আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
110 views
in পবিত্রতা (Purity) by (18 points)
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহ্ ,
উস্তাদজী  ,
১   হদসে আসগার অর্থাৎ যে ব্যক্তি টয়লেট বা ছোট কোনো কারণে ওযূ ভেঙে যায় তার উপর ওযূ ওয়াজিব হয় প্রথম পড়েছি ।

এখন আবার দেখছি ,
কখন ওযূ ওয়াজিব হয় ? উত্তরে - হদসগ্রস্ত ব্যক্তির ক্ষেত্রে শুধুমাত্র কাবা ঘর তাওয়াফের জন্য ওযূ ওয়াজিব হয় ।
দুই ধরনের উত্তর মনে হচ্ছে ।
এখানে তো তাহলে দেওয়া উচিত ছিল , টয়লেটে বা অন্যান্য কারণগুলো ও দেওয়া উচিত ছিল ওযূ ওয়াজিব হওয়ার কারণে মধ্যে ।  বুঝতেছি না ।


২  রুকুর সময় সিজদা তাসবিহ আর সিজদার সময় রুকুর তাসবিহ পড়লে এবং খেয়াল আসলে ঠিক করে পড়লে কি সাহু সিজদা দিতে হবে?


৩  আল্লাহর জিকিরের সময় কি মশা মারা জায়েজ ?
৪  একটি হাদীস দেখেছি কারো কবরের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় যদি দুরূদ শরীফ পাঠ করে তবে তার ৪০ দিনের কবর আযাব মাফ হয় ,এটা কি সহীহ হাদীস ?
৫  অনেক গুলো কবর একসাথে থাকলে কি সব কবরে সালাম দিচ্ছি মনে করে একবার সালাম দিলে হবে ?
৬   কারো হায়েজ হয়েছে আসরের ওয়াক্ত এ ,  সে যখন সুস্থ হবে তখন কি তার আসরের ওয়াক্ত কাযা করতে হবে ?
৭  কারো অভ্যাসমতো হায়েজ ৭ দিন , এ ক্ষেত্রে কোনো মাসে যদি ৭ দিনের বেশি কিন্তু ১০ দিনের কম , এ সময়ের মাঝে হায়েজ হয় তবে সেটা কি ইস্তেহাযা হবে নাকি হায়েজ ই ধরতে হবে , ১০ দিনের মধ্যে থাকায় ?
৮  (  ه  ) এই হা কে ছোট হা এবং

(ح ) এই ' হা' কে বড় হা বলে কেন ?

1 Answer

0 votes
by (682,440 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


(০১)
নাজাসাতে খফীফা দু’প্রকার :
১.  হদসে আসগর ও
২.  হদসে আকবর।

★ হদসে আসগর :
যেসব নাপাকী শুধু অযু দ্বারা দূর হয়ে যায় তাকে নাজাসাতে হদসে আসগর বলে। 
অর্থাৎ যেক্ষেত্রে অযু ওয়াজিব হয়।

যেমন পায়খানা, প্রসাব এবং মলদ্বার দিয়ে বায়ু ইত্যাদি নির্গত হলে কেবল অযু করলেই শরীর পবিত্র হয়ে যায়।

হদসে আসগর অবস্থায় নামাজ,কুরআন স্পর্শ, তওয়াফ কোনোটাই জায়েজ নেই।  

★তওয়াফ করার জন্য অযু জরুরি।  
সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: “যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাওয়াফ করতে চাইতেন তখন তিনি ওযু করে নিতেন।” আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম তো বলেছেন: “তোমরা আমার কাছ থেকে তোমাদের হজ্জের কার্যাবলি শিখে নাও।”[সহিহ মুসলিম (১২৯৭)]

★কুরআন শরিফ স্পর্শ করার জন্য অযু করা জরুরী।

মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ     

لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ [٥٦:٧٩
যারা পাক পবিত্র, তারা ব্যতিত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না। {সূরা ওয়াকিয়া-৭৯}
,
হাদীস শরীফে এসেছে-

عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ

হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম বলেনঃ রাসূল সাঃ আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ করবে না”।
 {মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৬৮০, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৮৩০, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীস নং-২০৯, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১৩২১৭, আল মুজামুস সাগীর, হাদীস নং-১১৬২, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-৪৬৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৬৬}

عن عبد الله بن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال:”لا يمس القرآن إلا طاهر“.
رواه الطبراني في الكبير والصغير ورجاله موثقون.

হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। {মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৫১২}

আর যেসব অপবিত্রতার ক্ষেত্রে গোসল ওয়াজিব হয় সেটি হদসে আকবার।
যেমন স্ত্রী সহবাস করা।
,
(০২)
সেজদায়ে  সাহু আবশ্যক হবেনা।
,
(০৩)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে মশা মারা জায়েজ আছে।
,
(০৪)
এমন হাদীস পাইনি।
,
(০৫)
হ্যাঁ, একবার সালাম দিলেই হবে।
,
(০৬)
এখানে নামাজের শেষ ওয়াক্ত ধর্তব্য।
যদি আসরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর হায়েজ আসে,তাহলে সেই আসর নামাজ তাকে আদায় করতে হবে।
আদায় না করলে কাজা আদায় করবে।
,
যদি আসরের ওয়াক্তের মধ্যে হায়েজ আসে,তাহলে সেই আসরের নামাজ কাজা করতে হবেনা।
,
(০৭)
হায়েজ ধরবে।
,
(০৮)
যেহেতু ১ম টি উচ্চারণ করতে মুখ সামান্য খুলতে হয়,এটি হলকের শুরু থেকে উচ্চারিত হয়। 
তাই তাকে ছোট হা বলে।

আর ২য় টি উচ্চারণ করতে মুখ বড় আকারে খুলতে হয়,এটি হলকের মধ্য থেকে উচ্চারিত হয়। 
তাই তাকে বড় হা বলে। 


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...