আইফতোয়াতে ওয়াসওয়াসা সংক্রান্ত প্রশ্নের উত্তর দেওয়া হবে না। ওয়াসওয়াসায় আক্রান্ত ব্যক্তির চিকিৎসা ও করণীয় সম্পর্কে জানতে এখানে ক্লিক করুন

0 votes
302 views
in বিবিধ মাস’আলা (Miscellaneous Fiqh) by (19 points)
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।1/ আমি একজন মারাত্মক অসওয়াসা রোগী । আমি কোন একটি ইসলামিক বিষয় জানার পর আমার অসওয়াসা শুরু হয় । আমি কি করব । আমার কোন কিছু ভাল লাগে না । বিশেষ করে বান্দার হক ও হুরমত নিয়ে অসওয়াসা বেশি হয়।  হুরমত হয়েছে কিনা অথবা বান্দার হক নষ্ট হল কিনা  এরকম চিন্তা বারবার মনে আসার জন্য আমি কোন কিছুতেই মনোযোগ দিতে পারছি না ।যেমন, আমি একটা কম্পিউটার দোকানে কাজ করি। আমি আমার একটি ব্যক্তিগত কাজের জন্য দোকানের কম্পিউটার থেকে  একটি ওয়েবসাইটে ঢুকি। সাথে সাথে আমার মনে হল এতে দোকান মালিকের হক নষ্ট হয়েছে কিনা । তারপর আমি সেই ওয়েবসাইট থেকে বেরিয়ে যাই। এখন আমার মনে বারবার মনে হচ্ছে দোকানদারের হক নষ্ট হয়ে গেছে কিনা । হয়ে গেলে কীভাবে মাফ চাইব, আমি এটা নিয়েই অস্থির।  এরকম  সামান্য জিনিস নিয়ে অসওয়াসা বেশি হয়।

2/ গীবত করলে অন্যের হক নষ্ট হয় এটা জানি । কখনো এমন হয় যে অনিচ্ছাকৃতভাবে অনেক জনের  গীবত করে ফেললাম । তখনকি সাথে সাথে ঐ ব্যক্তিদের কাছে  গিয়ে মাফ চাইতে হবে । যদি পরে মাফ চাওয়া হয় তাহলে কি আমার দুটি গোনাহ হবে,নাকি একটিই। অর্থাৎ একটি হক নষ্ট করার গোনাহ আরেকটি দেরিতে তওবাহ করার গোনাহ ।

3/ কখনো এমন হয় যে অনিচ্ছাকৃতভাবে কারো ক্ষুদ্র  কিছু নষ্ট হয়ে গেছে । এখন এটার জন্য মালিকের কাছে গিয়ে মাফ চাইতে যেতে তিরস্কার শুনার  ভয় লাগে। কি করবো ?

4/ আমাদের বাড়ির পাশে একটা কবরস্থান আছে । এই কবরস্থানটাতে  আমার বাবার ও  আমাদের পাশের বাড়ির লোকজনদের ও মালিকানা আছে। তবে কার জায়গা কোন দিকে এটা  নির্দিষ্ট ছিল না । সেটাতে একটা ফল গাছ ছিল । ফল গাছটা যেখানে ছিল সেটা আমাদের জায়গা মনে করে আমি ঐ গাছের সবগুলো ফল নিয়ে আসি। পরে বুঝি যে এটা এজমালি সম্পত্তি ।এতে সবার হক আছে । এখন এটার মালিকানা   অনেকজনের হওয়ার সবার কাছে গিয়ে মাফ চাওয়াটা অনেক কষ্টের হবে । যদি আমি ঐ ফলের অধিক মূল্য ধরে সেই টাকাটা কবরস্থানের সংস্কারের কাজে ব্যবহার করি তাহলে কি তাদের হক আদায় হবে?

5/ কেউ যদি বান্দার হক করা কবিরা গোনাহ জেনে গোনাহ চালিয়ে যেতে থাকে এবং তওবা না করে তাহলে কি তার মৃত্যুর সময় ঈমান হারা হওয়ার সম্ভাবনা আছে ?

