জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
পবিত্র কুরআনে মহান আল্লাহ বলেন-
فَمَا اسْتَمْتَعْتُم بِهِ مِنْهُنَّ فَآتُوهُنَّ أُجُورَهُنَّ فَرِيضَةً ۚ وَلَا جُنَاحَ عَلَيْكُمْ فِيمَا تَرَاضَيْتُم بِهِ مِن بَعْدِ الْفَرِيضَةِ ۚ إِنَّ اللَّهَ كَانَ عَلِيمًا حَكِيمًا
অতএব তাদের নিকট থেকে তোমরা যে আনন্দ উপভোগ করেছ (সে কারণে) তাদের ধার্যকৃত মোহর তাদেরকে প্রদান করবে। আর মোহর নির্ধারিত থাকার পরও কোনো বিষয়ে পরস্পর সম্মত হলে তাতে তোমাদের কোনো অপরাধ হবে না। নিশ্চয়ই আল্লাহ সর্বজ্ঞ, প্রজ্ঞাময়। (সূরা নিসা : ২৪)
অন্যত্র তিনি বলেন-
وَآتُوا النِّسَاءَ صَدُقَاتِهِنَّ نِحْلَةً ۚ فَإِن طِبْنَ لَكُمْ عَن شَيْءٍ مِّنْهُ نَفْسًا فَكُلُوهُ هَنِيئًا مَّرِيئًا
এবং তোমরা নারীদেরকে দাও তাদের মোহর খুশিমনে। এরপর তারা যদি স্বেচ্ছায় স্বাগ্রহে ছেড়ে দেয় কিছু অংশ তোমাদের জন্য তাহলে তা স্বচ্ছন্দে ভোগ কর।(সূরা নিসা : ৪)
.
এই আয়াতের ব্যাখ্যায় বলা হয়েছে যে,
আয়াতে ‘হষ্টচিত্তে’ প্রদানের শর্ত আরোপ করার পেছনে গভীর তাৎপর্য নিহিত রয়েছে। কেননা, মাহর স্ত্রীর অধিকার এবং তার নিজস্ব সম্পদ হৃষ্টচিত্তে যদি সে তা কাউকে না দেয় বা দাবী ত্যাগ না করে, তবে স্বামী বা অভিভাবকের পক্ষে সে সম্পদ কোন অবস্থাতেই হালাল হবে না।
★প্রিয় প্রশ্নকারী দ্বীনি ভাই/বোন,
মোহরানার টাকার মধ্যে শপিং এর টাকা ধরা যাবেনা।
উল্লেখিত তাওয়িল জায়েজ নেই।
,
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে ৬ লক্ষ টাকা মোহরানা ধার্য করে তা থেকে নগদ কিছু টাকা দিয়ে যাহা কিছু বাকি রাখবে,তার সম্পূর্ণই স্ত্রী পাওয়ার হকদার।
পরবর্তীতে হলেও তাহা আদায় করতে হবে।
,
এক্ষেত্রে কোনো তাওয়িল শরীয়তে জায়েজ হবেনা।
হ্যাঁ যদি স্ত্রী সন্তুষ্টি চিত্তে মাফ করে দেয়,সেটি ভিন্ন কথা।
সুতরাং প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে বিবাহ পড়ানোর সময় যাহা কিছুই মোহরানা হিসেবে বলা হবে/লেখা হবে,তার পুরাটাই মোহরানা হিসেবে গন্য হবে।
যাহা বাকি থাকবে,তাহাও পরবর্তীতে আদায় করতেই হবে।
,
যদি স্ত্রী সন্তুষ্টি চিত্তে মাফ করে দেয় বা কমিয়ে দেয়,তাহলে মোহরানার বাকি অংশ মাফ/কমিয়ে যাবে।অন্য কোনো তাওয়িল করে বিবাহের সময়ে ধার্য্যকৃত মোহরানা কমানোর কোনো সুযোগ নেই।