আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
374 views
in পরিবার,বিবাহ,তালাক (Family Life,Marriage & Divorce) by (15 points)
reshown by
আমি পূর্বেও আমার সমস্যা নিয়ে পোস্ট করেছিলাম।
পূর্বোক্ত পোস্টের লিংকঃ https://ifatwa.info/26926/

আমি বিয়ের ব্যাপারে কয়েকবার ইস্তিখারার নামাজ আদায় করি। মন বরাবর ই সংশয়পূর্ণ ছিল। এখনো মন সংশয়পূর্ণ। কিন্তু হঠাৎ করে আজ আমার পরিবার আকদ করাতে পুরোপুরি রাজি হয়ে গেছে৷ চেয়েছিলাম এনগেজমেন্ট করতে তবে উনারা আকদেই রাজি হয়েছে। আমার পরিবাত এনগেজমেন্টে রাজি নয়। করলে আকদ করাতে হবে। আমি নিশ্চিত করলেই  মেয়ের ফ্যামিলির সাথে কথা বলবে।

উল্লেখ্য, আমার ছোট কাকা প্রথমে রাজি ছিল না বিধায় বিয়ে আটকে ছিল কয়েক মাস। সর্বশেষ ইস্তিখারার পর আজ রাজি হয়েছে। আর মেয়ের পরিবার তো আগেই রাজি ছিল।

বিগত দিন যাবত কান্নাকাটি করে দুয়া করে গেছি যেন আল্লাহ সবথেকে উপযুক্ত আর কল্যাণকর ফয়সালা নির্ধারণ করে দেন যাতে আমি সন্তুষ্ট থাকি এবং সারা জীবনের জন্য আফসোস না করি। আমি আল্লাহর হাতেই সব ছেড়ে দিয়েছি। আল্লাহর কাছে এ ও দুয়া করেছিলাম যে, এ বিয়ে যদি কল্যাণকর না হয়, যদি আমার আফসোসের কারণ হয় তবে মেয়ের বা তার পরিবার কে যেন দূরে রাখা হয় আর মেয়ের এমন কোন দোষ সামনে আনা হয় যাতে আমি সরাসরি নিশ্চিন্তভাবে না করতে পারি। আর যদি আল্লাহ বিয়েটা চান তবে যেন সংশয় দূর করে দেন।

না সংশয় দূর হয়েছে আর না মেয়ের উচ্চতা ব্যতীত অন্য কোন দোষ সামনে পড়েছে।
তবুও আমার যতটা খুশি হবার কথা ছিল, যতটা নিশ্চিন্ত হবার কথা ছিল ততটা হতে পারিনি। অবশ্য আমি যা চাই আল্লাহ যদি তা না দেন কেবল তাতেই আমি নিশ্চিন্ত হই। অন্য ব্যাপারে নিশ্চিন্ত হতে পারিনা। আবার শুরুতে বিয়ের জন্য যতটা উৎসাহ ছিল তা এখন নেই। মনে হচ্ছে মেয়ের ব্যাপারেও আগের মত আগ্রহ নেই। কিন্তু কেবল উচ্চতার কারণে না ও করতে চাইনা এটাও নিশ্চিত। আমি কেবল চারিত্রিক বা কুফুজনিত অন্য শক্ত কোন কারণে না করতে পারলে নিশ্চিন্ত হতাম।
সর্বশেষ ইস্তিখারা এবং আনুষঙ্গিক দুয়া করার পর পরিস্থিতি বর্তমানে এরুপঃ

১. আমার পরিবার আকদে রাজি। মেয়ের পরিবার আগেই রাজি ছিল। যদিও আমার ছোটকাকা শুরুতে রাজি ছিল না। সর্বশেষ ইস্তিখারার পর রাজি হয়েছে এবং আমার পরিবার আকদে উপস্থিত থাকবে। তবে চাচারা কোন দায়িত্ব নিতে পারবেনা। দাওয়াত দিয়েছি তাই যাবে।

২.এ ব্যাপারে যতটা খুশি আর নিশ্চিন্ত হবার কথা ছিল ততটা খুশি আর নিশ্চিন্ত হতে পারছিনা। শুরুতে আগ্রহ অনেক বেশি ছিল। এখন কেন যেন সেই আগ্রহ টা পাচ্ছিনা। হয়ত মেয়ের প্রতি আগ্রহ ও কম মনে হচ্ছে। সমস্যা মূলত উচ্চতার কারণেই। মেয়ের অন্য দোষ পাইনি যে নিশ্চিন্তমনে না করব। তবে আমার মনে পরিবর্তন এসেছে বুঝতে পারছি। তবে আমার পরিবার কে বিষয় টা জানালে বলেছে- মেয়ে বেশ শর্ট। এটা নিয়ে মন খারাপ তবে তোমরা ভাল থাকলেই আমরা খুশি। মানে, না ও করেনি আবার মন ও খারাপ অনেকটা।

