আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
252 views
in ঈমান ও বিশ্বাস (Faith and Belief) by (1 point)
আমি নিয়মিত আল্লাহর ইবাদত শুরু করি চলতি বছরের জানুয়ারি মাস থেক। হঠাৎ এর ৩/৪ মাস পরে একদিন আমার মনে প্রশ্ন জাগে আমি যে ইসলাম পালন করি এটা সত্য নাও হতে পারে। হিন্দুধর্মও তো সত্য হতে পারে। এভাবে এর উত্তর খুজতে খুজতে আমি আজ পর্যন্ত পাগলের মত করছি। ইবাদতে শান্তি পাই না। সন্দেহ জাগে যে হিন্দুধর্মও তো সত্য হতে পার।
by (40 points)
প্রশ্নকারী ভাই,আপনার ধারণা টা ভুল।
মানুষের মনে ভালো,খারাপ ,ভুল সঠিক অনেক কিছুই আসতে পারে।কারণ শয়তান অবশ্যই আমাদেরকে সিরাতুল মুস্তাকিম থেকে পথভ্রষ্ট করতে চায়।কিন্তু মনে যা আসবে তাই সত্য হবে এমন কোনো কথা নেই। আপনার কোনো কিছু মনে হওয়া বিষয়টার সত্যতা প্রমাণ করে না।

এটা অবশ্যই জেনে রাখা দরকার যে ২+২=৪ এটা যেমন ধ্রুব সত্য, তেমনি সত্য,সঠিক ধর্ম কেবল একটাই হয়।আর সেটা নিঃসন্দেহে ইসলামই সত্য ধর্ম!

আপনি হিন্দু ধর্মের কথা বলছেন।এটা চিন্তা করুন যে, যেই ধর্ম মানুষকে চতুষ্পদ জন্তুর ইবাদত করতে বলে,তার মুত্র পান করতে বলে,যে ধর্ম মানুষকে বৈরাগ্যবাদ শিখায়,যে ধর্ম বিধবা নারীদের পুড়িয়ে মারার কথা বলে,যে ধর্মে স্রষ্টাকে মানুষ নিজরাই তৈরি করে,যে ধর্মে স্রষ্টা মানুষের মুখাপেক্ষী,সে ধর্ম কিভাবে সত্য ধর্ম হতে পরে?

আপনি যদি খ্রিস্টান ধর্মের কথা বলেন,ইয়াহুদী ধর্মিয় দর্শনের কথা বলেন তাহলে চিন্তা করুন,যে ধর্মে দর্শনে স্রষ্টার সন্তান গ্রহণের মত মানবীয় চাহিদার প্রয়োজন হয়, তা কি করে সত্য ধর্ম হয়?আবার খ্রিস্টানরা মনে করে তাদের সকলের পাপের বোঝা একজন রসূল বহন করবেন!!! এ কেমন ধর্ম যে ধর্ম একজনের পাপের ভার অন্যের উপর চাপিয়ে দেয়?

ইসলামের ব্যাপার টা দেখুন, কতই না স্বচ্ছ এই জীবন ব্যবস্থা!! এখানে স্রষ্টা সব সময়ই সৃষ্টির অমুখাপেক্ষী,স্রষ্টার কোনো অভাব নেই,কোনো কমতি নেই,এখানে স্রষ্টার দিকে হেঁটে চললে স্রষ্টা আমাদের প্রতি দৌড়ে এগিয়ে আসেন,আমাদের সকল সুখ দুঃখের কথা স্রষ্টা শুনতে প্রস্তুত,স্রষ্টার কাছে চাইলে স্রষ্টা খুশি হন। এখানে একজনের পাপের ভার অন্যের উপর চাপানোর কোনো কথা নেই।যার কৃতকর্মের ফল সেই ভোগ করবে।এখানে মানুষকে তার যথাযথ মর্যাদা দেওয়া হয়েছে।কোনো সৃষ্টির কাছে মুসলিমরা মাথা নত করে না।কোনো মানুষের ইবাদত করে না মুসলিমরা।বরং তা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ! দুনিয়াতে কতই না সম্মান দেওয়া হয় মুসলিমদের। শির উঁচু করে মুসলিমরা বাঁচে।যদিও বর্তমান সময়ের আমাদের ইসলাম থেকে দূরে থাকার কারণে আমরা দুরবস্থার স্বীকার,কিন্তু ইতিহাস দেখুন হাজার বছর ধরে মুসলিমরা পুরো বিশ্ব শাসন করেছে মাথা উচু করে!!

