আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
87 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (28 points)
আসসালামু আলাইকুম শাইখ।

১. কয়দিন পর আমার ইউনিভার্সিটি খুলে যাবে। আমি ইউনিভার্সিটি তে থাকাকালীন নামাজের সময় হলে অজু করবো কিভাবে? মনে করুন আমি অজু করে গেলাম, কিন্তু অজু নস্ট হয়ে গেলো, এক্ষেত্রে কিভাবে অজু করবো? আমাদের গার্লস কমন রুমে নামাজের জায়গা আছে কিন্তু অজুর কোনো জায়গা দেখিনি। বাথরুম এর করিডোর এ একটা বেসিন আছে, এখন আমি হিজাব নিকাব পরে কিভাবে অজু করতে পারি? পা ধোয়াটা বেশ ঝামেলার, যেহেতু মোজা জুতা পরে থাকি। আর বাথরুম এর করিডোর এ বেসিন হওয়ায় ওই জায়গায় পা এর মোজা খুলে পা ধোয়া বেশ ঝামেলার, যেহেতু জায়গাটা বেশ পরিষ্কার নয়। আমি কি মোজার উপর মাসেহ করতে পারবো? মেয়েদের পর্দার জন্য যে ধরনের পাতলা মতন কালো মুজা পাওয়া যায় ওইগুলা পরি আমি। কিভাবে অজু টা করতে পারি জানাবেন শাইখ।

২. নামাজের ২য় বৈঠকে তাশাহুদ পড়েছি নাকি পড়িনি সন্দেহ হলে কি সাহু সিজদা দিতে হবে?
৩. আমার আপন বড় মামার সাথে জমি নিয়ে ঝামেলা সব ভাইবোন দের সাথেই বলা যায়। সমস্যা টা হলো আমার আম্মুরা,  অন্য ভাইরা যে জমি পাবে সেটা দিতে চায়না এরকম কিছু। আমি খুব ভালো জানিনা তবে এই নিয়েই সমস্যা।  এছাড়া আমার ছোট মামা বেকার থাকায় আমার নানা বাড়ি মানে যেখানে বর্তমানে বড় মামারা থাকে সেখানে গেলে আমার ছোট মামাকেও বেশ অত্যাচার করেছিল বলে শুনেছি, তাকে খেতে না দেয়া সময়মতন, ছোট মামার জামাকাপড় ফেলে দেয়া ইত্যাদি।  আজকে শুনলাম আমার মেজো খালা বড় মামাকে ফোন দেয়ায় আমার খালাকে বড় মামা খুব গালাগালি করছে, আর বলছে তার নাকি কোনো বোন নাই! ★ এখন এই বড় মামার কান্ডকীর্তিতে এইসব নিয়ে আমাদের বাসায় নানান সময়ই কথা উঠে, মুলত সে যে জুলুম করেছে সেটা নিয়ে কথা উঠে। তো আমার আম্মু মাঝে মধ্যে টেনে উঠায়। এখন আমার বড় মামার সম্পর্কে আলোচনা এটা কি গীবতের আওয়াভুক্ত হবে? ★ আর সে যে নিজেই বলছে যে আমার কোনো বোন নাই এটা ওটা, সে যদি সম্পর্ক না রাখতে চায় তাহলে কি আমাদের ও গুনাহ হবে? আমার যেহেতু সে মামা, আমার সাথে এসব নিয়ে বা অন্য কিছু নিয়েই তেমন কথা হয়না, কিন্তু আমি অন্তর থেকে তার সাথে আত্মীয়তার সম্পর্ক ছিন্ন করিনি, তার জুলুম এর জন্য অবশ্যই আল্লাহই যথেষ্ট,  এক্ষেত্রে আমার কি গুনাহ হবে?

1 Answer

0 votes
by (678,880 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم  


(০১)
পবিত্রতা অর্জনের মাধ্যম হচ্ছে পানি। আল্লাহ তাআলা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি প্রাকৃতিক নিয়মে সরবরাহ  করে রেখেছেন। তারপরও অবস্থার আলোকে যদি পানি না পাওয়া যায় বা কেউ অসুস্থ হয়ে পানি ব্যবহারে একেবারে অপারগ হয়, সে সময়ে গোসলের পরিবর্তে তায়াম্মুম করবে। 

এ মর্মে আল্লাহ তাআলা বলেন,
وَإِن كُنتُم مَّرْضَى أَوْ عَلَى سَفَرٍ أَوْ جَاءَ أَحَدٌ مِّنكُم مِّنَ الْغَائِطِ أَوْ لَامَسْتُمُ النِّسَاءَ فَلَمْ تَجِدُوا مَاءً فَتَيَمَّمُوا صَعِيدًا طَيِّبًا فَامْسَحُوا بِوُجُوهِكُمْ وَأَيْدِيكُم مِّنْهُ مَا يُرِيدُ اللَّـهُ لِيَجْعَلَ عَلَيْكُم مِّنْ حَرَجٍ وَلَـكِن يُرِيدُ لِيُطَهِّرَكُمْ وَلِيُتِمَّ نِعْمَتَهُ عَلَيْكُمْ لَعَلَّكُمْ تَشْكُرُونَ

অর্থ : যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা সফরে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সঙ্গে সহবাস করো, অতঃপর পানি না পাও, তাহলে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও। আল্লাহ তোমাদের অসুবিধায় ফেলতে চান না; কিন্তু তোমাদের পবিত্র রাখতে চান এবং তোমাদের প্রতি স্বীয় নেয়ামত পূর্ণ করতে চান, যাতে তোমরা কৃতজ্ঞাতা প্রকাশ করো।(সুরা মায়েদা : ৬)

আরো জানুনঃ

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি বোন,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে তায়াম্মুম বা উক্ত মোজার উপর মাসাহ করতে পারবেননা।
আপনাকে পা ধৌত করতেই হবে।  

এক্ষেত্রে আপনার জন্য পা মোজা খোলা বেশ কষ্টকর হলে আপনি মোজার উপরেই পানি ঢেলে দিতে পারেন।
এক্ষেত্রে টাখনু থেকে পায়ের নিচ ও পায়ের পাতা পর্যন্ত সমস্ত অংশ যেনো ভিজে যায়।
,
(০২)
হ্যাঁ সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবে।
,
(০৩)
★ যদি আলোচনা করার দ্বারা কোনো সমাধান হতে পারে বা যাকে এটি শোনানো হলো,সে যদি এর সমাধান করতে পারে বা সমাধানের চেষ্টা করতে পারে,তাহলে এটি গীবত হবেনা।
নতুবা গীবত হবে।

আরো জানুনঃ
,
★না, এতে আপনাদের গুনাহ হবেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...