প্রশ্নকারী ভাই,আপনার ধারণা টা ভুল।
মানুষের মনে ভালো,খারাপ ,ভুল সঠিক অনেক কিছুই আসতে পারে।কারণ শয়তান অবশ্যই আমাদেরকে সিরাতুল মুস্তাকিম থেকে পথভ্রষ্ট করতে চায়।কিন্তু মনে যা আসবে তাই সত্য হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনার কোনো কিছু মনে হওয়া বিষয়টার সত্যতা প্রমাণ করে না।
এটা অবশ্যই জেনে রাখা দরকার যে ২+২=৪ এটা যেমন ধ্রুব সত্য, তেমনি সত্য,সঠিক ধর্ম কেবল একটাই হয়।আর সেটা নিঃসন্দেহে ইসলামই সত্য ধর্ম!
আপনি হিন্দু ধর্মের কথা বলছেন।এটা চিন্তা করুন যে, যেই ধর্ম মানুষকে চতুষ্পদ জন্তুর ইবাদত করতে বলে,তার মুত্র পান করতে বলে,যে ধর্ম মানুষকে বৈরাগ্যবাদ শিখায়,যে ধর্ম বিধবা নারীদের পুড়িয়ে মারার কথা বলে,যে ধর্মে স্রষ্টাকে মানুষ নিজরাই তৈরি করে,যে ধর্মে স্রষ্টা মানুষের মুখাপেক্ষী,সে ধর্ম কিভাবে সত্য ধর্ম হতে পরে?
আপনি যদি খ্রিস্টান ধর্মের কথা বলেন,ইয়াহুদী ধর্মিয় দর্শনের কথা বলেন তাহলে চিন্তা করুন,যে ধর্মে দর্শনে স্রষ্টার সন্তান গ্রহণের মত মানবীয় চাহিদার প্রয়োজন হয়, তা কি করে সত্য ধর্ম হয়?আবার খ্রিস্টানরা মনে করে তাদের সকলের পাপের বোঝা একজন রসূল বহন করবেন!!! এ কেমন ধর্ম যে ধর্ম একজনের পাপের ভার অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়?
ইসলামের ব্যাপার টা দেখুন, কতই না স্বচ্ছ এই জীবন ব্যবস্থা!! এখানে স্রষ্টা সব সময়ই সৃষ্টির অমুখাপেক্ষী,স্রষ্টার কোনো অভাব নেই,কোনো কমতি নেই,এখানে স্রষ্টার দিকে হেঁটে চললে স্রষ্টা আমাদের প্রতি দৌড়ে এগিয়ে আসেন,আমাদের সকল সুখ দুঃখের কথা স্রষ্টা শুনতে প্রস্তুত,স্রষ্টার কাছে চাইলে স্রষ্টা খুশি হন। এখানে একজনের পাপের ভার অন্যের উপর চাপানোর কোনো কথা নেই।যার কৃতকর্মের ফল সেই ভোগ করবে।এখানে মানুষকে তার যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।কোনো সৃষ্টির কাছে মুসলিমরা মাথা নত করে না।কোনো মানুষের ইবাদত করে না মুসলিমরা।বরং তা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ! দুনিয়াতে কতই না সম্মান দেওয়া হয় মুসলিমদের। শির উঁচু করে মুসলিমরা বাঁচে।যদিও বর্তমান সময়ের আমাদের ইসলাম থেকে দূরে থাকার কারণে আমরা দুরবস্থার স্বীকার,কিন্তু ইতিহাস দেখুন হাজার বছর ধরে মুসলিমরা পুরো বিশ্ব শাসন করেছে মাথা উচু করে!!
তাহলে চিন্তা করুন কোন ধর্ম সঠিক?একদম আলোর মত পরিস্কার। নিশ্চই হিদায়েত এবং ভ্রষ্টতা স্পষ্ট!!দিনের আলোর মত পরিস্কার!!
সবচেয়ে বড় কথা হলো আল্লাহর কাছে অবশ্যই হিদায়েতের উপর থেকে থাকার দুআ করতে হবে। “ইয়া মুক্বল্লিবাল ক্বুলুব!! সাব্বিত ক্বলবি আলা দিনিক!!”