উত্তর
وعليكم السلام ورحمة الله
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১) পর্দার বিধান লঙ্ঘণ করে সহশিক্ষায় পড়া নারী পুরুষদের জন্য বৈধ নয়। তাই পর্দার বিধান যদি পুরোপুরি মানা না হয়,তাহলে সেই কোচিং বা ব্যাচে পড়ানো জায়েজ হবেনা।
অন্যথায় জায়েজ হবে।
তবে বর্তমান যেহেতু ফিতনার যুগ,তাই উলামায়ে কেরাম পুরোপুরি ভাবেই এটাকে নাজায়েজ বলেছেন।
قُلْ لِلْمُؤْمِنِينَ يَغُضُّوا مِنْ أَبْصَارِهِمْ وَيَحْفَظُوا فُرُوجَهُمْ ۚ ذَٰلِكَ أَزْكَىٰ لَهُمْ ۗ إِنَّ اللَّهَ خَبِيرٌ بِمَا يَصْنَعُونَ [٢٤:٣٠
وَقُلْ لِلْمُؤْمِنَاتِ يَغْضُضْنَ مِنْ أَبْصَارِهِنَّ وَيَحْفَظْنَ فُرُوجَهُنَّ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا مَا ظَهَرَ مِنْهَا ۖ وَلْيَضْرِبْنَ بِخُمُرِهِنَّ عَلَىٰ جُيُوبِهِنَّ ۖ وَلَا يُبْدِينَ زِينَتَهُنَّ إِلَّا لِبُعُولَتِهِنَّ أَوْ آبَائِهِنَّ أَوْ آبَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ أَبْنَائِهِنَّ أَوْ أَبْنَاءِ بُعُولَتِهِنَّ أَوْ إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي إِخْوَانِهِنَّ أَوْ بَنِي أَخَوَاتِهِنَّ أَوْ نِسَائِهِنَّ أَوْ مَا مَلَكَتْ أَيْمَانُهُنَّ أَوِ التَّابِعِينَ غَيْرِ أُولِي الْإِرْبَةِ مِنَ الرِّجَالِ أَوِ الطِّفْلِ الَّذِينَ لَمْ يَظْهَرُوا عَلَىٰ عَوْرَاتِ النِّسَاءِ ۖ وَلَا يَضْرِبْنَ بِأَرْجُلِهِنَّ لِيُعْلَمَ مَا يُخْفِينَ مِنْ زِينَتِهِنَّ ۚ وَتُوبُوا إِلَى اللَّهِ جَمِيعًا أَيُّهَ الْمُؤْمِنُونَ لَعَلَّكُمْ تُفْلِحُونَ [٢٤:٣١
মুমিনদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টি নত রাখে এবং তাদের যৌনাঙ্গর হেফাযত করে। এতে তাদের জন্য খুব পবিত্রতা আছে। নিশ্চয় তারা যা করে আল্লাহ তা অবহিত আছেন।
ঈমানদার নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে নত রাখে এবং তাদের যৌন অঙ্গের হেফাযত করে। তারা যেন যা সাধারণতঃ প্রকাশমান, তা ছাড়া তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে এবং তারা যেন তাদের মাথার ওড়না বক্ষ দেশে ফেলে রাখে এবং তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভ্রাতা, ভ্রাতুস্পুত্র, ভগ্নিপুত্র, স্ত্রীলোক অধিকারভুক্ত বাঁদী, যৌনকামনামুক্ত পুরুষ, ও বালক, যারা নারীদের গোপন অঙ্গ সম্পর্কে অজ্ঞ, তাদের ব্যতীত কারো আছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সাজ-সজ্জা প্রকাশ করার জন্য জোরে পদচারণা না করে। মুমিনগণ, তোমরা সবাই আল্লাহর সামনে তওবা কর, যাতে তোমরা সফলকাম হও। {সূরা নূর-৩০-৩১}
