻤﺆﻣﻨﻴﻦ ﻭﺍﺣﺪﺓ "
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেন,মু'মিনদের জামাত যেন একটাই হয়।(সহীহ ইবনে খুযাইমাহ- সুনানু আবি দাউদ-)
ﺃﻥ ﺍﻟﻨﺒﻲ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﺭﺟﻊ ﻣﻦ ﻧﺎﺣﻴﺔ ﻣﻦ ﻧﻮﺍﺣﻲ ﺍﻟﻤﺪﻳﻨﺔ ﻭﻣﺠﻤﻮﻋﺔ ﻣﻦ ﺃﺻﺤﺎﺑﻪ، ﻭﻭﺟﺪ ﺍﻟﺠﻤﺎﻋﺔ ﻗﺪ ﺍﻧﺘﻬﺖ ﻓﻘﻔﻠﻮﺍ ﺇﻟﻰ ﺑﻴﻮﺗﻬﻢ ﻭﺻﻠﻮﺍ ﻓﻲ ﺑﻴﻮﺗﻬﻢ ﻓﺮﺍﺩﻯ، ﻭﻣﺎ ﺻﻠﻮﺍ ﺟﻤﺎﻋﺔ ﺛﺎﻧﻴﺔ
রাসূলুল্লাহ সাঃ একবার মদিনার দূর থেকে আসতেছিলের,সাথে সাহাবাবর্গ ও ছিলেন।মদিনায় এসে দেখলেন যে,জামাত সম্পন্ন হয়ে গিয়েছে।তখন তারা যার যার ঘরে গিয়ে নামায আদায় করলেন।কিন্তু দ্বিতীয়বার জামাতে নামায পড়েননি।(মু'জামে তাবারানি)
এজন্য উলামায়ে কেরাম বলেন,যে মসজিদের ইমাম মু'আজ্জিন নির্ধারিত আছেন,সেই মসজিদে দ্বিতীয় জামাত মাকরুহে তাহরীমি। তবে বিষয়টা মতবেদ র্পূর্ণ। উলামাদের মতপার্থক্য এতে বিদ্যমান রয়েছে।
আর যদি কোনো মসজিদ এমন থাকে,যেখানের ইমাম মু'আজ্জিন নির্ধারিত থাকেন, তাহলে সেই মসজিদে জামাতের জন্য আহবান করা ব্যতীত তথা তিন/চার জন মিলে দ্বিতীয় জামাত পড়া যাবে। রুখসত রয়েছে।
সুপ্রিয় পাঠকবর্গ!
জামাত হয়ে যাওয়ার পর মুনফারিদের জন্য মসজিদে আযান ইকামত দ্বারা নামায পড়া মাকরুহ।জামাতের পূর্বে উচ্ছস্বরে মাকরুহ।(আহসানুল ফাতাওয়া২/২৭৯)
মসজিদে একাকি কা'যা নামাযের জন্য আযান ইকামত প্রচলিত নয়।(ফাতাওয়ায়ে দারুল উলূম৪/২৪৭)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
দ্বিতীয় জামাতের জন্য ইকামত দেওয়া যাবে।কোনো গোনাহ হবে না।
(২)
https://www.ifatwa.info/9571 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
নামাযে নারী-পুরুষের মুহাযাত তথা সামনাসামনি হয়ে যাওয়া নামায ভঙ্গের কারণ।তবে মুহাযাতের মাধ্যমে নামায ফাসিদ হতে হলে সাতটি শর্ত রয়েছে।
এরমধ্যে পাঁচ নাম্বার শর্ত হলো,
الخامس كونهما في مكان واحد بلا حائل؛ لأنه يرفع المحاذاة وأدناه قدر مؤخرة الرحل؛ لأن أدنى الأحوال القعود فقدر أدناه به وغلظه كغلظ الإصبع والفرجة تقوم مقام الحائل ولهذا لم يفردها بالذكر وأدناه قدر ما يقوم فيه الرجل، كذا قال الزيلعي.
নারী-পুরুষ উভয় একই স্থানে পাাশাপাশি প্রতিবন্ধকতা বিহীন হওয়া।প্রতিবন্ধকতা মুহাযাতকে বাধা প্রদাণ করে।সর্বনিম্ন প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টিকারী হলো,এক আঙ্গুল চওড়া এবং দেড়হাত উচু কিছু একটা মধ্যখানে থাকা।একজন পুরুষ দাড়াতে যতটুকু জায়গার প্রয়োজন মধ্যখানে ততটুকু ফাঁকা জায়গাই মুহাযাতের জন্য প্রতিবন্ধকতার শামিল।(দুরারুল হুক্কাম শরহু গুরারিল আহক্বাম-১/৯১)
সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
আপনি এবং আপনার মা যদি একসাথে এক কাতারে দাড়ান।এবং মধ্যখানে একজন পরুষ দাড়ানোর মত স্থান থাকে,তাহলে আপনাদের নামায হয়ে যাবে।ফাসিদ হবে না।
(৩)
মুখ দ্বারা নিয়ত করা জুরুরী নয়, যেহেতু আপনার অন্তরে আপনার মায়ের কথা বিদ্যমান ছিল, তাই আপনার মায়ের নামায শুদ্ধ হয়েছে।
(৪)
ইমাম ব্যতিত একজন মুসল্লি হলে, উক্ত মুসল্লি ইমাম সাহেবের ডানে অর্ধহাত পিছনে দাড়াবেন।পরবর্তীতে আরেকজন মুস্লল্লি নামাযে যোগ হলে ইমাম সাহেব সামনে কাতারে যেতে পারবেন বা উভয় মুক্তাদি পিছনের কাতারে সরে আসবেন কিংবা সবাই আপন আপন জায়গা থাকবেন।এসব সূরতই জায়েয।তবে উত্তম হল, উভয় মুসল্লি পিছনের কাতারে সরে আসবেন।
(৫)
মুসল্লি ইমাম সাহেব থেকে অর্ধহাত পিছনে দাড়াবেন।ইমামের সোজাসুজি দাড়ানো মাকরুহ।আর ইমামের অগ্রবর্তী হলে তখন নামাযই ফাসিদ হয়ে যাবে।
(৬)
৪নং প্রশ্নোত্তর লক্ষণীয়।
(৭)
আপনার উপর ওয়াজিব হল, পূর্ণ তাশাহুদ পড়া।যেহেতু আপনি পূর্ণ তাশাহুদ পড়েননি, তাই আপনার নামায হয়নি।আপনি এ নামাযকে দোহড়িয়ে নিবেন।জাযাকাল্লাহ।