আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
231 views
in হালাল ও হারাম (Halal & Haram) by (12 points)
শাইখ,
আসসালামু আলাইকুম, ,

আমি অনলাইনে graphic design এরকাজ করে পরিবারের হাল ধরতে চাইছি,তবে বেশ কিছু সমস্যায় পড়েছি যার শরঈ সমাধান চাইছি,

১|আমি graphic design এ যেমন মসজিদ চাঁদ মেঘ ডিজাইন করি,এখন এসব তো আল্লাহর নিদর্শন, সমস্যা হলো যে এসবের ডিজাইন মানুষ ডাউনলোড করে পরবর্তীতে কাগজে ব্যানারের ছাপাই করে ঝুলিয়ে রাখে এবং সময় শেষে তারা এগুলো ডাসবিনে ফেলে দেয়, এতে তো এসবের প্রতি অসম্মান হয়,এতে কি আমার গুনাহ হবে নাহ্?কারণ এসব ডিজাইন আজ আমি বানিয়েছি বিধায় আমার সহযোগীতা ও জড়িত,এখন কি আমার গুনাহ হবে না?আমি স্পষ্ট ও বিস্তারিত উত্তর আশা করছি।

২|আবার এসব মসজিদের ডিজাইন অনেকে সময় শেষে রাস্তা মাঠে বাজারে ফেলে দেয়,ফলে দেখা যায় অনেজ সময় মানুষ এসব জিনিসকে না বুঝে পা দিয়ে লাতি মারে/পা দিয়ে এ-র উপর চলাচল করে।এটাতো দেখতে কুফরীর মতো কারণ তারা তো মসজিদের ডিজাইনখে পা দিয়ে লাতি মারছে,এটা ইসলামে হারাম,আর এ-র মূলে আছে সেই ডিজাইনার যে এসব কাজ করেছে,তাহলে কি সে  ডিজাইনার কাফের হয়ে গেলো?এবং এসবের জন্য কি তার গুনাহ হবে না?এখন তার কি করণীয়,সে কি এ-ই মসজিদের চাঁদের সূর্যের ডিজাইন করতে পারবেনা?

৩|আমি যে ডিজাইন কাজ করি তা এমন যে ১মে আমাকে বাংলাদেশ হতে ডিজাইন গুলো পশ্চিমা দেশে অনলাইনে তার wedsiteএ পাঠানো হয়,তারপর সে হালাল ডিজাইন গুলো যারা পছন্দ করে তারা যদি Download করে তাহলে আমি ডলার পাই,এভাবে যখন ১০০ডলার হয় তখন কোম্পানি ২৫ডলার রেখে বাকি ৭৫ডলার আমার account এ পাঠিয়ে দেন।এভাবে করে টাকা হাতে পেতে ৪/৫
দিন সময় লাগে।
কিন্তু সমস্যা হলো যে নবীর হাদীস নিয়ে তা হলো তিনি বলেছিলেন যে যখন লেনদেন বাইরের দেশের সাথে হবে তখন টাকা কম বেশ হলে অসুবিধা নেই তবে টাকা দেয়া নেয়া সরাসরি হতে হবে,নইলে হবে নাহ।হারাম হবে।

তো এ-ই নিয়ম অনুযায়ী তো আমার ডিজাইন করে টাকা নেয়া হারাম হবে,কারণ আমি যে বাইরের দেশের company কে ডিজাইন দেই,তারা তো আমাকে সাথে সাথে টাকা দেয় না।তারা টাকা দেয় যখন আমার ১০০ডলার পূর্ণ হবে তখন আর এটাতো অনেক সময়ের ব্যাপার।
আমি জানতে চাই আধো কি এভাবে টাকা ইনকাম জায়েজ কিনা?তবে হাদীসের কথা নুযায়ীতো আমার লেনদেন হচ্ছে নাহ্,
আমাকে একটু বিস্তারিত বলুন শাইখ।

৪|তারপর যখন ১০০ডলার পূর্ণ হয় তখন ৭৫ ডলার আমি payoneer দ্বারা মূলত সে দালালি করে,,islami bank এ এনে উঠিয়ে নেই।
এখানে ও সমস্যা,কারণ দালালিকে কিছু টাকা feeদিতে হয়।
কিন্তু সে যদি feeএর টাকা নিয়ে কোন হারাম কাজে লাগালে তো সর্বনাশ!
এখানে কি আমার গুনাহ হবে?