1 Answer

0 votes
by (565,890 points)
জবাব
وعليكم السلام ورحمة الله وبركاته 
بسم الله الرحمن الرحيم 


বান্দার হক অনেক অনেক গুরুত্বপূর্ণ।  
হাদীস শরীফে এসেছেঃ 

حَدَّثَنَا آدَمُ بْنُ أَبِي إِيَاسٍ حَدَّثَنَا ابْنُ أَبِي ذِئْبٍ حَدَّثَنَا سَعِيدٌ الْمَقْبُرِيُّ عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ قَالَ قَالَ رَسُولُ اللهِ صلى الله عليه وسلم مَنْ كَانَتْ لَهُ مَظْلَمَةٌ لأَخِيهِ مِنْ عِرْضِهِ أَوْ شَيْءٍ فَلْيَتَحَلَّلْهُ مِنْهُ الْيَوْمَ قَبْلَ أَنْ لاَ يَكُونَ دِينَارٌ وَلاَ دِرْهَمٌ إِنْ كَانَ لَهُ عَمَلٌ صَالِحٌ أُخِذَ مِنْهُ بِقَدْرِ مَظْلَمَتِهِ وَإِنْ لَمْ تَكُنْ لَهُ حَسَنَاتٌ أُخِذَ مِنْ سَيِّئَاتِ صَاحِبِهِ فَحُمِلَ عَلَيْهِ

আবূ হুরাইরাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের সম্ভ্রমহানি বা অন্য কোন বিষয়ে যুলুমের জন্য দায়ী থাকে, সে যেন আজই তার কাছ হতে মাফ করিয়ে নেয়, সে দিন আসার পূর্বে যে দিন তার কোন দ্বীনার বা দিরহাম থাকবে না। সে দিন তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার যুলুমের পরিমাণ তা তার নিকট হতে নেয়া হবে আর তার কোন সৎকর্ম না থাকলে তার প্রতিপক্ষের পাপ হতে নিয়ে তা তার উপর চাপিয়ে দেয়া হবে।

(বুখারী ২৪৪৯.৬৫৩৪) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৭০, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২২৮৭)
,
(০১)
আপনি এক সময়ে দোকানদারের সাথে আলোচনা করে বিষয়টি স্পষ্ট করে নিবেন, তাহলেই আর কোনো সমস্যা হবেনা।
,
(০২)
আপনি সাথে সাথে তওবা করবেন।
ঐ ব্যাক্তির কাছে সময় সুযোগ মোতাবেক গিয়ে মাফ চেয়ে নিবেন।
তাহলেই কোনো সমস্যা থাকবেনা।
,
(০৩)
এতে তার তিরস্কার শোনার প্রবল আশংকা থাকলে না বললেও হবে।

(০৪)
হ্যাঁ সেই টাকাটা কবরস্থানের সংস্কারের কাজে ব্যবহার করলে, তাদের হক আদায় হবে।
,
(০৫)
শুধু এই কারনে তার মৃত্যুর সময় ঈমান হারা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।


(আল্লাহ-ই ভালো জানেন)

------------------------
মুফতী ওলি উল্লাহ
ইফতা বিভাগ
Islamic Online Madrasah(IOM)

by
reshown
আসসালামু আলাইকুম হুজুর।1 নং প্রশ্নের সম্পর্কেঃ আমার সাথে যারা কাজ করে তাদের জিজ্ঞাসা করেছি যে, ব্যক্তিগত কাজে কম্পিউটারে কোন ওয়েবসাইটে ঢুকলে দোকানদার কিছু বলে নাকি । সে বলল না কিছু বলে না। তাহলে তো কোন সমস্যা নেই। 

আই ফতোয়া  ওয়েবসাইট বাংলাদেশের অন্যতম একটি নির্ভরযোগ্য ফতোয়া বিষয়ক সাইট। যেটি IOM এর ইফতা বিভাগ দ্বারা পরিচালিত।  যেকোন প্রশ্ন করার আগে আপনার প্রশ্নটি সার্চ বক্সে লিখে সার্চ করে দেখুন। উত্তর না পেলে প্রশ্ন করতে পারেন। আপনি প্রতিমাসে সর্বোচ্চ ৪ টি প্রশ্ন করতে পারবেন। এই প্রশ্ন ও উত্তরগুলো আমাদের ফেসবুকেও শেয়ার করা হবে। তাই প্রশ্ন করার সময় সুন্দর ও সাবলীল ভাষা ব্যবহার করুন।

বি.দ্র: প্রশ্ন করা ও ইলম অর্জনের সবচেয়ে ভালো মাধ্যম হলো সরাসরি মুফতি সাহেবের কাছে গিয়ে প্রশ্ন করা যেখানে প্রশ্নকারীর প্রশ্ন বিস্তারিত জানার ও বোঝার সুযোগ থাকে। যাদের এই ধরণের সুযোগ কম তাদের জন্য এই সাইট। প্রশ্নকারীর প্রশ্নের অস্পষ্টতার কারনে ও কিছু বিষয়ে কোরআন ও হাদীসের একাধিক বর্ণনার কারনে অনেক সময় কিছু উত্তরে ভিন্নতা আসতে পারে। তাই কোনো বড় সিদ্ধান্ত এই সাইটের উপর ভিত্তি করে না নিয়ে বরং সরাসরি স্থানীয় মুফতি সাহেবদের সাথে যোগাযোগ করতে হবে।

Related questions

...