★উল্লেখ্য যে যদি উক্ত কোচিং বা ব্যাচের ছাত্র ছাত্রী সকলেই নাবালেগ নাবালেগা হয়,বা তার নিকটতম বয়সী না হয়,তাহলে ফিতনার আশংকা না থাকলে এমন কোচিং বা ব্যাচে পড়ানো জায়েজ আছে।
(০২) যদি ফেতনার শংকা না থাকে, এবং নারী শিক্ষিকার পাওয়া না যায়, তাহলে পর্দার আড়াল থেকে বেগানা ছাত্রীকে পড়ানো যাবে। তবে পর্দা লঙ্ঘণ করে পড়ানো জায়েজ নয়।
يَا أَيُّهَا النَّبِيُّ قُل لِّأَزْوَاجِكَ وَبَنَاتِكَ وَنِسَاءِ الْمُؤْمِنِينَ يُدْنِينَ عَلَيْهِنَّ مِن جَلَابِيبِهِنَّ ۚ ذَٰلِكَ أَدْنَىٰ أَن يُعْرَفْنَ فَلَا يُؤْذَيْنَ ۗ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا [٣٣:٥٩]
হে নবী! আপনি আপনার পত্নীগণকে ও কন্যাগণকে এবং মুমিনদের স্ত্রীগণকে বলুন, তারা যেন তাদের চাদরের কিয়দংশ নিজেদের উপর টেনে নেয়। এতে তাদেরকে চেনা সহজ হবে। ফলে তাদেরকে উত্যক্ত করা হবে না। আল্লাহ ক্ষমাশীল পরম দয়ালু। [সূরা আহযাব-৫৯]
সুতরাং ননমাহরামকে আপনি বাসায় গিয়ে প্রাইভেট পড়াতে পারবেন,যদি সে নাবালক হয়,এবং ফিতনার আশংকা না থাকে।তবে এক্ষেত্রে সতর্কতা এবং উত্তম হচ্ছে,ঐ ছাত্রীকে যতক্ষণ পড়াবেন পাশে অন্য কাউকে বসিয়ে রাখবেন।বা এরকম কয়েকজন কে একসাথে পড়াবেন।তাদেরকে হিজাব পড়ার নির্দেশ দিবেন।
আর যদি ছাত্রী বালেগাহ হয়,এবং সে কোনে মহিলা শিক্ষক খুজে না পায়,এবং আপনিও কোনো ছেলে ছাত্র খুজে না পান।তাহলে তখন ছাত্রীর জন্য পূর্ণ হিজাব পরিধান,এবং ঐ ছাত্রীর মাহরাম কোনো পুরুষ বা ঘরের কোনো বালিগ মহিলা, পাশে থাকার অত্যাবশ্যক। কেননা হাদীস শরীফে এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাঃ বলেছেন,
আজনবী পুরুষ-মহিলার মাহরাম ব্যতীত পরস্পর খালওয়াত তথা নির্জনে সাক্ষাৎ করবে না।
۔
★★শরীয়তের বিধান হলো যেই পেশা হারাম,তার বেতনও হারাম। (ফাতাওয়ায়ে বাইয়্যিনাত ৪/৬১)
তাই নন মাহরামদের পড়ানোর ক্ষেত্রে যেই ছুরত নাজায়েজ,সেই ছুরতে তার বেতন নেওয়াও নাজায়েজ।
ইমাম নববী রহঃ বলেনঃ
قال البغوی من أصحابنا والقاضی عیاض:أجمع المسلمون علی تحریم حلوان الکاھن ،لأنہ عوض عن محرم، ولأنہ أکل المال بالباطل، وکذلک أجمعوا علی تحریم أجرۃ المغنیۃ للغناء والنائحۃ للنوح‘
شرح مسلم للنووی-کتاب البیوع-باب تحریم ثمن الکلب وحلوان الکاھن…الخ-۲؍۱۹۔ط: قدیمی کراچی ،الطبعۃ الثانیہ،۱۳۷۵ھ بمطابق ۱۹۵۶ء
যার সারমর্ম হলো কাজ হারাম হওয়ার কারনে তার বেতন বা পারিশ্রমিকও হারাম হয়।