আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
249 views
in সালাত(Prayer) by (8 points)
reopened by
(১)এশার সালাতের সময় (জামাতে) প্রথম রাকাতে প্রথম সিজদার সময় ওজু চলে যাওয়ায় ওজু করে আসার পর ২য় রাকাতে রুকু অবস্থায় ইমামকে পাই, কিন্তু রুকুর তাসবিহ একবারও পড়তে পারি নি। এমতাবস্থায় মাথায় আসে আমার দুই রাকাত সালাত ইমাম সাহেবের সালাম ফিরানোর পর আদায় করতে হবে। কিন্তু তখনই আবার মনে পড়ে আমি তো অলরেডি নামাজে ছিলাম, তাই আমার উচিত ছিল আগের রাকাত গুলো কিরাত ছাড়া পড়ে ইমাম সাহেবের সাথে শরিক হওয়া (আমার যতটুকু ইলম আছে এ ব্যাপারে)। তাই প্রথম সিজদার পর আবার বায়ুর চাপ আসলে তা আটকানোর কোনো চেষ্টা করি না। ওযু ভেঙ্গে যায়। আবার ওযু করে এসে, তাকবিরে তাহরিমা থেকে ১ম রাকাত থেকে সালাত শুরু করি, কোনো কিরাত পড়ি না, রুকু ও সিজদায় তাসবীহ পড়ি, ১ম বৈঠকে তাশাহহুদ পড়ি। এভাবে শেষাবধি ইমাম সাহেবের সাথে শেষ বৈঠকে শামিল হই, এবং ইমাম সাহেবের সাথে সালাম ফিরিয়ে সালাত শেষ করি। আমার এ সালাত কি আদায় হয়েছে?
(২) একই ওয়াক্তে বিতর সালাতে কিরাতে 'আইন' এর স্থলে 'গইন' এর মাখরাজে কিরাত করে ফেলি, এবং পরে জানতে পারি এতে সালাত হয় নি। এমতাবস্থায় আমাকে বিতর সালাত আবার আদায় করতে হবে, আমি যতটুকু বুঝি। কিন্তু সমস্যা হলো আমার জানা আছে সালাত আদায়ের সময় সিরিয়াল ঠিক রাখতে হয়। এখন আমার যদি এশার সালাত আদায় না হয়ে থাকে, তাহলে তো আমার উচিত হবে আগে এশার ফরজ সালাত আদায় করে নিয়ে তারপির বিতর সালাত আদায় করা। কিন্তু আমি তো নিশ্চিত নই আমার এশার সালাত আদায় হয়েছে কিনা। তাই বিতর সালাত পুনরায় আদায় করতে দ্বিধা হচ্ছে। এদিকে এখন রাত এগারোটা পার হয়ে গেছে। এখন এশার ফরজ ও বিতর আবার করা আমার জন্য কষ্টকর, তার উপর আমার জানা মতে এক সালাত দুই বার আদায়ের বিধান নেই (সাধারণভাবে)।
এখন আমি কি করব? কাল ফজরের পর গিয়ে বা তারপরে গিয়ে কখনো যদি এ বিষয়ে সঠিকভাবে জানতে পারি সেসময় আমি কাজা আদায় করে নিতে পারব কি না?...
by (6 points)
শায়েখ,আমার কমেন্ট  টা আমাকে একটু বুঝাইয়া দেন।https://ifatwa.info/28058/

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
শরীয়তের বিধান  হলো কাহারো নামাজের ভিতর অযু ভেঙ্গে  গেলে সে তৎক্ষণাৎ অযুর জন্য বের হয়ে যাবে। 
অযু করে এসে যেখানে নামাজ রেখে গিয়েছিলো সেখান থেকে আবার আদায় করবে।

তবে এক্ষেত্রে পথিমধ্যে বা অযু করা অবস্থায় কারো সাথে বা এমনিতেই কথা বলা যাবেনা।
যদি কথা বলে,তাহলে তাকে আবার পুনরায় নতুন করে নামাজ আদায় করতে হবে।
,
হাদীস শরীফে এসেছেঃ   

حَدَّثَنَا مُحَمَّدُ بْنُ يَحْيَى، حَدَّثَنَا الْهَيْثَمُ بْنُ خَارِجَةَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ بْنُ عَيَّاشٍ، عَنِ ابْنِ جُرَيْجٍ، عَنِ ابْنِ أَبِي مُلَيْكَةَ، عَنْ عَائِشَةَ، قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللَّهِ ـ صلى الله عليه وسلم ـ " مَنْ أَصَابَهُ قَىْءٌ أَوْ رُعَافٌ أَوْ قَلَسٌ أَوْ مَذْىٌ فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى صَلاَتِهِ وَهُوَ فِي ذَلِكَ لاَ يَتَكَلَّمُ "

আয়িশাহ্ (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ নামাজ রত অবস্থায় কারো বমি হলে, নাক দিয়ে রক্ত বের হলে, খাদ্য বা পানীয় পেট থেকে মুখে চলে এলে অথবা বীর্যরস নির্গত হলে, সে যেন বাইরে এসে অযু করে, অতঃপর পূর্বোক্ত সালাতের অবশিষ্টাংশ পূর্ণ করে, উক্ত অবস্থায় যদি সে কথা না বলে থাকে।
(সুনানে ইবনে মাজাহ ১২২১.বুলুগুল মারাম ৭৫।)

عَنْ عَائِشَةَ ؛ أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ - صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ - قَالَ : " إِذَا قَاءَ أَحَدُكُمْ فِي صَلَاتِهِ أَوْ قَلَسَ ، فَلْيَنْصَرِفْ فَلْيَتَوَضَّأْ ، ثُمَّ لْيَبْنِ عَلَى مَا مَضَى مِنْ صَلَاتِهِ ، مَا لَمْ يَتَكَلَّمْ " ، قَالَ ابْنُ جُرَيْجٍ : " فَإِنْ تَكَلَّمَ اسْتَأْنَفَ

আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তোমাদের কেই নামাযরত অবস্থায় বমি করলে অথবা (পেট থেকে) খাদ্য বা পানীয় তার মুখে এসে গেলে সে যেন বের হয়ে গিয়ে উযু করে, তারপর অবশিষ্ট নামায পড়ে, যদি সে কথাবার্তা না বলে থাকে। ইবনে জুরাইজ (রহঃ) বলেন, সে যদি কথা বলে থাকে তাহলে পুনরায় নতুন করে নামায পড়বে।
(দারা কুতনি ৫৪১।)

তবে সর্ববস্থায় নতুন করে উক্ত নামাজ আদায় করাই উত্তম। 
আরো জানুনঃ 

★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই, 
প্রশ্নে উল্লেখিত নামাজে সেজদায়ে সাহু ওয়াজিব হবে।
নতুবা ওয়াক্তের ভিতরে পুনরায় উক্ত নামাজ আদায় করে নিতে হবে।
এটি ওয়াজিব।
,
(০২)
আপনি দুটি নামাজই পুনরায় আদায় করুন।  


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

0 votes
1 answer 199 views
0 votes
1 answer 156 views
...