তাহলে চিন্তা করুন কোন ধর্ম সঠিক?একদম আলোর মত পরিস্কার। নিশ্চই হিদায়েত এবং ভ্রষ্টতা স্পষ্ট!!দিনের আলোর মত পরিস্কার!!


সবচেয়ে বড় কথা হলো আল্লাহর কাছে অবশ্যই হিদায়েতের উপর থেকে থাকার দুআ করতে হবে। “ইয়া মুক্বল্লিবাল ক্বুলুব!! সাব্বিত ক্বলবি আলা দিনিক!!”

1 Answer

0 votes
by (597,330 points)

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।
জবাবঃ-
https://www.ifatwa.info/1379 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋَﻦْ ﺃَﺑِﻲ ﻫُﺮَﻳْﺮَﺓَ ﺭَﺿِﻲَ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻨْﻪُ ﻗَﺎﻝَ : ﻗَﺎﻝَ ﺍﻟﻨَّﺒِﻲُّ ﺻَﻠَّﻰ ﺍﻟﻠَّﻪُ ﻋَﻠَﻴْﻪِ ﻭَﺳَﻠَّﻢ : َ ( ﺇِﻥَّ ﺍﻟﻠَّﻪَ ﺗَﺠَﺎﻭَﺯَ ﻟِﻲ ﻋَﻦْ ﺃُﻣَّﺘِﻲ ﻣَﺎ ﻭَﺳْﻮَﺳَﺖْ ﺑِﻪِ ﺻُﺪُﻭﺭُﻫَﺎ ﻣَﺎ ﻟَﻢْ ﺗَﻌْﻤَﻞْ ﺃَﻭْ ﺗَﻜَﻠَّﻢ
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,নিশ্চয় আল্লাহ তা'আলা আমার খাতিরে আমার উম্মতের অন্তরে চলে আসা ওয়াসওয়াসা(শয়তানি প্ররোচনা) বিষয়ে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ/শাস্তি প্রদাণ করবেন না।যতক্ষণ না সে কথা বা কাজের মাধ্যমে সেটাকে বাস্তব রূপ দিচ্ছে। (সহীহ বোখারী-২৩৯১,সহীহ মুসলিম-১২৭)

হযরত আবু হুরায়রা রাযি থেকে বর্ণিত,তিনি বলেন,
ﻋﻦ ﺃﺑﻲ ﻫﺮﻳﺮﺓ ﺭﺿﻲ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻨﻪ ﺃﻥ ﺭﺳﻮﻝ ﺍﻟﻠﻪ ﺻﻠّﻰ ﺍﻟﻠﻪ ﻋﻠﻴﻪ ﻭﺳﻠّﻢ ﻗﺎﻝ : ( ﻳَﺄْﺗِﻲ ﺍﻟﺸَّﻴْﻄَﺎﻥُ ﺃَﺣَﺪَﻛُﻢْ ﻓَﻴَﻘُﻮﻝُ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﻛَﺬَﺍ ﺣَﺘَّﻰ ﻳَﻘُﻮﻝَ ﻣَﻦْ ﺧَﻠَﻖَ ﺭَﺑَّﻚَ ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻐَﻪُ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﻌِﺬْ ﺑِﺎﻟﻠَّﻪِ ﻭَﻟْﻴَﻨْﺘَﻪِ ﻭﻓﻲ ﺭﻭﺍﻳﺔ ﻣﺴﻠﻢ : ( ﺁﻣﻨﺖ ﺑﺎﻟﻠﻪ ﻭﺭﺳﻠﻪ)
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,শয়তান তোমাদের কারো নিকট উপস্থিত হয়ে জিজ্ঞেস করে, এটা কে বানিয়েছে?ওটা কে বানিয়েছে?শেষ পর্যন্ত জিজ্ঞেস করে, খোদা-কে বানিয়েছে? যখন এমন অবস্থায় কেউ পতিত হবে,সে যেন আল্লাহর নিকট পানাহ চায়।এবং সাথে সাথে সে যেন উক্ত বিষয়ে চিন্তা করা থেকে বিরত থাকে। এক বর্ণনায় এসেছে, সে যেন "আ'মানতু বিল্লাহি ওয়া রুসুলিহি" পড়ে নেয়।(সহীহ বোখারী-৩১০২,সহীহ মুসলিম-১৩৪)

সু-প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
এভাবে যদি মনে কখনো সন্দেহ জাগে, তবে সাথে সাথে আউযু বিল্লাহ পড়বেন।এবং দু'রা'কাত নামায পড়ে নিজের জন্য দু'আ করবেন। আল্লাহ আপনার সহায় হবেন ইনশা'আল্লাহ।সম্ভব হলে কোনো নেককারের সংস্পর্শ গ্রহণ করবেন।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...