আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
102 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (12 points)
শাইখ

১| নবী জির একটা হাদীস আছে সেটা হলো
এমন একটা যুগ আসবে যখন প্রত্যেক মানুষ সুদ খাবে,কেউ যদি সুদ না খায় বলে তবে সুদের ছিটা তার উপর লাগবে,
এখানে সুদের ছিটা মানে কি,আর এটা কিভাবে লাগবে

আমি আরো জানতে চাইছি,
উল্লিখিত যুগটা কি  বর্তমান সময়কে নির্দেশ করছে?
আমার তো সন্দেহ হয় যে এটাই সে যুগ,কারণ এখন মানুষ টাকা ডলার ব্যবহার করছে আর ইসলামে টাকা ছিলনা ছিল দিনার দিরহাম,আর সুদি অর্থনীতিতো বিশ্বে ঘুরপাক খাচ্ছে।জনগন ও কেমন জানি সুদের সাথে যুক্ত।জারণ সরকার জনগনের tax এর টাকা সুদি কাজে লাগায়,এতে কি জনগনের উওর সুদ দেওয়ার দায় বদলাবে?একটু বলুন।

আরও বর্তমান এ যামানায় তো মারাত্মক ফিতনা পাসাদে জমে গিয়েছে।

এছাড়া ও আরো অন্যান্য দিক মিলে কেমন যেন সন্দেহ হয়ে
আমি আপনাদের বিস্তারিত মতামত জানতে চাইছি।

 আর যদি উল্লিখিত যুগটা এখন না হয়,তবে যুগটা আসতে  আর কি কি পরিবরতন হওয়া লাগবে

(এছাড়া জনগন ব্যাংকের যে fee দেয় সেটা তো ব্যাংক সুদি কাজে লাগাচ্ছে,
আর এ-র দায় ভার কি জনগণের নয়?যেহেতু জনগন দিয়েছে বলে ব্যাংক সুদি কাজে লাগিয়েছে,আর জনগন সুদি কাজে পরোক্ষভাবে সহায়তা করলো।)
আমি এ-ই ( )  বিষয়ে আপনাদের মতামত জানতে চাইছি।
এতে কি জনগণের উপর দায়ভার পরবে নাহ?

২| আমি  তো এ-র জন্য কোন ইনকামই করতে পারছিনা,আমি যদি ডলার ইনকাম করে ব্যাংকে হয়ে হাতে আনি,আর bank কে দেয়া fee যদি সুদি কাজে লাগায় তাহলে তো দোষ আমার হয়ে যাবে।
আসলে আমার টেনশন হচ্ছে এ-ই ব্যাপারটা যে আমি তো কোন না কোন ভাবে যুক্ত, আমি, fee দিয়েছি বলে সে সুদি কাজে লাগিয়েছে, এতে তো দোষ আমার।
এতে কি আমার গুনাহ হবে না?
আমার সন্দেহ দূরীভূত করুন আল্লাহর সাহায্য বলে।

৩| দালালের জন্য নিদিষ্ট কমিশন না থাকলে তখন তাকে কমিশন দেয়া কি জায়েজ

1 Answer

0 votes
by (63,560 points)
edited by

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ

সুদ হারাম হওয়ার ব্যাপারে মহান আল্লাহ তা'আলা বলেন -

واحل الله البيع و حرم الربوا.

" আল্লাহ ক্রয়-বিক্রয়কে হালাল ও সুদকে হারাম করেছেন৷" (সূরা বাকারা, আয়াত:২৭৫)

 

সুদ কতখানি জঘন্য তা হাদীস শরীফে এসেছে-

عن أبي هريرة، قال: قال رسول الله صلى الله عليه وسلم : "الربا سبعون حوبا،أيسرها أن ينكح الرجل أمه."

حكم الحديث: صحيح

"হযরত আবু হুরায়রা রা. থেকে বর্ণিত৷ তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন- "সুদের ৭০ টি স্তর রয়েছে৷ সবচেয়ে নিম্নটি হল নিজ মায়ের সাথে ব্যভিচার করা৷" (ইবনে মাজাহ: অধ্যায়: ব্যবসা-সুদ:২২৭৪)

 

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!

 

১. ক. সরকার ট্যাক্সের টাকা সুদী কারবারে লাগালে জনগণের গুনাহ হবে না। বরং সরকারের গুনাহ হবে।

খ. ব্যাংকে বৈধ ফি দিলে জনগণের কোনো গুনাহ হবে না। বরং ব্যাংকের সাথে সুদী কারবারের সাথে জড়িত হলে গুনাহ হবে।

গ. মুহাম্মদ সা. শেষ নবী। তার পরে আর কোনো নবী আসবে না। তাই তিনি দুনিয়ায় এসে চলে যাওয়া মানে এই সময়টা কিয়ামতের একেবারে নিকটবর্তী। তাই এটা মারাত্মক ফিৎনা ফাসাদের জামানা।

 

. . এক দেশের মুদ্রা অন্য দেশের মুদ্রার বিনিময়ে কম-বেশী করে বিক্রয় করা জায়েজ আছে তবে তা নগদে (ব্যাংক খুব দ্রুত কার্যক্রম সম্পন্ন করতে যতটুকু সময় লাগে এটা ব্যতীত) হতে হবে, বাকীতে নয়। সেই হিসেবে আপনি ডলার ইনকাম করে ব্যাংকের মাধ্যমে নিয়ে আসতে পারবেন। এতে কোনো সমস্যা নেই। উক্ত টাকা লেনদেন করতে ব্যাংক যেই ফি নেই সেটা সার্বিক চার্জ। এটা দেওয়া ও নেওয়া জায়েজ আছে।

. টাকার হেফাজতের জন্য  ব্যাংকে সুদবিহীন একাউন্ট খুলে তাতে টাকা রাখাও জায়েজ আছে সুতরাং এখন যদি উক্ত টাকা ব্যাংক কর্তৃপক্ষ সুদেও লাগায় তবুও একাউন্ট হোল্ডার গুনাহগার হবে না। বরং ব্যাংক কর্তৃপক্ষ গুনাহগার হবে


৩. দালালী করে মূলত টাকা দেওয়া ও নেওয়া উভয়টি জায়েজ আছে। যেমন গরু ইত্যাদি বিক্রির সময় দালালী করা। তবে প্রশ্নে বর্ণিত কোন প্রকার দালাল ও কোন প্রকার কমিশন তা বিস্তারিত না বললে উত্তর দেওয়া সম্ভব নয়। 

(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী আব্দুল ওয়াহিদ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)
by (12 points)
Hujur amar uttor Koi/

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...