আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
239 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (23 points)
আসসালামু আলাইকুম।

কোন এক দম্পতির সহবাস এবং  খালওয়াতে সহীহার আগেই এক তালাক  বায়েন পতিত হয়ে যায় ( এ বিষয়ে  পূর্বে ফতোয়া  নেওয়া হয়েছে)।


আমাকে হানাফি মাযহাব অনুযায়ী উত্তর দিয়েন।


১) এক তালাক  বায়েন পতিত হওয়ার  পরে এবং সেই  স্বামী-স্ত্রী পুনরায় বিয়ের আগে; সেই স্বামী  যদি সেই  স্ত্রীকে এভাবে বলেঃ
"তুৃমি যতবার অমুক  কাজ করবা,ততবার তালাক।"

 তাহলে কি ঐ স্বামীর সাথে  পুনরায়  বিয়ের পর ও স্ত্রী ঐ কাজ করতে পারবে না? করলে তালাক  পতিত হবে??

২)
এক তালাক  বায়েন পতিত হওয়ার  পরে   এবং সেই  স্বামী-স্ত্রী পুনরায় বিয়ের আগে;   সেই স্বামী  যদি সেই  স্ত্রীকে এভাবে বলেঃ
"তুৃমি  যখন  অমুক  কাজ করবা,তখন তালাক।"

 তাহলে কি ঐ স্বামীর সাথে  পুনরায়  বিয়ের পর ও স্ত্রী ঐ কাজ করতে পারবে না? করলে তালাক  পতিত হবে??

৩) বিবাহিত থাকা অবস্থায় কেউ যদি তালাকের  শর্তের সাথে  যখন- তখন উল্লেখ  করে  তখন কি স্ত্রী  ঐ কাজ কয়েকবার করলে,কয়েকবারই  তালাক  পতিত  হতে থাকে????

৪) বিবাহিত অবস্থায় তালাকের  শর্তের সাথে
যতবার -ততবার যুক্ত  করে  দেওয়া এবং  যখন- তখন  যুক্ত  করে  দেওয়ার কি একই হুকুম????

এরূপ কথা বলে ফেললে  কি মুক্তির কোন উপায় নাই?

1 Answer

0 votes
by (697,400 points)
edited by
ওয়া আলাইকুমুস-সালাম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু। 
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহাম।
জবাবঃ-
এ বিষয়ে যখন পূর্বে একবার জিজ্ঞাসা করেছেন,তাহলে এখন আর নতুনকরে প্রশ্ন করার কোনো প্রয়োজনিয়তা ছিল না। বরং পূর্বের প্রশ্নের কমেন্টে উল্লেখ করলেই ভালো হত?


https://www.ifatwa.info/1457 নং ফাতাওয়ায় আমরা বলেছি যে,
إذا طلق الرجل امرأته ثلاثا قبل الدخول بها وقعن عليها فإن فرق الطلاق بانت بالأولى ولم تقع الثانية والثالثة
যদি কেউ তার স্ত্রীকে সহবাসের পূর্বে তিন তালাক দিয়ে দেয়,তাহলে তিন তালাকই তার উপর পতিত হবে।আর যদি বিচ্ছিন্ন ভাবে এক এক করে তিন তালাক দেয়,তাহলে প্রথম তালাক দ্বারাই স্ত্রী বায়েন হয়ে যাবে।দ্বিতীয় এবং তৃতীয় তালাক তার উপর পতিত হবে না।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৩৭৩)
أربع من النساء لا عدة عليهن: المطلقة قبل الدخول، والحربية دخلت دارنا بأمان تركت زوجها في دار الحرب والأختان تزوجهما في عقد واحد فيفسخ بينهما والجمع بين أكثر من أربع نسوة فيفسخ بينهن
চারজন মহিলার উপর ইদ্দত নেই।(১)সহবাসের পূর্বে কোনো মহিলা তালাক প্রাপ্ত হলে(২)দারুল হারবের কোনো কাফির মহিলা যে তার স্বামীকে ছেড়ে দারুল ইসলামে প্রবেশ করেছে এমন মহিলার ব্যাপারে (৩)দুই বোন কে একি অনুষ্টানে বিয়ে করার পর তাদের মধ্যকার ফসকে নিকাহ হলে(৪)চার স্ত্রী থাকা সত্তেও পাঁচ নাম্বার কাউকে বিয়ে করার পর ফসকে নিকাহ হলে।(ফাতাওয়ায়ে হিন্দিয়া-১/৫২৬)

সু-প্রিয় পাঠকবর্গ!

(১)
এক তালাক  বায়েন পতিত হওয়ার  পরে এবং সেই  স্বামী-স্ত্রী পুনরায় বিয়ের আগে; সেই স্বামী  যদি সেই  স্ত্রীকে এভাবে বলেঃ "তুৃমি যতবার অমুক  কাজ করবা,ততবার তালাক।"
 তাহলে ঐ স্বামীর সাথে  পুনরায়  বিয়ের পর ও স্ত্রী ঐ কাজ করতে পারবে না, করলে তালাক  পতিত হবে।

(২)

এক তালাক  বায়েন পতিত হওয়ার  পরে   এবং সেই  স্বামী-স্ত্রী পুনরায় বিয়ের আগে;   সেই স্বামী  যদি সেই  স্ত্রীকে এভাবে বলেঃ
"তুৃমি  যখন  অমুক  কাজ করবা,তখন তালাক।"

 তাহলে ঐ স্বামীর সাথে  পুনরায়  বিয়ের পর ও স্ত্রী ঐ কাজ করতে পারবে না, করলে তালাক  পতিত হবে।

(৩)
বিবাহিত থাকা অবস্থায় কেউ যদি তালাকের  শর্তের সাথে  যখন- তখন উল্লেখ  করে  তখন স্ত্রী  ঐ কাজ কয়েকবার করলে,কয়েকবারই  তালাক  পতিত  হবে।

(৪)
বিবাহিত অবস্থায় তালাকের  শর্তের সাথে
যতবার -ততবার যুক্ত  করে  দেওয়া এবং  যখন- তখন  যুক্ত  করে  দেওয়ার হুকুম একই। 
এরূপ কথা বলে ফেললে মুক্তির কোনো সুযোগ নাই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

--------------------------------
মুফতী ইমদাদুল হক
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by (23 points)
edited by
আসসালামু আলাইকুম। 
মুহতারাম, 
১ নং এবং  ২ নং তো এক তালাক  বায়েন  পতিত হওয়ার পর বলা হয়েছিল,  তাদের তো এখন ও পুনরায় বিয়ে  হয় নাই। 

এক তালাক  বায়েন  পতিত হওয়ার পর  তো তারা  স্বামী-স্ত্রী ই  না। 

তাদের  বৈবাহিক সম্পর্ক তো  বিচ্ছিন্ন। 

এখন তো তার  পূর্বের স্ত্রী  অন্য   মেয়েদের মতোই।

 ১ নং এবং ২ নং তো বলা হয়েছিল  এক তালাক  বায়েন পতিত  হওয়ার পর।তখন তো তারা স্বামী স্ত্রীই না।  

তাও পুনরায়  বিয়ের পর স্ত্রী ১ এবং ২ নং কাজ  করতে পারবে না???করলে তালাক  হয়ে  যাবে??? 

আপনি  যদি  দয়া করে  আবার একটু  দেখতেন।
by (697,400 points)
কি আজগোবি প্রশ্ন আপনারা করেন!!!
এ বিষয়ে সরাসরি ফোনে কথা বলতে চাই।
আমাকে কল দিবেন।

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...