ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
এ বিষয়ে যখন পূর্বে একবার জিজ্ঞাসা করেছেন,তাহলে এখন আর নতুনকরে প্রশ্ন করার কোনো প্রয়োজনিয়তা ছিল না। বরং পূর্বের প্রশ্নের কমেন্টে উল্লেখ করলেই ভালো হত?
إذا طلق الرجل امرأته ثلاثا قبل الدخول بها وقعن عليها فإن فرق الطلاق بانت بالأولى ولم تقع الثانية والثالثة
যদি কেউ তার স্ত্রীকে সহবাসের পূর্বে তিন তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তিন তালাকই তার উপর পতিত হবে।আর যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে এক এক করে তিন তালাক দেয়,তাহলে প্রথম তালাক দ্বারাই স্ত্রী বায়েন হয়ে যাবে।দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তালাক তার উপর পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৩)
أربع من النساء لا عدة عليهن: المطلقة قبل الدخول، والحربية دخلت دارنا بأمان تركت زوجها في دار الحرب والأختان تزوجهما في عقد واحد فيفسخ بينهما والجمع بين أكثر من أربع نسوة فيفسخ بينهن
চারজন মহিলার উপর ইদ্দত নেই।(১)সহবাসের পূর্বে কোনো মহিলা তালাক প্রাপ্ত হলে(২)দারুল হারবের কোনো কাফির মহিলা যে তার স্বামীকে ছেড়ে দারুল ইসলামে প্রবেশ করেছে এমন মহিলার ব্যাপারে (৩)দুই বোন কে একি অনুষ্টানে বিয়ে করার পর তাদের মধ্যকার ফসকে নিকাহ হলে(৪)চার স্ত্রী থাকা সত্তেও পাঁচ নাম্বার কাউকে বিয়ে করার পর ফসকে নিকাহ হলে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫২৬)
সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!
(১)
এক তালাক বায়েন পতিত হওয়ার পরে এবং সেই স্বামী-স্ত্রী পুনরায় বিয়ের আগে; সেই স্বামী যদি সেই স্ত্রীকে এভাবে বলেঃ "তুৃমি যতবার অমুক কাজ করবা,ততবার তালাক।"
তাহলে ঐ স্বামীর সাথে পুনরায় বিয়ের পর ও স্ত্রী ঐ কাজ করতে পারবে না, করলে তালাক পতিত হবে।
(২)
এক তালাক বায়েন পতিত হওয়ার পরে এবং সেই স্বামী-স্ত্রী পুনরায় বিয়ের আগে; সেই স্বামী যদি সেই স্ত্রীকে এভাবে বলেঃ
"তুৃমি যখন অমুক কাজ করবা,তখন তালাক।"
তাহলে ঐ স্বামীর সাথে পুনরায় বিয়ের পর ও স্ত্রী ঐ কাজ করতে পারবে না, করলে তালাক পতিত হবে।
(৩)
বিবাহিত থাকা অবস্থায় কেউ যদি তালাকের শর্তের সাথে যখন- তখন উল্লেখ করে তখন স্ত্রী ঐ কাজ কয়েকবার করলে,কয়েকবারই তালাক পতিত হবে।
(৪)
বিবাহিত অবস্থায় তালাকের শর্তের সাথে
যতবার -ততবার যুক্ত করে দেওয়া এবং যখন- তখন যুক্ত করে দেওয়ার হুকুম একই।
এরূপ কথা বলে ফেললে মুক্তির কোনো সুযোগ নাই।