ঈমান নিয়ে প্রশ্ন

Question

১) বাঙলা কোনো কিছু বলার সময় কেউ যদি মজা করে আরবীর মত উচ্চারণ করে তাহলে কি কুফরী হবে?

২)এক ব্যাক্তি অজু তে ঘাড় মাসেহ করে না।অজু করার সময় আরেকজন তার সাথে ছিল।তখন সে মজা করে বলেছিল ঘাড় মাসেহ করবো নাকি?

এতে কি ঈমান চলে যাবে?

৩)কারো যদি কোনো কারণে ঈমান ভঙ্গ হয় তাহলে ঈমান নবায়ণ করলে কি পুনরায় ফরজ গোসল করতে হবে?যদি আগে অজু থাকে তারপর ঈমান ভঙ্গ হয়ে যায় তাহলে ঈমান নবায়নের পর কি পুনরায় অজু করতে হবে?

৪) নামাযের শুরু করার আগে যদি এমনি মজা করা হয় তাহলে কি ঈমান ভঙ্গ হবে?আমি আগে এমনি মজা করে তাকবীরের মত করে মাথার উপরে হাত তুলতাম।তখন তো জানতাম না যে এরকম করা যাবে না আমার কি ঈমান থাকবে?

৫)আজকেও এরকম ভুলে করতে নিচ্ছিলাম হাত উপরে তুলতে নিচ্ছিলাম তৎক্ষণাৎ মনে পড়ার পর সাথে সাথে আর করি নাই আমার কি ঈমান ঠিক আছে?

৬)সালাম নিয়ে তুচ্ছ তাচ্ছিল্যের কোনো নিয়ত থাকে না কিন্তু অনেকে মজা করে সালাম দেওয়ার আগেই সালামের উত্তর দেয়।অর্থাৎ আসসালামু আলাইকুম বলার আগেই মজা করে ওয়ালাইকুমুসসালাম বলে এতে কি কুফরী হবে?

Answer 1

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম।

জবাবঃ- 

(১)

বাঙলা কোনো কিছু বলার সময় কেউ যদি মজা করে আরবীর মত উচ্চারণ করে তাহলে যদিও কুফরী হবে না, তবে এমনটা কখনো উচিৎ হবে না।হ্যা কেউ যদি কুরআনকে কটাক্ষ করে এমনটা করে থাকে, তাহলে অবশ্যই কুফরি হিসেবে বিবেচিত হবে।জাযাকাল্লাহ। 

(২)

না,তার ঈমান চলে যাবে না।কেননা ঘাড় মাসেহ করা ফরয বা ওয়াজিব কিছু নয়।

(৩)

না, এখানে তার গোসল ফরয হবে না।

(৪)

জ্বী, ঈমান থাকবে।এতে ঈমান চলে যাবে না।

(৫)

জ্বী, ঈমান ঠিক থাকবে।

(৬)

কুফরি হবে না।তবে এমনটা উচিৎ না।বরং সুন্নাহ হচ্ছে সালামের পরই সালামের জবাব দেয়া।

তবে কেউ যদি ইসলামকে কটাক্ষ করার নিয়তে এমনটা করে থাকে,তাহলে অবশ্যই তার ঈমান চলে যাবে।