জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
(০১)
নাজাসাতে খফীফা দু’প্রকার :
১. হদসে আসগর ও
২. হদসে আকবর।
★ হদসে আসগর :
যেসব নাপাকী শুধু অযু দ্বারা দূর হয়ে যায় তাকে নাজাসাতে হদসে আসগর বলে।
অর্থাৎ যেক্ষেত্রে অযু ওয়াজিব হয়।
যেমন পায়খানা, প্রসাব এবং মলদ্বার দিয়ে বায়ু ইত্যাদি নির্গত হলে কেবল অযু করলেই শরীর পবিত্র হয়ে যায়।
হদসে আসগর অবস্থায় নামাজ,কুরআন স্পর্শ, তওয়াফ কোনোটাই জায়েজ নেই।
★তওয়াফ করার জন্য অযু জরুরি।
সহিহ বুখারী ও সহিহ মুসলিমে আয়েশা (রাঃ) থেকে বর্ণিত হয়েছে যে, তিনি বলেন: “যখন নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাওয়াফ করতে চাইতেন তখন তিনি ওযু করে নিতেন।” আর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি্ ওয়া সাল্লাম তো বলেছেন: “তোমরা আমার কাছ থেকে তোমাদের হজ্জের কার্যাবলি শিখে নাও।”[সহিহ মুসলিম (১২৯৭)]
★কুরআন শরিফ স্পর্শ করার জন্য অযু করা জরুরী।
মহান আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেনঃ
لَّا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ [٥٦:٧٩
যারা পাক পবিত্র, তারা ব্যতিত অন্য কেউ একে স্পর্শ করবে না। {সূরা ওয়াকিয়া-৭৯}
,
হাদীস শরীফে এসেছে-
عَنْ عَبْدِ اللَّهِ بْنِ أَبِي بَكْرِ بْنِ حَزْمٍ أَنَّ فِي الْكِتَابِ الَّذِي كَتَبَهُ رَسُولُ اللَّهِ صَلَّى اللَّهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ لِعَمْرِو بْنِ حَزْمٍ أَنْ لَا يَمَسَّ الْقُرْآنَ إِلَّا طَاهِرٌ
হযরত আব্দুল্লাহ বিন আবু বকর বিন হাযম বলেনঃ রাসূল সাঃ আমর বিন হাযম এর কাছে এই মর্মে চিঠি লিখেছিলেন যে, পবিত্র হওয়া ছাড়া কুরআন কেউ স্পর্শ করবে না”।
{মুয়াত্তা মালিক, হাদীস নং-৬৮০, কানযুল উম্মাল, হাদীস নং-২৮৩০, মারেফাতুস সুনান ওয়াল আসার, হাদীস নং-২০৯, আল মুজামুল কাবীর, হাদীস নং-১৩২১৭, আল মুজামুস সাগীর, হাদীস নং-১১৬২, মিশকাতুল মাসাবীহ, হাদীস নং-৪৬৫, সুনানে দারেমী, হাদীস নং-২২৬৬}
عن عبد الله بن عمر أن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال:”لا يمس القرآن إلا طاهر“.
رواه الطبراني في الكبير والصغير ورجاله موثقون.
হযরত আব্দুল্লাহ বিন ওমর রাঃ থেকে বর্ণিত। রাসূল সাঃ ইরশাদ করেছেনঃ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া কেউ কুরআন স্পর্শ করবে না। {মাযমাউজ যাওয়ায়েদ, হাদীস নং-১৫১২}
আর যেসব অপবিত্রতার ক্ষেত্রে গোসল ওয়াজিব হয় সেটি হদসে আকবার।
যেমন স্ত্রী সহবাস করা।
,
(০২)
সেজদায়ে সাহু আবশ্যক হবেনা।
,
(০৩)
হ্যাঁ, এক্ষেত্রে মশা মারা জায়েজ আছে।
,
(০৪)
এমন হাদীস পাইনি।
,
(০৫)
হ্যাঁ, একবার সালাম দিলেই হবে।
,
(০৬)
এখানে নামাজের শেষ ওয়াক্ত ধর্তব্য।
,
যদি আসরের ওয়াক্ত শেষ হওয়ার পর হায়েজ আসে,তাহলে সেই আসর নামাজ তাকে আদায় করতে হবে।
আদায় না করলে কাজা আদায় করবে।
,
যদি আসরের ওয়াক্তের মধ্যে হায়েজ আসে,তাহলে সেই আসরের নামাজ কাজা করতে হবেনা।
,
(০৭)
হায়েজ ধরবে।
,
(০৮)
যেহেতু ১ম টি উচ্চারণ করতে মুখ সামান্য খুলতে হয়,এটি হলকের শুরু থেকে উচ্চারিত হয়।
তাই তাকে ছোট হা বলে।
আর ২য় টি উচ্চারণ করতে মুখ বড় আকারে খুলতে হয়,এটি হলকের মধ্য থেকে উচ্চারিত হয়।
তাই তাকে বড় হা বলে।