বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ
আল্লাহ তায়ালা তওবা কবুলকারী ও ক্ষমাশীল৷ আল্লাহ তায়ালা বলেন-
إِلَّا الَّذِينَ تَابُوا وَأَصْلَحُوا وَبَيَّنُوا فَأُولَـٰئِكَ أَتُوبُ عَلَيْهِمْ ۚ وَأَنَا التَّوَّابُ الرَّحِيمُ
তবে যারা তওবা করে এবং বর্ণিত তথ্যাদির সংশোধন করে মানুষের কাছে তা বর্ণনা করে দেয়, সে সমস্ত লোকের তওবা আমি কবুল করি এবং আমি তওবা কবুলকারী পরম দয়ালু৷ সূরা বাকারা, আয়াত ১৬০
অপর এক আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন যে, তিনি শিরকের গুনাহ ক্ষমা করে দেন৷ ইরশাদ করেন-
إِنَّ اللَّهَ لَا يَغْفِرُ أَنْ يُشْرَكَ بِهِ وَيَغْفِرُ مَا دُونَ ذَلِكَ لِمَنْ يَشَاءُ
নিশ্চয় আল্লাহ তায়ালা শিরকের অপরাধ ক্ষমা করেন না৷ এছাড়া যত অপরাধ আছে আল্লাহ তায়ালা যাকে ইচ্ছা তাকে ক্ষমা করে দেন৷ সূরা নিসা, আয়াত ৪৮
হাদীস শরীফে এসেছে-
[عن عبدالله بن عباس:] التّائِبُ مِنَ الذَّنْبِ كمَن لا ذَنْبَ له. السنن الكبرى للبيهقي ١٠/١٥٤
হযরত ইবনে আব্বাস রা, থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেন- রাসূল সা, বলেছেন যে, গুনাহ থেকে তওবাকারী কেমন যেনো তার কোনো অপরাধ নেই৷
★ সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
১, অনেক সাহাবী যারা কাফের থাকা অবস্থায় অনেক অন্যায় করেছিলেন৷ এমনকি অন্য সাহাবীকে শহীদও করেছিলেন৷ কিন্তু যখন তারা মুসলমান হয়েছেন এবং তওবা করেছেন তখন আল্লাহ তায়ালা তাদেরকে ক্ষমা করে দিয়েছেন এবং অন্য মুসলমানরাও তাদের পূর্বের অপরাধের কারণে ঘৃণার দৃষ্টিতে দেখেননি৷
২, তাকে বিয়ে করা ও না করা এটা আপনার সিদ্ধান্ত৷ তাই আপনি ইস্তেখারা করুন ও পিতা মাতার সাথে পরামর্শ করুন৷
৩, আমি বলবো যে, তার থেকে যদি সব দিক থেকে ভালো মেয়ে পান তাহলে আপনি তাকেই বিয়ে করুন৷