ওয়া আলাইকুমুস সালাম
ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু।
বিসমিল্লাহির রাহমানির
রাহিম।
জবাবঃ
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ
قَالَ: قَالَ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ: «أُمِرْتُ أَنْ
أَسْجُدَ عَلَى سَبْعَةِ أَعْظُمٍ عَلَى الْجَبْهَةِ وَالْيَدَيْنِ وَالرُّكْبَتَيْنِ
وَأَطْرَافِ الْقَدَمَيْنِ وَلَا نَكْفِتَ الثِّيَاب وَلَا الشّعْر»
ইবনু ‘আব্বাস (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ আমাকে শরীরের সাতটি হাড়; যথা কপাল, দু’ হাত, দু’ হাঁটু, দু’ পায়ের
পাতার অগ্রভাগের সাহায্যে সিজদা (সিজদা/সেজদা) করার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে। আর
কাপড়, দাড়ি ও চুল
একত্রিত করে বেঁধে রাখতে নিষেধ করা হয়েছে।
সহীহ : বুখারী ৮১২, মুসলিম ৪৯০, নাসায়ী ১০৯৭, দারেমী ১৩৫৮, ইরওয়া ৩১০, সহীহ আল
জামি‘ ১৩৬৯।
হাদীস শরীফে এসেছেঃ
নাফে রহ. বলেন, আবদুল্লাহ
ইবনে উমর রা. পাগড়ীর পেঁচ (কপাল থেকে) না সরিয়ে তার উপর সিজদা করা অপছন্দ করতেন।
(আলআওসাত ৩/৩৪৩)
ইবরাহীম নাখায়ী রহ. বলেন,
(সিজদার
সময়) কপাল খুলে রাখা আমার কাছে বেশি পছন্দনীয় (মুসান্নাফে ইবনে আবী শাইবা, হাদীস : ২৭৭৬)
তাই নামাযের আগে ক্যাপ বা খিমার কপালের সিজদার স্থান থেকে সরিয়ে নেওয়া উচিত।
অবশ্য এভাবে সিজদা করলেও তা সহীহ হবে এবং নামায আদায় হয়ে যাবে।
(আদ্দুররুল মুখতার ১/৫০০; শরহুল মুনইয়াহ ২৮৬-২৮৭; আলমুহীতুল বুরহানী ২/৮৩; খুলাসাতুল ফাতাওয়া ১/৫৯)
★ সু-প্রিয়
প্রশ্নকারী দ্বীনী ভাই/বোন!
ক্যাপ বা খিমার ইত্যাদি দ্বারা কপাল পরিপূর্ণ আবৃত অবস্থায় তার উপর সিজদা করা
অনুত্তম। সুতরাং
প্রশ্নে উল্লেখিত ছুরতে মহিলা পুরো কপাল ঢাকবে না। যতটুকুতে সেজদাহ করবে,সেটি খোলা রাখবে। কপাল কাপড় দ্বারা পরিপূর্ণ
ঢেকে থাকলেও নামাজের কোনো সমস্যা হবে না। নামাজ হয়ে যাবে। তবে উন্মুক্ত কপালে সেজদাহ করাই উত্তম।