৩. বিয়ের প্রপোজাল থেকে শুরু করে এখন অবধি মেয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ ছিল। এর জন্য তাওবা করেছি। অনেকটাই ফিরে এসেছি। আমি বুঝি যে কাজ টি অন্যায় হয়েছে। এর জন্য অনুতপ্ত।
৪. আমার মা এতদিন অনেক দুশ্চিন্তায় ছিল। আজ মনে হল খুশি। এ ব্যাপার টা আমাকে নিশ্চিন্ত করেছে।

উপরোক্ত পরিস্থিতি কি নির্দেশ করে ইস্তিখারার ফল পজিটিভ? কিভাবে নিশ্চিত হব যে ইস্তিখারার ফল পজিটিভ কিনা

ইস্তিখারার ফল পজিটিভ নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত মেয়ের পরিবারের সাথে যোগাযোগ করতে চাইছিনা। তাই ইস্তিখারার ফলাফলের ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া অনেক প্রয়োজন।
by
এই বিয়েটা কি পরবর্তীতে হয়েছিল? 
by (15 points)
এখনো হয়নি। হবে ইনশা আল্লাহ

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
পূর্বের এক জবাবে বলা হয়েছিলো যে ঐ মেয়ের সাথে আপনার কুফুর সামঞ্জস্যতা থাকলে বিবাহ করতে পারেন।

কেননা হাদীস শরীফে এসেছেঃ
রাসূল সা: ‘কুফু’র বিষয়টিকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়েছেন। 

حَدَّثَنَا عَبْدُ اللهِ بْنُ سَعِيدٍ حَدَّثَنَا الْحَارِثُ بْنُ عِمْرَانَ الْجَعْفَرِيُّ عَنْ هِشَامِ بْنِ عُرْوَةَ عَنْ أَبِيهِ عَنْ عَائِشَةَ قَالَتْ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم تَخَيَّرُوا لِنُطَفِكُمْ وَانْكِحُوا الْأَكْفَاءَ وَأَنْكِحُوا إِلَيْهِمْ
 ‘আয়িশাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ তোমরা ভবিষ্যত বংশধরদের স্বার্থে উত্তম মহিলা গ্রহণ করো এবং সমতা (কুফু) বিবচেনায় বিবাহ করো, আর বিবাহ দিতেও সমতার প্রতি লক্ষ্য রাখো।
(ইবনে মাজাহ ১৯৬৮)
,
وَعَنْ أَبِىْ هُرَيْرَةَ قَالَ : قَالَ رَسُوْلُ اللّٰهِ ﷺ : «تُنْكَحُ الْمَرْأَةُ لِأَرْبَعٍ : لِمَالِهَا وَلِحَسَبِهَا وَلِجَمَالِهَا وَلِدِينِهَا فَاظْفَرْ بِذَاتِ الدَّيْنِ تَرِبَتْ يَدَاكَ»
আবূ হুরায়রাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন যে, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেনঃ (মূলত) চারটি গুণের কারণে নারীকে বিবাহ করা হয়- নারীর ধন-সম্পদ, অথবা বংশ-মর্যাদা, অথবা রূপ-সৌন্দর্য, অথবা তার ধর্মভীরুর কারণে। (রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন) সুতরাং ধর্মভীরুকে প্রাধান্য দিয়ে বিবাহ করে সফল হও। আর যদি এরূপ না কর তাহলে তোমার দু’ হাত ধূলায় ধূসরিত হোক (ধর্মভীরু মহিলাকে প্রাধান্য না দিলে ধ্বংস অবধারিত)!
সহীহ : বুখারী ৫০৯০, মুসলিম ১৪৬৬, নাসায়ী ৩২৩০, আবূ দাঊদ ২০৪৭, ইবনু মাজাহ ১৮৫৮, আহমাদ ৯৫২১, ইরওয়া ১৭৮৩, সহীহ আল জামি‘ ৩০০৩।)
,
★তবে প্রশ্নে উল্লেখিত কিছু তথ্য যেমনঃ এই মুহুর্তে আপনার মন আর সেদিকে যাচ্ছেনা।
আপনি সহ সকলেই দুশ্চিন্তায় আছে। 
আপনার পরিবার আপনাকে জানিয়েছে যে মেয়ে বেশ শর্ট। 
আপনার চাচারাও রাজি নয়,আপনার বাবা গত হওয়ায় তাদের মত অনেকটা গুরুত্বপূর্ণ ছিলো। 
আর আপনিও এখন আগের মতো সেই আগ্রহ টা পাচ্ছেননা।
সর্বপোরি বুঝা যাচ্ছে সেখানে বিবাহ না করাই ভালো হবে।

ইস্তেখারার ফল পজিটিভ মনে হচ্ছেনা। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...