আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
180 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (27 points)
এক বোনের পক্ষ থেকে প্রশ্ন টা করছি। সেই বোনের অমতেই তার বাবা মা দ্বীন না দেখে বিয়ে ঠিক করেছিলেন,বোন শেষ পর্যন্ত বাবা মা র দিকে তাকিয়ে বিয়েটা করে কিন্তু সে তার স্বামীকে পছন্দ করে মত দেয়নি,বরং পাত্র তার পছন্দ হয় নি এবং পাত্র দীনদার নয়,এমনকি পাত্রের পরিবারে দ্বীন বলতে শুধু পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ রোজা করে,তাদের ঈমান, ইবাদত, মুয়ামালাত, মুয়াশারাত, আখলাক কোনোটাতেই না সঠিক ইলম আছে না আমল।তারা বিয়ের পর থেকেই বোন টি কে ঘরের সমস্ত কাজ করানো শুরু করেছে সাথে প্রতিদিন তাকে কথা শুনিয়ে মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হয়,এমনভাবে কাজ দেয়া হয় যাতে সে অন্য কিছু করার সুযোগই না পায়,এমনকি কাযা রোজা রাখতে গিয়েও সে রীতিমত বাধার সম্মুখীন হয়েছে,স্বামী অনুমতি দিতে চায়না বা অন্যান্যরা ও দিতে চায়না এটার জন্য যে রোজা রাখলে কাজ করবে কে!?।তার স্বামী থেকেও সে এসব ব্যাপারে সহযোগীতা পায়না সবসময়।বরং স্বামী তার মা এবং বোনদের কথায় প্রভাবিত হয়ে যায়,স্বামী স্ত্রীর আলাদা ঘরের ব্যাবস্থা তো করবেই না বরং স্ত্রী র প্রয়োজনীয় আলমারি (কাপড় রাখার জন্য )কিনতে বোন দের অনুমতি লাগবে,এমনকি স্ত্রী সাথে কোথাও গেলেও কথা শুনতে হয় বা তাদের অনুমতি লাগে অথচ ছেলে বাড়ির বড় ছেলে ।টাকা পয়সার অভাব নেই তবুও ঘরের সমস্ত কাজ সবার কাজ বোন টা কে দিয়ে করাতে চায়।বোন টি দ্বীন পালন কঠিন হয়ে যায় মাঝে মাঝে,কিন্তু সে নিজের পরিবারের ও দ্বীনের বুঝ না থাকায় সেরকম সহযোগিতা পায়না।এমন অবস্থায় যার এমন পরিবারে বিয়ে হয়েছে নিজের অমতে সে কি সন্তানের দ্বীনি তরবিয়তের কথা চিন্তা করে দ্বীনি পরিবেশ না হওয়া পর্যন্ত অস্থায়ী জন্ম নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে পারবে যদিও তার স্বামীর এই ব্যাপারে মত না থাকে?এটা কি জায়েজ হবে?এরকম একটা পরিবারের ক্ষেত্রে যেখানে দ্বীন পালন কঠিন হয়ে যায় এবং যেখানে মেয়ের বাবা মেয়ের অমতে অপছন্দে জোর করে বিয়ে দেয় সেই বিয়ে কি ওই মেয়ে পরবর্তীতে ভেঙে ফেলার মানে কোনো সুযোগ আছে?থাকলে এর জায়েজ সুরত কি?বোন টা র এখন করণীয় কি?

1 Answer

0 votes
by (713,480 points)
edited by

ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
https://www.ifatwa.info/1907 নং ফাতাওয়ায় বলেছি যে,
হ্যা উযর এবং অপারগতা  সকল বিষয়েই শীতিলযোগ্য।এখানেও বিশেষ বিশেষ প্রয়োজন অনুসারে মাকরুহ থাকবে না।যার বিস্তারিত বিবরণ রাদ্দুল মিহতারে রয়েছে।

যেমন, মহিলা এত দুর্বল যে,গর্ভধারণের সক্ষমতা নেই,বা দূরে কোথাও সফরে আছেন,অথবা এমন কোনো স্থানে রয়েছেন যেখানে স্থায়ীভাবে বসবাসের সম্ভাবনা নেই, শংকাযক্ত স্থান।অথবা স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপোড়ন চলছে।

এই সকল উযরের খুলাসাহ হল, ব্যক্তিগত জীবনে কারো এমন কোনো সমস্যা সামনে আসলে উযর পর্যন্ত তার জন্য মাকরুহ ব্যতীত আ'যল জায়েয হবে।
উযর দূর হওয়ার পর আবার তার জন্য সেটা মাকরুহ হবে।

তবে ব্যাপকহারে সরকারী ব্যবস্থাপনায় এটার প্রচার প্রসার কখনো উচিৎ হবে না।বরং শরীয়ত এটাকে অপছন্দ করে।

তবে ব্যক্তিগতভাবে যদি কেউ এমন কোনো কারণে আ'যল করতে চায় যা ইসলামী উসূলের খেলাফ।তাহলে এমতাবস্থায় আ'যল জায়েয হবে না।
যেমন কেউ এ কারণে করল যে যদি মেয়ে সন্তান হয়ে যায় তাহলে লজ্জা অনুভূত হবে অথবা সন্তান হলে তার খরছ বেড়ে যাবে তাহলে এমতাবস্থায় তার জন্য আ'যল জায়েয হবে না।
আল্লাহ তা'আলা রিযিকের অভাবে সন্তান হত্যা সম্পর্কে বলেন,

وَلاَ تَقْتُلُواْ أَوْلادَكُمْ خَشْيَةَ إِمْلاقٍ نَّحْنُ نَرْزُقُهُمْ وَإِيَّاكُم إنَّ قَتْلَهُمْ كَانَ خِطْءًا كَبِيرًا
দারিদ্রের ভয়ে তোমাদের সন্তানদেরকে হত্যা করো না। তাদেরকে এবং তোমাদেরকে আমিই জীবনোপকরণ দিয়ে থাকি। নিশ্চয় তাদেরকে হত্যা করা মারাত্নক অপরাধ।(শেষ)

সুপ্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন!
উযরের কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণ জায়েয।তবে আপনার বর্ণিত উযরটি গ্রহণযোগ্য নয়।এই উযরের কারণে জন্মনিয়ন্ত্রণ জায়েয হবে না।বরং আপনি সন্তান নিবেন।এবং যথাসাধ্য ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত করার চেষ্টা করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...