আবার ইসলামে তো দালালির টাকা পরিশোধ জায়েজ,
কিন্তু সমস্যা ২ দিকে একেতো তাকে fee দিলে সে হারাম কাজে লাগাতে পারে যেহেতু তারা মুসলিম নয়,আবার তার কাজের জন্য তাকে মূল্য দেয়া ও ইসলামে বাধ্যবাধক।
এখন এ-ই সমস্যার হতে সমাধান কি?
দেওবন্দ এ-র ফতোয়া কি এ-ই বিষয়ে?
মিশরের আযহার বিশ্ব বিদ্যালয়ের ফতোয়া কি?

fee দেয়াতে কি আমার কোন গুনাহ হবে?

আল্লাহ আপনাদের উত্তম প্রতিদান দিক,আল্লাহ সন্তুষ্ট হোক আপনাদের উপর।আমীন

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-


(১.২)
গ্রাফিক্স ডিজাইনের কাজের মধ্যে যদি ছবি থাকে, তাহলে উক্ত কাজ হারাম বলে প্রমাণিত হবে। আর ছবি না থাকলে তা হারাম হবে না। 

ছবি হারাম। ছবি সম্পর্কে হাদীস শরীফে কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে,যেমনঃ- হযরত ইবনে আব্বাস রাযি থেকে বর্ণিত,
عن ﺍﺑﻦ ﻋﺒﺎﺱ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻬﻤﺎ ﻗﺎﻝ : ﺳﻤﻌﺖ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠﻢ ﻳﻘﻮﻝ :( ﻣﻦ ﺻَﻮَّﺭ ﺻﻮﺭﺓ ﻓﻲ ﺍﻟﺪﻧﻴﺎ ﻛُﻠِّﻒ ﺃﻥ ﻳَﻨْﻔُﺦ ﻓﻴﻬﺎ ﺍﻟﺮُّﻭﺡ ﻳﻮﻡ ﺍﻟﻘﻴﺎﻣﺔ ﻭﻟﻴﺲ ﺑﻨﺎﻓﺦ )
তরজমাঃ- ইবনে আব্বাস রাঃ বলেন, আমি নবী কারীম সাঃ কে বলতে শুনেছি, যে তিনি বলেছেন,যে ব্যক্তি পৃথিবীতে কোন(জানোয়ারের) ছবি আকবে,কিয়ামতের দিন তাকে দায়িত্ব দেয়া হবে,সে যেন উক্ত ছবির ভিতরে রূহ প্রদান করে, অথচ রূহ প্রদান করা তার জন্য কস্মিনকালে ও সম্ভব হবে না(অতঃপর তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করে আযাব প্রদান করা হবে)(সহীহ বুখারী-৫৬১৮)

ﻭَﻗَﺎﻝَ : ﺇﻥْ ﻛُﻨْﺖَ ﻻَ ﺑُﺪَّ ﻓَﺎﻋِﻼً ﻓَﺎﺻْﻨَﻊِ ﺍﻟﺸَّﺠَﺮَ ، ﻭَﻣَﺎ ﻻَ ﻧَﻔْﺲَ ﻟَﻪ 
হযরত ইবনে আব্বাস রাঃ কে এক ব্যক্তি ছবি আকার অনুমতি প্রার্থনা করলে তিনি উত্তরে বললেনঃযদি তোমার ছবি একে উপার্জন করতেই হয় তাহলে তুমি গাছের ছবি আকো বা এমন ছবি আকো যাতে কোনো প্রাণীর ছবি নেই।(সহীহ বুখারী-২২২৫)

আরো জানুনঃ  

★সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত উভয় ছুরতে আপনার ইনকামে শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে কোনো সমস্যা নেই।
যারা সেই মসজদির ডিজাইন পদদলিত,,, করবে,গুনাহ তাদের হবে।
আপনার নয়।
,
(০৩)
প্রশ্নে উল্লেখিত হাদীস খুজে পাইনি।
আপনার হালাল ডিজাইন গুলো তাদের পছন্দ হলে তারা ডাউনলোড করে,আর আপনি তখন টাকা পান। 
এই পদ্ধতি নাজায়েজ নয়।
জায়েজ আছে।
,
(০৪)
এখানে দালালের কমিশন নির্দিষ্ট থাকলে সেই টাকা দেওয়া আপনার জন্য জায়েজ আছে। 
সেই টাকা দিয়ে কোনো গুনাহের কাজ করলে সেই গুনাহ তার হবে।
আপনার নয়।

আরো জানুনঃ 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...